India-China Relation: ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক প্রায় তলানিতে। দীর্ঘ চার বছর পর সেই সম্পর্কের কিছুটা হলেও অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, "ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। দীর্ঘদিন সীমান্ত ইস্যুতে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছিল। সেদিক থেকে সম্পর্ক কিছুটা হলেও উন্নত হয়েছে"।
আরও পড়ুন- কোটি কোটি বকেয়া, বিদ্যুৎ বন্ধ করে বাংলাদেশকে 'চিমটি' আদানির, অন্ধকারে হাতড়াচ্ছে পড়শি দেশ
অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি ব্রিসবেনে ভারতীয় প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এই সময় বিদেশমন্ত্রী ভারত ও চিনের সম্পর্কের বিষয়ে সাম্প্রতিক ইতিবাচক পদক্ষেপের উল্লেখ করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রী বলেন, "ভারত ও চিন দুপক্ষ'ই সেনা প্রত্যাহারের দিক থেকে কিছুটা অগ্রগতি করেছে"। উভয় দেশের এই উদ্যোগকে 'স্বাগত' পদক্ষেপ বলেও উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। পূর্ব লাদাখের দেমচোক ও ডেপসাং দুটি পয়েন্ট থেকেই সম্প্রতি চিন তার সেনা প্রত্যাহার করে। এর পর ভারতও ওই দুটি পয়েন্ট থেকে সেনা সরিয়ে নিতে সম্মত হয়।
আরও পড়ুন- ভরা বাজারে ভয়ঙ্কর গ্রেনেড হামলা, আহত ১২, নিন্দায় গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী
ব্রিসবেনে প্রবাসী ভারতীয়রা চিন ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে বিদেশমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, "ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা হলেও অগ্রগতি হয়েছে । ভারত ও চিন উভয় দেশই সেনা প্রত্যাহারের দিক থেকে কিছুটা অগ্রগতি করেছে"। উল্লেখ্য গত মাসে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাশিয়ায় তিনি চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন। ২১ শে অক্টোবর বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন যে কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পরে, ভারত ও চিনের মধ্যে একটি চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন ২০২০ সাল থেকে চলমান সমস্যাগুলির সমাধানের বিষয়ে ঈঙ্গিতপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তখন থেকেই পূর্ব লাদাখের এলএসি এলাকায় সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে দু'দেশ সম্মত হয়।
আরও পড়ুন- প্রমাণ ছাড়া অমিত শাহের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, কানাডার বিরুদ্ধে কড়া পথে হাঁটল ভারত
ইউক্রেন-রাশিয়া বিরোধের বিষয়ে, জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে ভারত প্রথম থেকেই কূটনীতির মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জুলাই মাসে রাশিয়া এবং তারপর আগস্টে ইউক্রেন সফর করেছেন। ভারত বারে বারে দু'দেশের বিরোধ মেটাতে কূটনীতিকে হাতিয়ার করার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও, জয়শঙ্কর বলেন, "এই মুহূর্তে, সংঘাত যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেটা লক্ষ্য । ইরান ও ইজরায়েল একে অপরের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারছে না। তাই বিভিন্ন দেশ "তারা ব্যবধান পূরণ করতে পারে কিনা তা দেখার। ভারতও তাদের মধ্যে একটি দেশ"।
আরও পড়ুন- তুমুল চাঞ্চল্য শান্তিনিকেতনে! অনুব্রতর জেলায় তৃণমূলের পঞ্চায়েতের সদস্যকে পিটিয়ে খুন