/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/15/ashley-tellis-2025-10-15-22-27-43.jpg)
US Indian Origin Arrested: জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রাক্তন উপদেষ্টা অ্যাশলি জে টেলিস গ্রেফতার।
US Indian Origin Arrested: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারত-বিষয়ক বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ অ্যাশলি জে টেলিস (Ashley Tellis)–কে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি নিজের ভার্জিনিয়া রাজ্যের বাসভবনে মার্কিন প্রতিরক্ষা ও বিদেশ দফতরের ১,০০০-এরও বেশি গোপন নথি অবৈধভাবে রেখে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (Department of Justice) মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে।
কে এই অ্যাশলি টেলিস?
অ্যাশলি টেলিস একজন প্রখ্যাত মার্কিন নীতি বিশ্লেষক ও বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ। তিনি ভারতেরও ঘনিষ্ঠ। একসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের উপদেষ্টা ছিলেন। ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তি (Civil Nuclear Deal) আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস (Carnegie Endowment for International Peace)-এর সিনিয়র ফেলো ও টাটা চেয়ার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স পদে আছেন।
আরও পড়ুন- নতুন উদ্ভাবন-চালিত অর্থনৈতিক বৃদ্ধি কেন স্বাভাবিক, বুঝিয়েছেন নোবেল প্রাপকরা!
আমেরিকার গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী, টেলিস তাঁর বাসার বেসমেন্টে ১,০০০ পৃষ্ঠারও বেশি অতি গোপনীয় (top secret) নথি রেখে দিয়েছিলেন। নজরদারি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তিনি বেশ কয়েকবার স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও পেন্টাগনের ভবন থেকে ব্রিফকেস হাতে বের হচ্ছেন। তদন্তকারীরা মনে করছেন, তাতেই নথিগুলো ছিল। যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন, তবে ১০ বছরের জেল এবং ২,৫০,০০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আরও পড়ুন- পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাত! ভারতের ওপর বিরাট প্রভাব পড়তে চলেছে?
১৯৬১ সালে মুম্বইয়ে জন্ম নেওয়া অ্যাশলি টেলিস সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো থেকে পিএইচডি করেন। তিনি RAND Corporation-এর নীতি বিশ্লেষক ছিলেন এবং মার্কিন National Security Council ও State Department-এও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সালে প্রকাশিত তাঁর বই India’s Emerging Nuclear Posture মার্কিন প্রশাসনে ভারতের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছিল। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করলে আমেরিকার কৌশলগত স্বার্থ আরও মজবুত হবে।
আরও পড়ুন- এবার কি কনকনে ঠান্ডায় কাঁপবে ভারত? কী বলছেন আবহাওয়াবিদরা, সত্যিটা জানুন
আরও পড়ুন- ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষবিরতি! কতটা প্রভাব পড়বে ভারতের ওপর?
অ্যাশলি টেলিস মার্কিন বিদেশ নীতির এক সম্মানিত মুখ। তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ওঠায় ওয়াশিংটন নীতি মহলে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় নিরাপত্তা ফাঁস সংক্রান্ত অন্যতম বড় ঘটনা। এই মামলার প্রেক্ষিতে মার্কিন সরকার গোপন নথি ব্যবস্থাপনা আরও কঠোর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কূটনীতিক ও উপদেষ্টাদেরও এখন এই মামলার দিকে নজর রাখতে হচ্ছে। কারণ, অ্যাশলি মামলায় হেরে গেলে তাঁদের ওপরও সন্দেহ এবং চাপ বাড়তে পারে।