Uttarakhand News: 'অহিন্দু ও রোহিঙ্গাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ' রুদ্রপ্রয়াগে লাগানো পোস্টারের জেরে তুমুল উত্তেজনা। বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রশাসনিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়। পরে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে এই পোস্টারগুলিকে সরিয়ে দেয়। এই গোটা বিষয়ে রুদ্রপ্রয়াগ পুলিশ বলছে, 'গ্রামে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা লাগানো বোর্ড সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের বোর্ড লাগানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কোনভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া হবে না।
RG Kar-Jawhar Sircar: 'রাজনীতি ছাড়ছি কিন্তু নীতি ছাড়ব না,' ইস্তফা পুনর্বিবেচনায় মমতার আর্জি ফিরিয়ে বার্তা জহরের
'অহিন্দু ও রোহিঙ্গাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ'! এমনই পোস্টার ঘিরে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে চূড়ান্ত উত্তেজনা। জানা গিয়েছে পোস্টারটি লাগিয়েছে 'ভৈরব সেনা' নামে একটি স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। রুদ্রপ্রয়াগ জেলার বহু গ্রামে ‘অহিন্দু’ ও ‘রোহিঙ্গা মুসলমানদের’ প্রবেশ নিষিদ্ধ করে সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। এআইএমআইএম এবং কংগ্রেস এই পোস্টারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে। খবর পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে উত্তরাখণ্ড পুলিশ।
RG Kar Case in Supreme Court: সন্দীপের বাড়ি থেকে RG করের দূরত্ব কত? জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি
उत्तराखण्ड के रुद्रप्रयाग ज़िले में कई जगह इस प्रकार के पोस्टर लगाए गए, जिन्हें बाद में प्रशासन ने हटवा दिए। मगर इतना असंतोष पनपने की वजह क्या है, जिसका निराकरण स्थानीय प्रशासन नहीं कर पा रहा? pic.twitter.com/R6g3UR0ZQB
— SANJAY TRIPATHI (@sanjayjourno) September 9, 2024
উত্তরাখণ্ড পুলিশের মুখপাত্র দিনেশ ভার্নে জানিয়েছেন,রুদ্রপ্রয়াগে কিছু পোস্টার লাগানোর ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রামবাসী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশের তরফে এও জানানো হয়েছে, 'কেউ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে'। এআইএমআইএম-এর রাজ্য সভাপতি নায়ার কাজমি এই বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের ডিজিপির সঙ্গে দেখা করেছেন। এই ধরণের ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। কংগ্রেসও এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
'প্রেমের'রাজনীতি! ইতিহাসকে 'আক্রমণ' বরদাস্ত নয়, ভালবাসায় বিদেশের মন জিতলেন রাহুল
বোর্ড লাগানোর পর পুলিশ প্রশাসনও রবিবার গ্রামবাসীদের সাথে কয়েক দফা আলোচনা করেন। তারপরে গ্রামে লাগানো বোর্ডগুলি থেকে আপত্তিকর শব্দগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং গ্রামে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সব গ্রামবাসীর সম্মতির পরই বোর্ড লাগানো হয়েছে। গ্রামবাসীরা বলছেন, গ্রামে চুরি, অপরাধ ও অন্যান্য ঘটনা বন্ধ করাই তাদের লক্ষ্য। অনেক সন্দেহভাজন লোক পরিচয় ছাড়াই গ্রামে ঢুকে পড়ে। যার কারণে অপরাধের আশঙ্কা থেকে যায়। উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় বর্তমানে যে ধরনের ঘটনা ঘটছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করার জন্য বোর্ড লাগানো হয়েছে। পুলিশ সুপার অক্ষয় প্রহ্লাদ কোন্ডে বলেছেন যে পুলিশের কাছে এই ঘটনার সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে। বিশেষ ব্যক্তি বা সমাজকে উদ্দেশ্য যে বোর্ড লাগানো হয়েছিল সেটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যদিও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।