করোনা আবহে আগামী ১০ দিন সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
খানিকটা স্বস্তি বাংলায়। বাংলায় ইংল্যান্ড ফেরত করোনা আক্রান্ত তরুণের বাবা-মা ও চালকের রিপোর্ট নেগেটিভ। তবে তাঁদের আরও ১৪দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। ইংল্যান্ড ফেরত তরুণে এই মুহূর্তে বেলেঘাটা আইডি- তে ভর্তি। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন তিনি হাঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'ব্যক্তিভেদে রোগ হয় না। রোগ সবারই হতে পারে। গুজব রটাবেন না। প্রভাবশালী বলে রোগ এড়াবেন না। যাঁরা বিদেশ থেকে আসছেন, তাঁরা নিজেদের পরীক্ষা করান। প্রয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি মেনে আইসোলেশনে থাকুন। যদি রোগ লুকিয়ে যান তার থেকে অবেবিচনার আর কিছু হতে পারে না।'
ক্রমশ ভয়ঙ্কর হচ্ছে করোনাভাইরাসের থাবা। কলকাতায় ব্রিটেন ফেরত তরুণের শরীরে মিলল মারণ ভাইরাস। বর্তমানে ওই তরুণকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুরু হয়েছে চিকিৎসা। তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি ওই তরুণের বাবা, মা ও গাড়ির চালককে আপাতত নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ওই তরুণ আর কার কার সংস্পর্শে এসেছেন তার খোঁজ চলছে। এদিকে গৃহ নজরদারিতে গেলেন রাজ্যের এক শীর্ষ আমলা।
Live Blog
Coronavirus Situation in West Bengal, India updates. বাংলা ও ভারতে করোনাভাইরাসের খবরের আপডেট জানতে চোখ রাখুন এখানে...
করোনা আতঙ্কে পিছিয়ে গেল পুরভোট। আপাতত পুরভোট হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গত সোমবার থেকে ১৫ দিন পর এ নিয়ে ফের আলোচনা হবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এখনই পুরভোট না করার ব্যাপারে একমত শাসক ও বিরোধী শিবির। এ নিয়ে আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবিস্তারে পড়ুন
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে মমতা সরকারের। মারণ ভাইরাসের থেকে সতর্কতায় রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। সোমবার নবান্নে বৈঠক থেকে একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় ২০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করা হয়েছে বলে জানান মমতা। সবিস্তারে পড়ুন
ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পরেই বেলেঘাটা আইডিতে কলকাতার প্রথম করোনা আক্রন্ত তরুণকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে ওই তুরুণের শরীরে কোভিড-১৯-এর কোনও উপসর্গ ছিল না। বিদেশ থেকে ফেরার পরে নিয়মমাফিক শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। আর তাতেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়। ইংল্যান্ড থেকে আসার পরে ওই তরুণ বাবা, মা ছাড়াও গাড়ির চালকের সংস্পর্শে আসেন। সেই কারণে ওই তিনজনকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এখন খোঁজ করা হচ্ছে কলকাতায় আসার পরে ওই তরুণ আরও কারও সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা। সেটা জানা গেলে তাদেরও কোয়ারেন্টাইন করা হবে।
করোনা কাঁপুনিতে ত্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ। মারণ ভাইরাসের কবল থেকে রেহাই পেতে রাজ্যজুড়ে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, “এখন পর্যন্ত COVID-19 কবলিত দেশগুলি থেকে ১২,২৪৪ জন সফরকারীকে চিহ্নিত করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ২৪৮ জনের ক্ষেত্রে নজরদারির সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি ১১,৯৭৮ জনকে গৃৃৃৃহ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত COVID-19 পরীক্ষার জন্য পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (NIV), ও কলকাতার ICMR-NICED এবং IPGMER-এ মোট ৭০টি নমুুনা পাঠানো হয়েছে। একটি নমুনা পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছে। অবশিষ্ট ৬৯টি নমুনা নেগেটিভ। নজরদারিতে থাকা সকলের শারীরিক অবস্থাই এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক।”
বাংলাতেও করোনা মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ সিনেমা-সিরিয়ালের কাজ। আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে পুরভোট।
করোনা আবহে আগামী ১০দিন স্থগিত রাখা হল সমস্ত পরীক্ষা, সিদ্ধান্ত মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের। এর মধ্যে রয়েছে সিবিএসই-র দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর সমস্ত বোর্ড পরীক্ষা, জেইই (মেইনস), এবং সমস্ত ইউনিভার্সিটির পরীক্ষাও।
খানিকটা স্বস্তি বাংলায়। বাংলায় ইংল্যান্ড ফেরত করোনা আক্রান্ত তরুণের বাবা-মা ও চালকের রিপোর্ট নেগেটিভ। তবে তাঁদের আরও ১৪দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। ইংল্যান্ড ফেরত তরুণ এই মুহূর্তে বেলেঘাটা আইডি- তে ভর্তি। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে।
'ব্যক্তিভেদে রোগ হয় না। রোগ সবারই হতে পারে। গুজব রটাবেন না। প্রভাবশালী বলে রোগ এড়াবেন না। যাঁরা বিদেশ থেকে আসছেন, তাঁরা নিজেদের পরীক্ষা করান। প্রয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি মেনে আইসোলেশনে থাকুন। যদি রোগ লুকিয়ে যান তার থেকে অবেবিচনার আর কিছু হতে পারে না।' করোনা সতর্কতায় বুধবার কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা পুরনিগমেও করোনা মোকাবিলায় বিশেষ সতর্কতা। পুরসভায় মূল কার্যালয়ে যাঁরাই প্রবেশ করছেন তাদেরই স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে। গত সোমবারই করোনা রোধে বিশেষ বৈঠক হয় কলকাতা পুরনিগমে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষের এই জরুরি বৈঠকে শহরে করোনা রোধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল কলকাতা পুরনিগমের সব কার্যালয়ের সব গেটে স্যানিটাইজারের এর ব্যবস্থা করা। যাঁরা ঢুকবেন তাঁদের হাত পরিষ্কার করানো হবে। কর্মচারীদের জন্য মাক্স কেনা হবে। জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্রের যে অফিস থেকে বিতরণ করা হয় তা চারভাগে ভাগে ভাগ করে দেওয়া। তিনটি অফিস হবে পুরনিগমের মূল ভবনে। একটি হবে উল্টোডাঙা হাডকো বিল্ডিংয়ে। এই কার্যালয়গুলি থেকেই ভবিষ্যতে বার্থ ও ডেথ সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫ জনকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
ছবি: শশী ঘোষ
শহর জুড়ে করোনা আতঙ্ক। সোশাল মিডিয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই নানা মেসেজ ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু, তা থেকেই বহু গুজবও রটছে। যা বন্ধ করতে তৎপর কলকাতা পুলিশ। গুজব ছড়ালে আইনানুগ ব্যবস্তা নেওয়া হবে বলে এদিন টুইটে সতর্ক করেছেন কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মা।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। কলকাতাতেই মঙ্গলবার রাতে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। অফিসের ব্যস্ত সময়ও ফাঁকা শহরে চালাচলকারী বাস, ট্রাম। যাত্রী হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন। এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত বাস মালিকদের।
ছবি: শশী ঘোষ
ব্রিটেন থেকে ফিরেই সাতদিনের জন্য আইসোলেশনে গেলেন মিমি চক্রবর্তী ও জিৎ। মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী বলেন, ”যেহেতু ব্রিটেন থেকে আসছি তাই বাড়ি ফিরে সাতদিনের জন্য নিজেকে আইসোলেশনে রাখব। বাবা-মাকেও ফোন করে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসতে বারণ করেছি। আমার বাবার বয়স ৬০ বছরের উপরে।”
শুটিং বাতিল করে দেশে ফিরলেন টিম ‘বাজি’। কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়ে গিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। দিব্যি শুটিংও করছিলেন। ব্রিটেনের বাকিংহামশায়ারে আপাতত শুটিং চলছিল, কিন্তু সমস্তটা বাতিল করে দেশে ফিরছে টিম ‘বাজি’। মঙ্গলবার, সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেই এ খবর জানান মিমি। বিস্তারিত পড়ুন
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই কোয়ারেন্টাইনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে রাজারহাটে। কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের রাজারহাটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে। রবি ও সোমবার মিলিয়ে প্রায় একশ জনকে কোয়ারেন্টাইন-এ রাখা হয়েছে। মঙ্গলবারও বেশ কয়েকজন এসেছেন এই কেন্দ্রে।
এই মুহূর্তে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের রাজারহাটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীও। নির্দেশ অনুযায়ী দমদম বিমানবন্দর থেকে এখানে নিয়ে আসা হচ্ছে বিদেশ ফেরৎ যাত্রীদের। ভিতরে প্রবেশের আগে নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসক, হাসপাতালের কর্মী ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী ছাড়া হাসপাতালে অন্যদের প্রবেশ নিষেধ। এমনকী প্রয়োজনে তাঁদের পরিচয়পত্রও দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এখনো পর্যন্ত তিনশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে এখানে। বিস্তারিত পড়ুন
করোনা আতঙ্কের জেরে অবশেষে বন্ধ হয়ে গেল টেলিপাড়ার শুটিং। বুধবার থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত টালিগঞ্জের সমস্ত শুটিং বন্ধ থাকবে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইম্পার প্রেসিডেন্ট প্রিয়া সেনগুপ্ত, আর্টিস্ট ফোরাম, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ও প্রোডিউসার্স গিল্ডের মিলিত বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়।
মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বললেন, ”আমরা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী কাল থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত সমস্ত শুটিং বন্ধ থাকবে। মানুষের স্বাস্থ্য সবার আগে।” আগামী ৩০ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এদিন কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪৭। এখনও পর্যন্ত মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। গোটা বিশ্বে নিহতের সংখ্যা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দু'লক্ষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই করোনাকে অতিমারী বলে ঘোষণা করেছে। সবিস্তারে পড়ুন
করোনাভাইরাসের বিমোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের ১০৮-টি আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিক প্রবেশ পথে নজরদারির বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার। প্রবেশ পথে মোতায়েন করা হয়েছে মেডিক্যাল দল। মঙ্গলবার বাংলায় প্রথম করোনভাইরাস আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসে। বাংলার সঙ্গে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। আগেই পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছিল। এছাড়া বাংলার সঙ্গে আসাম, বিহার, ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশার আন্তঃরাজ্য সীমানা রয়েছে। সেখানে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
করোনা আতঙ্ক সর্বত্র। ট্রেনে, বাসে যাত্রীরা মাস্ক পড়ে বেরোচ্ছেন। প্রয়োজনীয় কারণ ছাড়া রাস্তায় মানুষের ভিড় কম। গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতার রাজপথে চেনা ভিড় উধাও। বন্ধ বিভিন্ন পার্ক, সিনেমা হল, প্রদর্শনী। জমায়েত এড়াতে বলা হয়েছে। বন্ধ সব স্পোটিং ইভেন্টও।
লোকাল ট্রেনে মাস্ক মুখে যাত্রীরা। ছবি: শশী ঘোষ