দেশে করোনাভাইরাস কমে যাওয়ার এখনই কোনও লক্ষণ নেই। যদিও সংখ্যার বিচারে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বৃদ্ধির হার কমেছে , কিন্তু সংক্রমণের হার বেড়েছে। দেখা গিয়েছে যেসব রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ছে সেখানে ভাইরাসের বৃদ্ধির হার কম। যদিও গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৯৮৫১ জন। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২,২৬,৭৭০-এ।
এদিকে এই করোনা পরিস্থিতিতে দেশে চলছে আনলক ১। লকডাউন শিথিল করার প্রথম পর্যায়ে আগামী ৮ জুন থেকে খুলছে শপিং মল, রেস্তোরাঁ, হোটেল, অফিস ও ধর্মীয় স্থান। করোনাভাইরাস রুখতে রেস্তোরাঁ, শপিং মল, হোটেল, ধর্মীয় স্থানের জন্য নিয়মবিধি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।রোজই বাংলায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৩৬৮ জনের শরীরে মিলেছে কোভিড ১৯।
অন্যদিকে, বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ৮৭৬। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৭৫৩। বাংলায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৬৮ জন। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৭০৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৮ লক্ষ ৪ হাজার ৯৮২।
Read the live blog in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা-লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
অর্থমন্ত্রক সমস্ত মন্ত্রক ও তাদের বিভিন্ন বিভাগকে বলে দিয়েছে বর্তমান আর্থিক বর্ষে যেন নতুন কোনও প্রকল্প না নেওয়া হয়। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে এই সম্পদ করোনাভাইরাস সংকটে ভোগা দেশের উন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হবে।অর্থমন্ত্রকের অধীন ব্যয়বিভাগের এক অফিস মেমোরান্ডামে বলা হয়েছে, কোভিড ১৯ অতিমারীর পরিস্থিতিতে সরকারি অর্থসম্পদের এক অভূতপূর্ব চাহিদা দেখা দিয়েছে এবং ক্রমবর্ধমান ও ক্রমপরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে এই সম্পদ যথাযথ ভাবে ব্যবহার করা প্রয়োজন। সবিস্তারে পড়ুন, কোভিড সংকটে দেশ- নতুন কোনও প্রকল্পে অর্থ নয়, জানিয়ে দিল অর্থমন্ত্রক
কোভিড -১৯ লকডাউনের কারণে আটকা পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার জানায় যে তারা এই ধরনের সমস্ত শ্রমিককে তাদের নিজস্ব জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে ১৫ দিনের সময় দিচ্ছে। এমনকী সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক বলেও নির্দেশ দেয় আদালত।/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/63433migrantworkers-759.jpg)
সারা দেশে করোনাআক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান, যা প্রায় ৬৩ লক্ষ ছুঁইছুঁই। এ সময়ে ভ্যাকসিনের জন্য বেশ কিছু ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হচ্ছে, যা সার্স কোভ ২ বিরোধী দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে আশার আলো।
সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন পাঁচটি সংস্থাকে বেছে নিয়েছে যারা ভ্যাকসিন তৈরি করবে, এদিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও আস্ট্রাজেনেকা সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিনের মানুষের উপর পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে ব্রাজিল।
সারা পৃথিবীতে ১২০টির মত ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে, যার মধ্যে অন্তত ১০টির ক্ষেত্রে মানুষের উপর পরীক্ষা চলছে। ভারতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন ১৪টি কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের মধ্যে চারটি আগামী তিন থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পর্যায়ে যাবে। পড়ুন বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন জোট, জিএভিআই-কে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য করবে ভারত। বৃহস্পতিবার এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পৌরহিত্য়ে ভার্চুয়াল ভ্যাকসিন সামিটে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি এই অঙ্গীকার করেন। পড়ুন বিস্তারিত
বয়স মানে না করোনা। মাত্র ৪৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবারের ৫০ জন আত্মীয় পরিজন তাই গিয়েছিলেন শেষকৃত্যে। কিন্তু দেশে এখনও জারি লকডাউনের পঞ্চম দফা। তাই শ্মশান থেকে ওই ৫০ জনকে আটক করে পুলিশ। আত্মীয় পরিজন ছাড়াও মৃত ব্যক্তির অফিসের বন্ধুরাও ছিলেন সেখানে।যাদের আটক করা হয়েছে তাঁদের বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে আর গোটা গ্রামটিকে কনটেনমেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ৫০ জনকে লকডাউন নিয়ম ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যদিও প্রত্যেকের নমুনা এখনও সংগ্রহ করা হয়নি। পড়ুন, করোনায় মৃত রোগীর শেষকৃত্যে উপস্থিত ৫০ জনকে আটক করল পুলিশ
হোমিওপ্যাথি ওষুধ আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিতর্কের কারণ কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক হিসেবে এ ওষুধকে বেশ কিছু রাজ্যে সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগে আয়ুষ মন্ত্রক কোভিড-১৯ প্রতিষেধক হিসেবে যেসব প্রতিষেধকের তালিকা তৈরি করে, সেখানে আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০-র নাম ছিল।বিতর্কের শুরু যে জায়গা থেকে তা হল কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে এ ওষুধ কাজ করে বলে কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ মেলেনি শুধু এমনই নয়, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরাও তেমনটাই বলছেন।আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ রাজস্থান, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কেরালা সরকার সুপারিশ করেছে। মহারাষ্ট্র সরকার এ নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করলেও মুম্বইয়ের পুর কর্তৃপক্ষ অন্তত দুটি ওয়ার্ডের অতি ঝুঁকি সম্পন্ন এলাকায় এই ওষুধ বিতরণ করেছে। হরিয়ানা কারা কর্তৃপক্ষ ও মুম্বই পুলিশও যথাক্রমে বন্দি ও আধিকারিকদের মধ্যে এই ওষুধ বিতরণ করছে। বিস্তারিত পড়ুন, করোনা চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ওষুধ নিয়ে বিতর্ক
সারা দেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ হাজার নতুন সংক্রমণের খবর আসছে। এরই মধ্যে জাতীয় স্তরে এবং যেসব রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি, সেখানে বৃদ্ধির হার কিন্তু কমতির দিকে।মে মাসে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ছিল ৬.২ শতাংশ। সে হার ৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ার পর কমতে শুরু করে, এবং তার পর থেকে তা কমেই চলেছে। মঙ্গলবার জাতীয় স্তরে বৃদ্ধি হার ছিল ৪.৬৭ শতাংশ।মহারাষ্ট্রে দেশের মোট করোনা আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশের বাস। সেখানে গত দু সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ সংখ্যা কমছে বলেই বৃদ্ধিহার জাতীয় স্তরে মূলত কমছে। মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ হ্রাসের দ্রুততা জাতীয় পর্যায়ের থেকে বেষি। মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশের বৃদ্ধিহারের থেকে এক শতাংশ বেশি হার ছিল মহারাষ্ট্রে। সেই হার কমতে থাকায় জাতীয় বৃদ্ধির হারও কমেছে। ২ জুন থেকে মহারাষ্ট্রের বৃদ্ধিহার ছিল ৪.০৫ শতাংশ, যা জাতীয় হারের চেয়ে অনেকটাই কম। বিস্তারিত পড়ুন এই প্রতিবেদনে, সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লেও কমছে বৃদ্ধিহার
রোজই বাংলায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৩৬৮ জনের শরীরে মিলেছে কোভিড ১৯। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মৃত বেড়ে হয়েছে ২৮৩, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় মোট কোভিড ১৯ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১২৫৮। এরপরই রয়েছে হাওড়া (৭৫৫), উত্তর ২৪ পরগনা (৫৪৫), হুগলি (২৫৩),দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১২২)। পড়ুন, বাংলায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/47604corona-jk-759.jpg)
দেশজুড়ে দু’মাস ধরে চলা লকডাউনে করোনা-লকডাউনে ধ্বংস হয়েছে দেশের অর্থনীতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথোপকথনে সেই শঙ্কাই প্রকাশ করলেন শিল্পপতি তথা বাজাজ অটো সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব বাজাজ। তিনি আরও বলেন যে এর ফলে শিল্প এবং অর্থনীতি এই দুই ক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়েছে অটোমোবাইল ব্যবসাও। সেই প্রসঙ্গে রাজীব বাজাজ বলেন, “অবশ্যই অর্থনীতিকে ধ্বংস করা হয়েছে লকডাউন জারি করে। ভুলভাবে গোটা প্রক্রিয়াটিকে পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেভাবে জিডিপি রেখা কমেছে, সেখানে দিনের শেষে ওটাই কিন্তু শেষ কথা বলে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা”। তিনি বলেন, “ভারতকে যেভাবে লক করা হয়েছে তা হ’ল একধরনের কঠোর লকডাউন। এ ধরণের লকডাউন অন্য কোথাও হয়েছে বলে আমি অন্তত শুনিনি।”