Operation Sindoor: সরকারি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর ৯টি জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে ধ্বংস করার সময় মৃত পাঁচ জঙ্গির (Terrorist) মধ্যে জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) প্রধান মাসুদ আজহারের শ্যালক হাফিজ মহম্মদ জামিল এবং মহম্মদ ইউসুফ আজহার ছিল।
Operation Sindoor-এ দুরন্ত হামলায় লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-e-Taiba) এবং জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর নিশানা করা হয়েছিল। দুই সপ্তাহ আগে পাহেলগাম জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়।
লক্ষ্যবস্তু করা ৯টি স্থানের মধ্যে ৫টি ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে দুটি করে এবং ভিম্বরে একটি করে) এবং চারটি পাকিস্তানের (শিয়ালকোটে দুটি, মুরিদকে এবং বাহাওয়ালপুরে একটি করে)। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের বালাকোটে একটি জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল।
যেখানে হামলা
৯টি জঙ্গি ডেরাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে লাহোরের কাছে মুরিদকেতে মারকাজ তইবা, লস্কর-ই-তইবার সদর দফতর। যেখানে ২৬/১১-এর জঙ্গি আজমল কাসাব ও লস্কর স্কাউট ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও রয়েছে মারকাজ সুবহানাল্লাহ, বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি; শিয়ালকোটে সরজল; শিয়ালকোটে মেহমোনা জয়া; মুজাফফরাবাদের সাওয়াই নালা; মুজাফফরাবাদে সৈয়দনা বিলাল; কোটলির গুলপুর; কোটলিতে আব্বাস এবং ভিম্বার।
আরও পড়ুন- অবশেষে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লা?
১. মুদাসসার খাদিয়ান খাস, ওরফে মুদাসর, ওরফে আবু জান্দাল: লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই জঙ্গি মুরিদকে মারকাজ তৈইবার ইনচার্জ ছিল।
আরও পড়ুন- মোটা হয়ে যাওয়া'টা কমান, না-হলে কিন্তু মৃত্যুকে নিজেই কাছে ডাকছেন, কীভাবে? জানুন এখানে
২. হাফিজ মহম্মদ জামিল: জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত। এই জঙ্গি জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের বড় শ্যালক। সূত্র অনুসারে, সে বাহাওয়ালপুরের মারকাজ সুবহানআল্লাহর দায়িত্বে ছিল এবং জৈশ-ই-মহম্মদের জন্য তহবিল সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন- রাতারাতি মুছে দেবে বয়সের ছাপ, জেনে নিন কীভাবে কাজ করে অ্যান্টি-এজিং ক্রিম
৩. মহম্মদ ইউসুফ আজহার, ওরফে ওস্তাদ জি, ওরফে মহম্মদ সেলিম, ওরফে ঘোসি সাহাব: জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত, সে-ও মাসুদ আজহারের শ্যালক এবং জঙ্গি সংগঠনের হয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ পরিচালনা করত। আইসি-৮১৪ ছিনতাই মামলায় তাকে ওয়ান্টেড করা হয়েছিল এবং জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি হামলার সঙ্গেও জড়িত ছিল ওই জঙ্গি।
আরও পড়ুন- সাক্ষাৎ যমদূত! স্নান করতে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত, এই প্রাণীর বিষ সায়ানাইডের চেয়ে ১,২০০ গুণ শক্তিশালী!
৪. খালিদ, ওরফে আবু আকাশা: লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত। সে জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি হামলায় জড়িত ছিল। আফগানিস্তান থেকে অস্ত্র পাচারের সঙ্গেও জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
৫. মহম্মদ হাসান খান: জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত। এই জঙ্গি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জৈশ-ই-মহম্মদের অপারেশনাল কমান্ডার মুফতি আসগর খান কাশ্মীরির ছেলে। এমনটাই সূত্রের খবর। জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার সমন্বয়েও এই জঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল বলেই জানা গেছে।