/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/11/Chhath-Puja-1.jpg)
Chhat Pujo: পাটনায় ছট পূজা উদযাপনে সূর্যাস্তের সময় ভক্তরা গঙ্গার তীরে আচার-অনুষ্ঠান করছেন পালন করছেন। (ছবি: পিটিআই)
Bihar Hindu Chhath Puja: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছট পূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিহার, পূর্ব উত্তর প্রদেশের কিছু অংশ এবং নেপালে ছটপুজো সাড়ম্বরে উদযাপিত হল। গত একদশকে দেশে ছট পুজোর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
দেশের অন্যান্য প্রান্তের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এবছর সাড়ম্বরে ছটপুজো উদযাপিত হল। এমনকী, বিদেশেও পালিত হচ্ছে ছটপুজো। টিভি চ্যানেলগুলি টেমস বা প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে ছট পালনের ছবিও তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন- সূর্যদেব ও ‘ছটি মাইয়া’র পূজা, ভক্তদের ভিড়ে ভরল বেলুড় মঠ!
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/11/Chhath-Puja-2.jpg)
কেন পালিত হয় ছটপুজো?
সূর্যদেবের সম্মানে ছটপুজো পালিত হয়। চার দিন এই পুজো চলে। ভক্তেরা নিরম্বু (জল ছাড়া) উপবাস করেন। জলাশয়ে দাঁড়িয়ে উষা ও প্রত্যুষার উপাসনা করেন। যেখানে উদীয়মান ও অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়া হয়। কেন ছট পুজো করা হয়, তা নিয়ে বেশ কিছু বিশ্বাস প্রচলিত আছে।
আরও পড়ুন- মঙ্গলবার শেষ দিন, কখন দেবেন ছটের অর্ঘ্য? দেখে নিন শুভ মুহূর্ত
রামায়ণে ছট
কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে মানুষ যখন প্রকৃতির উপাসনা করা শুরু করেন, তখন থেকেই ছটপুজো চলে আসছে। আবার, ভগবান রাম বিজয়ী হয়ে দেবী সীতাকে লঙ্কা থেকে অযোধ্যায় নিয়ে ফেরার পর, তাঁরা উপবাস করেছিলেন। সেই সময় তাঁরা সূর্য দেবতার জন্য একটি যজ্ঞ করেছিলেন বলে কথিত আছে।
আরও পড়ুন- ছটপুজোয় প্রিয়জনকে পাঠান এই শুভেচ্ছাবার্তা আর গানের লিংক, জীবনে আপনাকে ভুলবে না!
মহাভারতে ছট
মহাভারতে, যখন পাণ্ডবরা নির্বাসনে ছিলেন, দ্রৌপদী সাহায্যের জন্য ধৌম্য ঋষির কাছে গিয়েছিলেন। তিনি তাঁকে উপবাস করতে এবং সূর্যের কাছে প্রার্থনা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সব রীতি পালনের পর ধৌম্য ঋষি অবশেষে দ্রৌপদীর সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। আবার মহাভারতেই আছে, কর্ণ তাঁর পিতা সূর্যের (সূর্য) সম্মানে একটি পুজোপাঠের আয়োজন করেছিলেন। যাকে ছট পুজো বলেই মনে করা হয়।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/11/Chhath-Puja-3.jpg)
সব জায়গায় পালিত হলেও ছটের সঙ্গে বিহারের নাম কেন জড়িয়ে?
আজ, ছট হল এমন একটি উৎসব, যা বিহারে ধর্মপালনের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই উৎসবে অগণিত ভক্ত সূর্যের রশ্মি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গেই সৌরদেবকে প্রণাম করেন। সূর্যের দেবত্বের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করেন। তবে, যাঁরা এই উৎসবে অংশ নেন, তাঁরা সবাই কিন্তু উপবাস করেন না। শুধুমাত্র কিছু লোক উপবাস পালন করেন। তবে, উপবাস না করলেও বিহারের সব হিন্দুরাই ছট উৎসবকে সফল করার চেষ্টা চালান।
আরও পড়ুন- সূর্যদেব ও ‘ছটি মাইয়া’র পূজা, ভক্তদের ভিড়ে ভরল বেলুড় মঠ!
তাঁরা নদীর তীরে যাওয়ার রাস্তাগুলি পরিষ্কার করেন। আচার অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ছোট জিনিস সংগ্রহ করেন। ঠেকুয়া, ভোগ তৈরি করেন। আর, ছট উৎসবে এত বেশিমাত্রায় মনপ্রাণ ঢেলে অংশগ্রহণের জন্য এই অনুষ্ঠান এখন বিহারের উৎসবের সমার্থক হয়ে উঠেছে। তবে, বিহারবাসীর ছট উৎসব পালনের বিশেষ কিছু রীতি আছে। যা বিহারের ছটকে অন্যান্য রাজ্যের ছট উৎসব থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্য দিয়েছে।
আরও পড়ুন- হাত পেতে চাইতে হবে না! খাস্তা ঠেকুয়া এভাবে সহজে বানান ঘরেই
কী এই ছট?
কার্তিক (অক্টোবর-নভেম্বর) মাসের ষষ্ঠ দিনে ছটপুজো শুরু হয়। অনেকে চৈত্র বা এপ্রিল মাসেও তা পালন করেন। যাকে চৈতি ছট বলা হয়। ছটি মাইয়া বা মা ছাটি হলেন সূর্যের বোন। বলা হয় তিনি খুব উদার দেবী। তিনিই দেবী কাত্যায়নী। তিনিই সন্তান পালনের দেবী। ব্রহ্মার মানসকন্যা তিনি। এই উৎসবে সূর্যের সঙ্গে ছটি মাইয়ার আরাধনা করা হয়। চার দিনের এই উৎসব বেশ কঠোর নিয়মের সঙ্গে পালিত হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই পালনের জেরেই তাঁদের সংসারের সদস্যরা সারাবছর সুখে থাকেন।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us