/indian-express-bangla/media/media_files/2025/11/01/sree-durga-2025-11-01-17-54-20.jpg)
কেমন হল শ্রী দুর্গা?
Shree Durga: বেশ বড় সাইজের হাত খোঁপা, কপালে লাল টিপ আর সাধারণ শাড়ি পরে সারাদিন সংসার সামলে ক্লান্ত। ছোট পর্দা হোক বা বড় পর্দা অপরাজিতা আঢ্যর এই ইমেজটা সকলের খুবই পরিচিত। পরিচালক সন্দীপ সাথীও শ্রী দুর্গা ছবিতে দর্শকের চোখের সেই আরামে কোনও ব্যাঘাত ঘটাননি। তবে যেটা যোগ করেছেন, অতি সাধারণ এক গৃহবধূর সাহসীকতা। যাঁরা মজা করে বলে, মেয়েদের বুদ্ধি নাকি হাঁটুতে থাকে তাঁদের অবশ্যই এই সিনেমাটা দেখা উচিত। ঘরোয়া গল্পের সঙ্গে ছবির প্রতি দর্শকের ইচ্ছেশক্তি ধরে রাখতে অ্যাকশন-মগজাস্ত্রের ব্যবহার করতে হয় সেটা বেশ ভালই প্রয়োগ করেছেন পরিচালক।
কেমন হল শ্রী দুর্গা?
বনেদি বাড়িতে আচমকা জোর করে ঢুকে পড়া পাঁচ দুষ্কৃতির সঙ্গে দুর্গার লড়াইয়ের গল্প। নারীশক্তির কথা তো আমরা দিনরাত বলে থাকি। এই ছবিতে যেন আরও একবার সেই ভাবনাকেই ফুটিয়ে তুলেছেন সন্দীপ সাথী। অসুস্থ স্বামী, সংসারের সারাদিনের কাজ সামলে যে ভাবে মাংস কাটার চপার হাতে ঘরের লক্ষ্মী থেকে দেবী দুর্গা হয়ে উঠেছেন অপরাজিতা তা সত্যিই সিনেমার প্রতি দর্শকের আকর্ষণ ধরে রাখবে। নানা প্রতিকূলকতার মধ্যে শাশুড়ি আর মেয়ের সাহায্যে একের পর এক পাঁচ দুষ্কৃতিকে অপরাজিতা দেবী দুর্গা রূপে নিধন করলেন। যে হাত অসুস্থ স্বামীর সেবা করে, মেয়েকে আদর করে, রান্নাঘরে হরেক পদ বানায় সেই হাতেই বইবে রক্তগঙ্গা! দুষ্কৃতিদের চাপে পড়ে যে চপার দিয়ে চিকেন কেটে দুর্গা রান্না করেছে সেই চপারেই করেছে অসুর দমন। মাটির মূর্তির ভিতর থেকে ত্রিশূল হাতে মেয়ের সম্মান বাঁচাতে যখন দুর্গা এগিয়ে আসছে সেই মুহূর্তে মনে হতে বাধ্য পরিচালকের শ্রী দুর্গা নামকরণ স্বার্থক।
আরও পড়ুন হাঁড়ির মুখে নতুন গামছা বেঁধে পিঠে বানাতে গিয়ে সব লাল রং হয়ে গিয়েছিল: অপরাজিতা আঢ্য
এই ছবিতে অপরাজিতার অভিনয় সত্যিই অসাধারণ, তবে যাঁর নাম না বললেই নয় তিনি অভিনেতা জয় মুখোপাধ্যায়। ধূসর চরিত্রে খলনায়কের ভূমিকায় নিজেকে একজন দক্ষ অভিনেতা হিসেবে প্রমাণ করার প্রয়াস একেবারে স্পষ্ট। জয়ের মুখে বাঙাল ভাষা বেশ সাবলীল। অপরাজিতার মতো একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে সমানতালে কাজ করেছেন।
শ্রী দুর্গার খুঁত
সুন্দর চিত্রনাট্যের মাঝে কয়েকটা দুর্বলতা বেশ চোখে লাগল। দুর্গার বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া দুষ্কৃতিরা তারই বাড়ির বাথরুমে পুলিশ অফিসারকে খুন করল। কিন্তু, অফিসারের লাশ উদ্ধার হল কিনা সেই বিষয়ে কিন্তু কিছুই দেখানো হল না। দুর্গা পরিবারের সদস্যদের সাহায্যে পাঁচ দুষ্কৃতিতে খুন করলেও একবারও কাউকে থানায় ডাকা হল না। বরং অন্ধকারের কালো মেঘ সরে যেতেই হাসি-আনন্দে পুরনো ছন্দে পরিবারের ফিরে আসাটা খুব সুন্দর করে দেখানো হয়েছে। যে রাতে অসুর বধ হয়েছে সেদিনই ছিল দুর্গার জন্মদিন। সকলে মিলে খুশির জোয়ারে ভেসে গিয়েছে।
আরও পড়ুন 'মিষ্টির প্যাকেটের জন্য কোন দোকানে হালখাতা হচ্ছে খোঁজ রাখতাম', শুভদিনে কোন কাজটি করেন না অপরাজিতা?
দর্শকের আকর্ষণ
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্লাইম্যাক্সে বদল এসেছে বহুবার যা হলে বসে দর্শক এনজয় করবে। সিনেমা জুড়ে একটা সাসপেন্স রয়েছে। শেষ সিক্যোয়েন্স না দেখলে সত্যিই বোঝা যাবে না সিনেমা দ্য এন্ড। একটু খুঁত থাকলেও শ্রী দুর্গা পারফেক্ট ফ্যামিলি ড্রামা।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us