/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/19/cats-2025-10-19-15-24-04.jpg)
বিচ্ছেদের বহু বছর পর ফের বধূর সাজে মায়ের পুজো করবেন মল্লিকা
Mallika Banerjee Kali Puja Plan: বাংলা টেলিভিশনের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও রীতি মেনে মল্লিকার বাড়িতে হবে কালী পুজোর এলাহি আয়োজন। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। ঊনসত্তর বছরে পা রাখল মল্লিকার বাড়ির কালী পুজো। এই বছরটা তাঁর জন্যও স্পেশাল। অতীতের সব যন্ত্রণা ভুলে জানুয়ারিতেই রুদ্রজিৎ-এর সঙ্গে জীবনের নতুন জার্নি শুরু করেছেন মল্লিকা। বিয়ের পর প্রথম কালী পুজো। বিবাহ বিচ্ছেদের বহু বছর পর ফের বধূর সাজে মায়ের পুজো করবেন। এছাড়াও মল্লিকার কাছে বিরাট প্রাপ্তি, শাঁখা-সিঁদুর পরে পুজোর কাজ করতে পারবেন।
আবেগতাড়িত হয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে অভিনেত্রী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সাবেক সাজ বরাবরই আমার ভীষণ প্রিয়। আমার সাজে সবসময়ই একটা সাবেকিয়ানার একটা ছোঁয়া থাকে। বিবাহবিচ্ছেদের পর প্রায় আট-নয় বছর শাঁখা-পলা পরতে পারিনি। যেটা আগে নিয়ম করে পরতাম। এবার সব গয়নার সঙ্গে ওগুলো পরতে পারব। এটা আমার কাছে সত্যিই একটা আবেগঘন মুহূর্ত। পরিপূর্ণ সাজে মায়ের সামনে দাঁড়াব, এর চেয়ে বেশি আর কী চাই। চরিত্রের প্রয়োজনে অনেকসময় খুলে রাখতে হয় কিন্তু, প্যাক আপের পর আবার পরে নিই। স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকজন, মনমতো সাজ সব মিলিয়ে তাই এবার কালী পুজো আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল।'
আরও পড়ুন রুদ্র আর ওঁর মায়ের একটাই চাহিদা আমি যেন কোনওদিন কাজ বন্ধ না করি: মল্লিকা
পুজোর আয়োজনে বিশেষত্ব কিছু থাকছে? এই প্রসঙ্গে মল্লিকার সংযোজন, 'পুজোর সব আচার-অনুষ্ঠান আয়োজন সব একই থাকবে। রুদ্রর বাড়ির সবাই আসবে সেটা পুজোর আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। প্রথমবার আমরা দুজন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুজোর যাবতীয় কাজকর্ম করব। তাছাড়া এই পুজোয় আমরা তিন বোন কোমর বেঁধে আনন্দের সঙ্গে কাজ করি। মেজ বোন মালবিকা মুম্বই থেকে ফিরছে। প্রকাশ ঝায়ের মতো একজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করল, তাই এই দীপাবলিটা ওঁর কাছেও ভীষণ স্পেশাল। আমিও শুটিংয়ে একটু ব্যস্ত আছি বলে ছোট বোনের উপর অনেকটা দায়িত্ব। তবে আমি বাড়ি ফিরে পুজোর কাজ করছি। মায়ের কাজ করার আনন্দটাই আলাদা।'
আরও পড়ুন শুধুই সিনেমার স্বার্থে বড়মা দর্শন নাকি মন থেকে ঈশ্বরভক্তি? কী বলছেন 'কিশোরী' ইধিকা?
বিয়ের পর প্রথম কালী পুজোয় স্বামীর তরফে বিশেষ কোনও উপহার? মল্লিকা জানান, 'সোনার দাম আকাশছোঁয়া হওয়া সত্ত্বেও ধনতরাসে আমাকে হিরের কানের দুল, নাকছাবি দিয়েছে। এটা আমার কাছে ভীষণ আনন্দের।' মায়ের ভোগ রান্না নিয়ে মল্লিকা বললেন, 'দু'বছর আগেও নিজের হাতেই মায়ের ভোগ রেঁধেছি। তবে এখন সকলের ভালবাসা-আশীর্বাদে কাজের ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই মালবিকা এখন ভোগ রান্নার জন্য ব্রাহ্মণ ঠাকুরের ব্যবস্থা করেছে। আমার কোনও কষ্ট হত না, কিন্তু, বোন ভাবে দিদির কষ্ট হবে। রবিবার আমাদের বাড়িতে আনন্দ নাড়ু হচ্ছে। আমরা যেহেতু এপার বাংলার তাই যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে আনন্দ নাড়ু বানাতে হয়। প্রায় হাজার খানেক নারকেল আর গুড়ের নাড়ুও হবে।'
আরও পড়ুন কৌশানী মাকে সোনার হার দিয়েছে আর আমি প্রার্থনা করব দর্শক যেন আমার ছবি ভালবাসে: বনি