Subhasish Mukhopadhyay Childhood Sunday: রবিবাসরীয় ছুটি মানেই মনের ভিতর একটা আলাদা আনন্দের ঢেউ খেলে যায়। কারও কাছ রবিবার ছুটি মানে শনিবারে জমিয়ে রাতপার্টির আনন্দ উদযাপন করে গভীর রাতে বাড়ি ফিরে রবিবার 'ল্যাদ' খেয়ে কাটানো। কারও কাছে আবার প্রাধান্য পায় সিনেমা-সিরিজ। ওটিটি-র জমানায় তো মুঠোফোনে বন্দি বিনোদন। রবিবার মানে আবার খাদ্যরসিক মানুষদের কাছে কবজি ডুবিয়ে মনপসন্দ খাওয়ারের স্বাদ আস্বাদন। সব মিলিয়ে ব্যক্তিবিশেষে এক একজনের কাছে রবিবারের ছুটি কাটানো এক একরকমের। সারা সপ্তাহের কাজের চাপ থেকে একটু স্বস্তি পেতে শরীর-মনকে ফুরফুরে করে ফের সোমবারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার উপলক্ষই যেন রবিবাসরীয় ছুটি।
আরও পড়ুন 'বাঘের হুংকারেই ছিটকে বেরিয়ে গেলেন মনোজদা', সার্কাসে শুটিংয়ের কথা আজও ভোলেননি শুভাশিস
একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠে ধোঁয়া ওঠা ব্ল্যাক কফি বা চায়ের কাপে চুমুক, তারপর রবিবারের স্পেশাল খানাপিনাটা অনেকেরই শুরু হয় ফুলকো লুচি আর সাদা আলুর চচ্চড়ি দিয়ে। এরপর দুপুরের পাতে কচি পাঠা বা রেওয়াজি খাসি! জম্পেস ঢেকুড় তুলে ঠান্ডা ঘরে একটা ভাত-ঘুম। বিকেলে পাড়ার মোড়ে আড্ডা বা বাড়ির ড্রইং রুমে চপ-মুড়ির সঙ্গে জমে ওঠে প্রাণখোলা গল্পের আসর। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা তারপর রাত্রি হতেই মনে হয়, যদি রবিবারকে একটু ধরে রাখা যেত। পরিবারের সান্নিধ্য আর কিছু আন্তরিক মুহূর্তের ছোঁয়ায় সাধারণ একটি দিনও যেন হয়ে ওঠে অসাধারণ। এভাবেই কত রবিবার আসে-যায়! বয়স আর সময়ের সঙ্গে অনেকসময় বদলে যায় রবিবাসরীয় ছুটির অর্থ।
আরও পড়ুন 'চার্লি চ্যাপলিনের পায়ের নীচে বসে থাকত', রবি ঘোষের জন্মদিনে লিখলেন শুভাশিষ
শুভাশিষের রবি উদযাপন
আজ আমরা একটু ফিরে দেখব বাংলা সিনেমার স্বনামধন্য তারকা শুভাশিষ মুখোপাধ্যায়ের ছোটবেলার রবিবার। সেই সময় কী ভাবে রবিবাসরীয় ছুটি উদযাপন করতেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় তাঁর সঙ্গে। শুভাশিষ মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের সময় রবিবার মানেই ছিল প্রাণ খুলে খেলার দিন। রোজ স্কুল থেকে এসে বিকেলে একটু খেলেই পড়তে বসতে হত। কিন্তু, রবিবার সকাল থেকেই খেলাধূলো করার সুযোগ থাকত। আর আমার খেলার প্রতি বিশেষ ঝোঁক ছিল। রবিবার দিনটা এলেই একটা ছুটির আনন্দ পাওয়া যেত।'
ছোটদের সিরিয়ালের প্রতি কোনও আকর্ষণ? অভিনেতা বলেন, 'সেই সময় টিভি ঘরে ঘরে পৌঁছায়নি। যখন একটু বড় হলাম তখন রামায়ণ-মহাভারত দেখতাম। তবে সেটা নিয়ম করে দেখা হত না। প্রতি রবিবার একটা নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে টিভির আওয়াজ ভেসে আসত। আমি স্কুলজীবন থেকেই নাটকের সঙ্গে যুক্ত। তাই রবিবার সকালে নাটকের মহড়ায় যেতাম।'
আর রবিবারের স্পেশাল খাওয়াদাওয়া? সেই বিষয়ে শুভাশিষের সংযোজন, 'প্রতি রবিবারই যে বাড়িতে বিশেষ কিছু আয়োজন হত তা নয়। তবে বাঙালি পরিবারে যেমন হয়ে থাকে সেইরকমই কোনও কোনও রবিবার বিশেষ পদ রান্না হত। ঠাকুমা যখন বেঁচে ছিলেন তখন নাতিকে আদর করে খাওয়াতেন। সেটা বেশ ভাল সময় ছিল। বোঝা যেত আজ রবিবার।'
আরও পড়ুন সঞ্জয়জি দ্বারভাঙার মানুষ বলেই হয়ত মফঃস্বল থেকে শহুরে জার্নির স্ক্রিপটা পছন্দ হয়েছে: পৃথা চক্রবর্তী