/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/12/left-handers-day-2025-08-12-13-17-17.jpg)
Left-Handers Day 2025: বামহাতিদের সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
Left-Handers Day 2025: প্রতিবছর ১৩ আগস্ট বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক বামহাতি দিবস (Left-Handers Day)। এই দিনটি মূলত এমন এক বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষকে সম্মান জানাতে উদযাপন করা হয়, যাঁরা সংখ্যায় কম হলেও বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিশ্বের জনসংখ্যার গড়ে প্রায় ১২% মানুষ বামহাতি।
আন্তর্জাতিক বামহাতি দিবসের সূচনা হয় ১৯৭৬ সালে। এই দিনটি প্রতিষ্ঠা করেন দ্য লেফট-হ্যান্ডার্স ক্লাব-এর প্রতিষ্ঠাতা ডিন আর. ক্যাম্পবেল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ডানহাতি প্রধান সমাজে বামহাতিদের যে চ্যালেঞ্জ এবং অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়, তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
আরও পড়ুন- ছোট মাছের চচ্চড়ির রেসিপি, একবার খেলেই ছেলেবেলার স্বাদ মনে করিয়ে দেবে!
এই দিনটি পালনের উদ্দেশ্য
বামহাতিদের দৈনন্দিন জীবনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি। বামহাতিদের বিশেষ দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দেওয়া। এমন পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে বাম এবং ডান—দুই হাতের মানুষকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বামহাতি মানুষদের স্বকীয়তার কারণে গর্বিত হতে বিশেষ উৎসাহিত করাও এই দিনটি পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন- গরুর বাঁট থেকে সরাসরি শিশুকে কাঁচা দুধ খাওয়াচ্ছেন বাবা! প্রবল ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা
বামহাতি মানুষের তালিকা বিশাল। ভারত থেকে শুরু করে বিশ্বজুড়ে অসংখ্য সফল মানুষ বামহাতি। ভারতীয়দের মধ্যে এই তালিকায় রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, শচীন টেন্ডুলকার, নরেন্দ্র মোদী, রতন টাটা, করণ জোহর, কপিল শর্মারা। বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ব্যক্তিদের মধ্যে তালিকায় রয়েছেন বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, লেডি গাগা, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, বারাক ওবামা, অপরাহ উইনফ্রে, কিয়ানু রিভস, জুলিয়া রবার্টস, হিউ জ্যাকম্যান, এমিনেম, জাস্টিন বিবার, লেব্রন জেমসরা।
আরও পড়ুন- পরমাণু অস্ত্রের পিছনে কারা করছে বেশি খরচ, চলছে লবিবাজিও! তালিকায় ক'নম্বরে ভারত?
শুনলে অবাক হবেন যে, বিশ্বের প্রায় ১২% মানুষ বামহাতি, ৮৭% ডানহাতি, আর ১% দুই হাতই সমানভাবে ব্যবহার করেন। বামহাতিরা প্রায়শই বেশি শিল্পীসুলভ এবং সৃজনশীল প্রকৃতির হন। কিছু গবেষণা অনুযায়ী, বামহাতিদের মধ্যে মাইগ্রেন এবং অটো-ইমিউন রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। বামহাতিরা মস্তিষ্কের ডানদিককে বেশি ব্যবহার করেন, যা ভিজ্যুয়াল ও ক্রিয়েটিভ স্কিল বাড়ায়। মনে রাখতে হবে যে, বামহাতি হওয়া কোনও আধুনিক বিষয় নয়। প্রাচীন নিয়ানডারথাল যুগেও বামহাতিদের অস্তিত্ব ছিল। অনেক বামহাতি মানুষই সংগীত, খেলাধূলা এবং রাজনীতিতে বিরাট সাফল্য পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- ১২ আগস্ট, আন্তর্জাতিক হস্তী দিবস! কেন হাতি বাঁচানোর এত তোড়জোড়, আসল কারণটা জানুন
আন্তর্জাতিক বামহাতি দিবস শুধু উদযাপন নয়, বরং এটি একটি সামাজিক বার্তা তুলে ধরে। সেই বার্তা হল, সকলের সমাজে সমাজ সুযোগ পাওয়া উচিত। দৈনন্দিন জিনিসপত্র যেমন কাঁচি, ডেস্ক, কমপিউটার মাউস ইত্যাদি ডানহাতিদের পাশাপাশি বামহাতিদের উপযোগী করেও তৈরি করা উচিত। বামহাতিদের দক্ষতা এবং অবদানকে সম্মান জানানো উচিত। আন্তর্জাতিক এই বামহাতি দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তি। বামহাতিরা সংখ্যায় কম হলেও, তাঁদের অবদান পৃথিবীকে আরও সুন্দর এবং সমৃদ্ধ করেছে। তাই ১৩ আগস্ট শুধু বামহাতিদেরই নয়, বরং বৈচিত্র্যের সকল রূপ উদযাপনের মুহূর্ত।