Ratna Ghoshal Childhood Sunday: রত্নার রবি উদযাপন
রত্না ঘোষাল
আমি তো ছোট থেকেই নাটক করতাম। রবিবার ডবল শিফটে কাজ হত। বাড়ি থেকে দুপুর একটা নাগাদ বেরিয়ে যেতাম। তিনটে থেকে একটা শো থাকত আর একটা শোয়ের সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা। আমার ওই সময় রবিবারগুলো খুব ভাল কাটত কারন নাটকে একটা আলাদা আনন্দ। ছোটবেলায় ছেলের পাঠ করতাম, একটু বড় হয়ে মেয়ের পাঠ করেছি। পরে তো নাটকের হিরোইন-ও হয়েছি। আমার জীবনের বেশির ভাগ সময়টাই কেটেছে নাটকে। ১৯৮০ সালে থিয়েটারটা বন্ধ হয়ে গেল! দূরদর্শন আসার পর যখন সেটা বন্ধ হয়ে গেল তখন রবিবারগুলো কাটত আড্ডা মেরে।'
আরও পড়ুন 'ডিপ ফ্রিজ' সেরা বাংলা ছবি, অর্জুনের প্রশংসায় জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক শুভ্রজিৎ
মহাভারত দেখতে আমার ভীষণ ভাল লাগত। তবে খেলাধূলো আমার জীবনে একেবারেই ব্রাত্য (হাসি)। আট বছর বয়স থেকে যে কাজ করছে তাঁর জীবনে মাঠ-ঘাট কী করে থাকবে? আমার জীবনে ছিল শুধু আড্ডা আর এখনও সেটা আছে। সোম থেকে শনি শুটিং করতাম, রবিবার ছুটির দিনে আমি আমার দু-তিনজন পরিচিত ভাই-বন্ধু-দাদা যাই বলুন না কেন ওঁদের ডাকতাম। কখনও আবার আমিও যেতাম। একসঙ্গে সিনেমা দেখতাম, গল্প করতাম বা চাইনিজ খেতাম। ৩৪ বছরে বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে রবিবার সময় কাটাতাম। কখনও রেস্তোরাঁয় খেতে যেতাম বা ক্লাবে গিয়ে ওঁর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম।'
আরও পড়ুন 'ঠাকুমা যখন ছিলেন...', ছোটবেলার রবিবাসরীয় ছুটির দিনের স্মৃতিচারণায় জিয়া নস্ট্যাল শুভাশিষ
'তখন তো আমি মেগা করি। রবিবার একটা ছুটির দিনে পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে খুব মজা-আনন্দ করতাম। এই দিনটায় খাওয়াদাওয়ার একটা বিশেষ আয়োজন হত। মা থাকাকালীন প্রতি রবিবার পাঠার মাংস রান্না করতেন। সেই সঙ্গে আবার কোনও রবিবার সুক্তো বা বিশেষ কোনও পদও বানাতেন। আমার মা আসলে ভীষণ ভাল রান্না করতেন। বিয়ের পরও শ্বশুরবাড়িতেও রবিবার স্পেশাল আইটেম রান্না হত। বর্ষায় ভাপা ইলিশ, কোনও রবিবার চিংড়ির মালাইকারি এই রকম নিত্য নতুন বিশেষ কিছু রান্না হতই। আমার কাছে রবিবার মানে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া আর কবজি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া করার দিন।'
আরও পড়ুন একজন শিল্পীর ওঁর থেকে শেখা উচিত নিজেকে তৈরি করতে কতটা পরিশ্রম করতে হয়: রত্না ঘোষাল
সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে অনুলিখন