/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/20/uttam-2025-10-20-16-55-13.jpeg)
কেমন ছিল উত্তমকুমারের দীপাবলি সেলিব্রেশন? GFX (সন্দীপন দে)
Uttam Kumar-Nabamita Chatterjee: আলোর উৎসবে মাতোয়ারা ১৩ থেকে ৮৩। কেউ অংশ নিচ্ছেন দিওয়ালি পার্টিতে তো কেউ আবার ফানুস উড়ানোর মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে ব্যস্ত। আলোর মালায় সেজে উঠেছে চারিদিক। রংবে রঙের আতসবাজির রোশনাইতে ঢেকে যায় ওই সুদূর দিগন্ত। আকাশের দিকে চোখ মেললেই যেন বাহারি আলোর সমাহার। ভিন্নপ্রকারের রকেট, সেল-এর মতো আতসবাজি এখন লেটেস্ট ট্রেন্ড। আজকের প্রজন্মও সেই ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছে। কিন্তু, জানেন মহানায়ক উত্তম কুমারেরও এই ধরনের আতসবাজি পছন্দ করতেন যেগুলো থেকে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে। তাঁর প্রথম ছিল রকেট আর চূড়ান্ত অপছন্দ ছিল শব্দবাজি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে মহানায়কের দীপাবলি উদযাপনের গল্প ভাগ করে নিলেন নাতনি নবমিতা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'বাবার মুখে শুনেছি দাদু ফুলঝুড়ি, রকেট এগুলো খুব ভালবাসতেন। মানে যেগুলোতে চারিদিক আলোকিত হয়। বিভিন্ন রকমের রকেট ফাটাতেন আর শব্দবাজি একদম পছন্দ করতেন না। উনি খুব শান্ত স্বভাবের ছিলেন তবে মন খুলে আনন্দ করতেন। রাত পর্যন্ত গান-বাজনা হত। সেখানে থাকতেন। উৎসবের দিনগুলোতে কখনও প্রতিদিনের রুটিন ফলো করতেন না। সকলের সঙ্গে হাসি-মজায় মেতে থাকতেন।'
আরও পড়ুন কৌশানী মাকে সোনার হার দিয়েছে আর আমি প্রার্থনা করব দর্শক যেন আমার ছবি ভালবাসে: বনি
মহানায়কের বাড়ির লক্ষ্মীপুজোর কথা সকলেরই জানা। দীপাবলিতেও কোনও বিশেষ রীতি পালন করা হয়? নবমিতা জানান, 'আমাদের বাড়িতে কোনওদিন দুর্গাপুজো বা কালীপুজো হয়নি। লক্ষ্মীপুজোটাই হয়। তবে দুর্গাপুজো হোক বা কালীপুজো আমার দাদু একটা বিরাট ভূমিকা পালন করতেন। আমাদের পাড়ায় মুখার্জি বাড়ির দুর্গাপুজো দেড়শো বছরের পুরনো। দাদু ওখানেই পুজোর ক'টা দিন সময় কাটাতেন, অষ্টমীতে অঞ্জলি দিতেন। আমরাও সেই রীতি বজায় রেখেছি। দুর্গাপুজো শেষ হলেই লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোর শুরু হয়ে যায়। দাদুর সময়ও তাই হত। তিন দিন ব্যাপী লক্ষ্মীপুজো হয়। এরপর একটা লম্বা বিরতি। তখন দাদু তোপচাচি-তে গিয়ে কয়েকদিন বিশ্রাম নিতেন। শুটিংয়ের চাপ না থাকলে দাদুর সবসময় ওখানেই যেতেন। তবে কালীপুজোর সময় বাড়ি থাকতেন।'
আরও পড়ুন 'শাঁখা-সিঁদুর পরে পূর্ণ সাজে মায়ের সামনে দাঁড়াব', কালী পুজোর আনন্দের মাঝে আবেগপ্রবণ মল্লিকা
উত্তম জমানা থেকেই একটা রীতি আজও মেনে চলা হয়। নবমিতার সংযোজন, 'দাদুর আমল থেকেই একটা রীতি চলে আসছে। বাড়ির পাশের গলিতে (লুনার ক্লাবের পুজো) কালীপুজো হয়, যেখানে দাদু ছোটবেলায় খেলতেন। ওই পুজোটা যাঁরা করতেন তাঁরা খুব বেশি অবস্থাপন্ন ছিলেন না। তাই ঠাম্মি বলেছিলেন, আমি কিছু সাহায্য করব। তখন থেকেই ভোগ রান্নাটা আমাদের বাড়িতে হত। রান্না করে ঠাম্মি মন্ডপে পাঠিয়ে দিতেন। এখন আমাদের কাউন্সিলর এই পুজোর দায়িত্বে থাকেন। তাই ভালভাবেই পুজোটা হয়। আমাদের বাড়ির পাশেই উত্তম উদ্যানে (লেডিজ পার্ক) দুর্গাপুজো হয়। আর কালীপুজোটা সম্পূর্ণ মহিলাচালিত। তবে ঠাকুরের ভোগ আমাদের বাড়িতেই হয়। দুপুর থেকে সেই ভোগ রান্না শুরু হয়ে যায়। সব মিলিয়ে দাদুর আমল থেকে চলে আসা নিয়মের ধারাবাহিকতা আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি বজায় রাখতে।'
আরও পড়ুন শুধুই সিনেমার স্বার্থে বড়মা দর্শন নাকি মন থেকে ঈশ্বরভক্তি? কী বলছেন 'কিশোরী' ইধিকা?
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us