/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/12/telengana-spying-scandal-2025-08-12-14-12-52.jpg)
Telengana Spying Scandal: তেলেঙ্গানায় অবৈধ নজরদারির অভিযোগ।
Telengana Spying Scandal: তেলেঙ্গানায় অবৈধ নজরদারির অভিযোগে রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, বিরোধী নেতাদের ফোন ট্যাপিং, ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, এমনকী ইন্টারনেটে কার্যকলাপ পর্যন্ত নজরে রাখা হয়েছিল। ভারত রাষ্ট্র সমিতি (BRS)-এর শাসনকালে এই কার্যকলাপ চালানো হত বলেই অভিযোগ তদন্তকারীদের।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর, রাত ৮.৩৪ থেকে ৯.৩৪- এই একঘণ্টার মধ্যে স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ (SIB)-এর সিসিটিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই সময়েই অফিসের একটি কক্ষে রাখা ৬২টি হার্ডডিস্ক কেটে ধ্বংস করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ১৩ আগস্ট বিশ্ব বামহাতি দিবস, জানুন এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব, তাৎপর্য!
কারা ছিলেন নজরদারির টার্গেটে?
তদন্তকারীদের দাবি, অন্তত ৬০০ জনের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছিল। এর মধ্যে ছিলেন— বিরোধী দলের রাজনীতিবিদ, শাসক দলের বিদ্রোহী নেতা, আমলা এবং ব্যবসায়ী, হাইকোর্টের একজন বর্তমান বিচারক ও তাঁর স্ত্রী, রাজনৈতিক কর্মী, ড্রাইভার এমনকী শৈশবের বন্ধুর ওপরও পর্যন্ত চলেছিল নজরদারি। তেলেঙ্গানার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি তখন বিরোধী দলে ছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগীদেরও ওপরো নজরদারি চলেছিল বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- ছোট মাছের চচ্চড়ির রেসিপি, একবার খেলেই ছেলেবেলার স্বাদ মনে করিয়ে দেবে!
কারা চালাত নজরদারি?
তদন্তে জানা গেছে, ২০২০ সালে SIB-এর অধীনে একটি বিশেষ অপারেশন টিম (Special Operations Team/SOT) গঠন করা হয়েছিল। এই দল রাজনৈতিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করত বলে অভিযোগ। টিমের প্রধান প্রণীত রাও (তৎকালীন ডিএসপি) এবং তার ১১ সদস্যের দলকে এই কাজে লাগানো হয়েছিল। এই দলের সদস্যদের কাছে ছিল ১৭টি ডেস্কটপ কমপিউটার, ২টি ল্যাপটপ, নিজস্ব ইন্টারনেট লিজড লাইন, নির্দিষ্ট ফোন নম্বর।
আরও পড়ুন- গরুর বাঁট থেকে সরাসরি শিশুকে কাঁচা দুধ খাওয়াচ্ছেন বাবা! প্রবল ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা
কীভাবে চলত নজরদারি?
তদন্তকারীদের মতে, টেলিকম কোম্পানিগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে নির্দিষ্ট ফোন কল আটকানো হত। 'আইনি বাধা' (Lawful Interception) দেওয়ার ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নাম নজরে থাকা ব্যক্তিদের তালিকায় যোগ করা হত। একটি বেসরকারি নজরদারি সংস্থা থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম-সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের ডেটা সংগ্রহ করা হত। PCAP ডেটা ডিক্রিপ্ট করে ব্যক্তিগত বার্তা পর্যন্ত পড়া হত।
আরও পড়ুন- পরমাণু অস্ত্রের পিছনে কারা করছে বেশি খরচ, চলছে লবিবাজিও! তালিকায় ক'নম্বরে ভারত?
তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই নজরদারির মূল লক্ষ্য ছিল নির্বাচনে BRS-এর জয় নিশ্চিত করা। এজন্য বিরোধী দলের নেতাদের অর্থনৈতিক উৎস বন্ধ করতে তৎপর হয়েছিল তৎকালীন প্রশাসন। বিরোধী নেতাদের তহবিল বাজেয়াপ্ত করতে এবং প্রতিপক্ষের কৌশল জেনে রাজনৈতিক সুবিধা নিতেও তৎপর হয়েছিল প্রশাসন। এমনকী ২০২২ সালের মুনুগোড উপনির্বাচনের সময় করিমনগরের বিজেপি নেতাদের ১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্তের ঘটনাও এই নজরদারিরই ফল ছিল বলেই দাবি প্রশাসনের।
আইন অনুযায়ী প্রতি ছয় মাসে একবার আইনি বাধার তথ্য ধ্বংস করার নিয়ম থাকলেও, এই ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের একমাস আগে তড়িঘড়ি তথ্য ধ্বংস করা হয়েছিল। আর সেই সময়েই সিসিটিভি বন্ধ রাখা হয়েছিল। যা পুরো ঘটনাকে আরও সন্দেহজনক করে তুলেছে বলেই তদন্তকারীদের দাবি। BRS নেতারা অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, 'বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফিশিং অভিযান চালাচ্ছে। এতে কিছুই পাওয়া যাবে না।'