/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/12/winter-in-india-2025-10-12-16-45-57.jpg)
Winter in India: অনেক হিসেব-নিকেশ বদলে দিতে পারে এবারের শীত।
Winter in India: ভারতের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে এই শীতের মরশুমে লা নিনা (La Nina) ভারতে শীতকে আরও কনকনে করে দিতে পারে। লা নিনা হল আবহাওয়ার একটি রূপ। যা প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্য ও পূর্ব তীরের সামুদ্রিক তাপমাত্রা পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত। এটি আন্তর্জাতিক আবহাওয়া চক্রকে প্রভাবিত করে এবং ভারত-সহ বিশ্বজুড়ে মৌসুমী আবহাওয়া এবং তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটায়।
ঠান্ডার পূর্বাভাস আদৌ সত্যি?
লা নিনা হল, আবহাওয়ার একটি পর্যায়। এটি একটি প্রাকৃতিক জলবায়ু চক্র যা দুইটি প্রধান পর্যায়ের মাধ্যমে সাগরের তাপমাত্রা ও বায়ুমণ্ডলের অবস্থা পরিবর্তিত করে। এতে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের জল বেশি গরম হয়ে উঠতে পারে। তাতে, ভারতে বর্ষা কম হতে পারে। আর, উচ্চ তাপমাত্রার সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, এই পর্যায়ে বাতাস বা ট্রেড উইন্ডস শক্তিশালী হয়ে সাগরের জলের ওপরে থাকা বায়ুকে পশ্চিমে ঠেলে দিতে পারে।
আরও পড়ুন- ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষবিরতি! কতটা প্রভাব পড়বে ভারতের ওপর?
এতে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর শীতল থাকে এবং ভারতের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে শীতল আবহাওয়া বা কনকনে ঠান্ডা দেখা দিতে পারে। আর, বৃষ্টি বাড়তে পারে। এটি এবছরের সেপ্টেম্বর মাসে আবির্ভূত হয়েছে। তবে, শক্তিশালী নয়। দীর্ঘ সময় স্থায়ী হবে না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত লা নিনার প্রভাব থাকতে পারে।
আরও পড়ুন- এমনি এল শান্তির নোবেল? গোটা ভেনেজুয়েলা মাতিয়ে দিয়েছেন মারিয়া মাচাদো, জানেন সেসব?
এর প্রভাবে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে উত্তর ভারতে কনকনে ঠান্ডা পড়তে পারে। হিমাচল, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরাঞ্চলের সমতল অঞ্চলে তাপমাত্রা প্রচণ্ড কমে যেতে পারে। পাহাড়ি অঞ্চলে তুষারপাতের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, যা স্কি রিসর্ট ও পাহাড়ি জনপদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রচণ্ড কম হতে পারে।
আরও পড়ুন- ইজরায়েল ও হামাস প্রথম ধাপের শান্তি পরিকল্পনায় রাজি, কূটনৈতিক সাফল্য ট্রাম্পের!
বিশেষ করে উত্তর এবং মধ্য ভারতের শহরগুলিতে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, লা নিনা মানেই যে সব সময় কনকনে ঠান্ডা পড়বে, এমনটা নয়। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এই ঠান্ডাকে কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) তাই জানিয়েছে, লা নিনা থাকলেও আন্তর্জাতিক গড় তাপমাত্রা এখনও স্বাভাবিকের ওপরে। আর, তেমনই থাকতে পরে আগামী দিনগুলোতেও।
আরও পড়ুন- ইমিউন সিস্টেমের নিরাপত্তারক্ষীর সন্ধান, পুরস্কৃত করল নোবেল
এসব কথা মাথায় রেখেই আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা (WMO)-র গবেষকরা জানিয়েছেন, 'লা নিনা বা এল নিনো প্রচণ্ড ঠান্ডা এবং শুকনো বা গরম তাপমাত্রার কারণ হতে পারে। কিন্তু, মানুষের কাজের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন, উষ্ণায়ন এবং চরম আবহাওয়া প্রভাবিত হচ্ছে। ফলে ভারতে কনকনে ঠান্ডার পূর্বাভাস না-ও মিলতে পারে।!