করোনা-যুদ্ধে ৩১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল পিএম কেয়ারস ফান্ড। বুধবার সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ''৩১০০ কোটির মধ্য়ে ২০০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে ভেন্টিলেটর কেনার জন্য়, হাজার কোটি কাজে লাগানো হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য়। ভ্য়াকসিন তৈরির কাজে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা''।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩,৫২৫ জন, মৃত ১২২। এ দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ হাজার ছাড়াল। ভারতে মোট কোভিড-১৯ পজিটিভ ৭৪,২৮১ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৪৭,৪৮০। করোনা সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪,৩৮৫ জন। করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে মোট ২৪১৫ জনের।
বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪৩ লাখ ও মৃত ২ লাখ ৯১ হাজার ৯৪২ জন। আমেরিকায় পজিটিভের সংখ্যা ১,৩৬৯,৫৭৪ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৮২,৩৭৬ জনের।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
লকডাউনে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দ্বিতীয় পর্যায়ের ফেরানোর কাজ শুরু হবে আগামী ১৬ মে, যা চলবে ২২ মে পর্যন্ত। ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর সহ ৩২ দেশ থেকে ভারতীয়দের ফেরানো হবে। এই কাজে মোট ১৪৯ উড়ান ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। তারপরই রয়েছে হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা। তবে স্বাস্থ্য় দফতরের বুলেটিন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগের থেকে অনেকটাই স্বস্তিজনক অবস্থায় রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হুগলি।
করোনা-যুদ্ধে ৩১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল পিএম কেয়ারস ফান্ড। বুধবার সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ''৩১০০ কোটির মধ্য়ে ২০০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে ভেন্টিলেটর কেনার জন্য়, হাজার কোটি কাজে লাগানো হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য়। ভ্য়াকসিন তৈরির কাজে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা''।
করোনা-যুদ্ধে ৩১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল পিএম কেয়ারস ফান্ড। বুধবার সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ''৩১০০ কোটির মধ্য়ে ২০০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে ভেন্টিলেটর কেনার জন্য়, হাজার কোটি কাজে লাগানো হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য়। ভ্য়াকসিন তৈরির কাজে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা''।
মধ্য় দিল্লিতে রেলের সদর দফতরে করোনার থাবা। বুধবার এক আরপিএফ কর্মীর শরীরে মিলেছে কোভিড ১৯। এর জেরে আগামী ২ দিনের জন্য় বন্ধ থাকছে রেল ভবন। জানা যাচ্ছে, রেল ভবনের পঞ্চম তলে আরপিএফের ডিজি অরুণ কুমারের অফিসের কর্মীরা ৬ মে থেকে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।
করোনা সংক্রমণে তামিলনাড়ু আগের দিন দিল্লিকে অতিক্রম করার পর এবার গুজরাটকেও ছাড়িয়ে গেল দিল্লি। তামিলনাড়ুতে মঙ্গলবার মোট ৭১৪ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে, অর্থাৎ এখানে এখন মোট সংক্রমণ ৮৭১৮। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণে রয়েছে গুজরাট, মঙ্গলবার ৩৬২ জনের নতুন সংক্রমণের পর তাদের সংখ্যা এখন ৮৯০৪।
তামিননাড়ুর চেন্নাইতেই মোট সংক্রমণ প্রায় ৫০০০। রাজ্যে মোট সংক্রমণের ৫৫ শতাংশ এখানেই। কিন্তু শুধু চেন্নাই নয়। বিভিন্ন রাজ্যে মোট সংক্রমণের বড় অংশ, ৫০ শতাংশেরও বেশি একটি বা দুটি শহর থেকে ঘটছে। মহারাষ্ট্রের মোট সংক্রমণের ৬০ শতাংশ ঘটেছে মুম্বইয়ে এবং গুজরাটের মোট সংক্রমণের ৭০ শতাংশ ঘটেছে আমেদাবাদে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর ও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার অবস্থাও একই রকম। (ছবি দেখুন)। রাজ্যে মোট মৃত্যুর অধিকাংশও ঘটেছে এই শহরগুলিতে। পড়ুন বিস্তারিত
করোনা মোকাবিলায় গ্রিন, অরেঞ্জ ও রেড জোন চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি উঠেছে। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে একাধিক রাজ্য এই দাবি উত্থাপন করে। তারপরই জোন নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলোর মতামত জানতে চাইলো মোদী সরকার। আগামী ১৫ মে-র মধ্যে রাজ্যগুলোকে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। পড়ুন বিস্তারিত
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই ঘোষণা ঘিরে কংগ্রেসের অন্দরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিরোধী বাম ও তৃণমূল একাধিক প্রশ্ন তুললেও কেন্দ্রীয় প্যাকেজের সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা দেখেই প্রতিক্রিয়া দেবে বলে জানিয়েছে। আজই বিকেল চারটেতে ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজের বিশদ ব্যাখ্যা দেবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। পড়ুন বিস্তারিত
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর ফলে ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পের লাভ হবে। সুফল পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকরাও। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও বলেছিলেন যে, ওই প্যাকেজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই মোতাবেক, আজ বিকেল চারটের সময় করোনা মোকাবিলায় ঘোষিত ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারামন।
করোনা থাকবে, কিন্তু আমাদের বাঁচতে হবে এবং এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, কার্যত এ বার্তা দিয়েই ‘আত্মনির্ভর’ দেশ গড়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”করোনা পরিস্থিতি ভারতকে আত্মনির্ভর হতে শেখাচ্ছে। আমাদের সংকল্প আত্মনির্ভর ভারত”। এরপরই দেশকে আত্মনির্ভর গড়ে তুলতে ২০ লক্ষ কোটির বিশেষ আর্থিক প্য়াকেজ ঘোষণা করেন নমো।
কী এই বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ?
এদিন প্রধানমন্ত্রী বললেন, ”এই আর্থিক প্যাকেজ আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের কাজ করবে। ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্য়াকেজ। দেশের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ এই প্যাকেজ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্যাকেজ। সংগঠিত, অসংগঠিত সব শ্রেণির মানুষের জন্য এইপ্যাকেজ। জমি, শ্রম, নগদের জোগানের জন্য এই প্যাকেজ। এই প্যাকেজে উপকৃত হবেন কৃষকরাও। অর্থমন্ত্রী আগামিকাল ধাপে ধাপে বিস্তারিত জানাবেন এ ব্যাপারে”। পড়ুন বিস্তারিত
করোনা মোকাবিলায় দেশে চতুর্থ ধাপে লকডাউন চলবে। তবে তা অন্যান্য লকডাউনের থেকে আলাদা হবে। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”দেশে চতুর্থ লকডাউন চালু করা হবে। তবে তা একেবারে আলাদা হবে। নতুন নিয়ম ও নির্দেশিকা জানানো হবে। সব রাজ্য়ের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হবে। আগামী ১৮ মে’র আগে এ ব্য়াপারে জানানো হবে”।
উল্লেখ্য়, বর্তমানে দেশজুড়ে তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে। আগামী ১৭ মে শেষ হচ্ছে তৃতীয় দফার লকডাউনের মেয়াদ। করোনা রুখতে গত ২৫ মার্চ দেশজুড়ে প্রথম লকডাউন জারি করা হয়। প্রথম দফার লকডাউন শেষ হয় গত ১৪ এপ্রিল। ১৫ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার লকডাউন ঘোষণা করে মোদী সরকার। পড়ুন বিস্তারিত
মে-র প্রথম সপ্তাহে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী। তবে, এপ্রিল ১৩ থেকে মে মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত ভারতে সংক্রমণের হার ১.২৩ শতাংশ। তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনে বেশ কিছু ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ১.২৩-তেই স্থির রয়েছে। ইন্সটিটিউট অফ ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্স, চেন্নাইয়ের সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
লকডাউনের শুরুর দিকে (২৭ মার্চ-৬ এপ্রিল) সংক্রমণের প্রাথমিক হার ছিল ১.৮৩। সংক্রমক রোগের ক্ষেত্রে ভাইরাসের প্রজননের সংখ্যা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রকোপকে সূচিত করে। মূলত একজন সংক্রমিতের দ্বারা অন্য কতজন সংক্রমিত হলেন তা বোঝা যায়। বর্তমানে আর নম্বর (ভাইরাস প্রজননের হার) ১.২৩ দ্বারা সূচিত হয় যে, ভারতে এক জন করোনা সংক্রমিতের দ্বারা গড়ে ১.২৩ জন ব্যক্তি কোভিড-১৯-য়ে সংক্রমিত হচ্ছেন। পড়ুন বিস্তারিত
স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে ভারতে মোট কোভিড-১৯ পজিটিভ ৭৪,২৮১ জন। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ৪৭,৪৮০। করোনা সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪,৩৮৫ জন। করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে মোট ২৪১৫ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩,৫২৫ জন, মৃত ১২২।