Kaal Sarp Dosha Remedy: কালসর্প যোগ, নামটা শুনলেই অনেকের বুক আতঙ্কে কেঁপে ওঠে। কেন? কারণটা খুব সহজ। এই যোগ তৈরি হয় দুষ্ট গ্রহ রাহু এবং কেতুর মিলিতভাবে কুপ্রভাব ফেলার মধ্যে দিয়ে। বৈদিক জ্যোতিষমতে রাহু গ্রহ অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই গ্রহ জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। আর, কেতুও তাই। এরা আসলে রাক্ষস, যাঁরা এক ছিলেন। কিন্তু, বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রে খণ্ডিত হয়ে আলাদা পরিচিতি পেয়েছেন। খণ্ডিত অংশের মাথা হয়েছে রাহু। আর, ধড়ের নাম হয়েছে কেতু।
এই দুই ক্ষতিকারক গ্রহের কবলে পড়ে বহু সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তবে জ্যোতিষমতে এর প্রতিকারও আছে। নাগপঞ্চমীর দিন নাকি শিবের সঙ্গে সর্প দেবতার পূজা করলে কালসর্প যোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধি আসে। আর, এই কারণেই হিন্দু ধর্মে শ্রাবণ মাসকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই মাসে ভগবান শিবের পূজা অত্যন্ত প্রচলিত। তার সঙ্গেই রয়েছে নাগপঞ্চমী। যে নাগ আবার শিবের ভক্ত বলেই দাবি করা হয়েছে হিন্দু ধর্মে।
আরও পড়ুন- কেনার দরকার নেই! চাল ধোওয়া জলে বাড়িতেই বানান দুর্দান্ত এই ফেসওয়াশ, উজ্জ্বলতা ঠিকরে পড়বে
এবং
আরও পড়ুন- চরম সংকটে ভারত! এইডসের আর্থিক সাহায্য বন্ধ হলে ২০২৯ সালের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে ৪০ লক্ষ মানুষের
এবার নাগপঞ্চমী কবে?
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে শ্রাবণ মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে পালিত হয় নাগপঞ্চমী। এবার এই তিথি পড়েছে ২৮ জুলাই। যা শুরু হবে রাত ১১টা ২৪ থেকে। তিথি থাকবে ৩০ জুলাই রাত ১২টা ৪৬ পর্যন্ত। উদয়তিথি অনুসারে এবার নাগপঞ্চমী উৎসব পালিত হবে ২৯ জুলাই। যাঁদের কুণ্ডলীতে কালসর্প দোষ আছে, তাঁরা এই তিথিতে প্রাচীন শিব মন্দিরে সর্প দেবতার পুজো করে থাকেন। সর্প দেবতাকে দুধ-কলা নিবেদন করেন। যার মাধ্যমে কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলেই মনে করে থাকেন জ্যোতিষীরা।
আরও পড়ুন- মাত্র ১০ মিনিটে বিশ্বের প্রথম হার্মিস বার্কিন ব্যাগ বিক্রি হল ৮৫ কোটি টাকায়! নিলামে, হুলুস্থুল কাণ্ড
এবং
আরও পড়ুন- উপবাস না করেও চাইছেন উপবাসের সুফল? ফলো করুন এই ডায়েট
ইচ্ছা পূরণের জন্য এই তিথিতে সর্প দেবতাকে হলুদ, চাল, ফুল, কাঁচা দুধ, ঘি নিবেদন করা হয়। নাগপঞ্চমী ব্রতকথা শুনতে হয় বা পাঠ করতে হয়। পুজোর পর সর্পদেবতার আরতি করতে হয়। জ্যোতিষীদের বিশ্বাস, এতে সর্পদেবতার আশীর্বাদ পাওয়া যায়। জীবনের বাধাগুলো দূর হয় সহজেই। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক মধুর হয়। পুজোর পর একবালতি জলে ফিটকিরি, সমুদ্রের লবণ এবং গোমূত্র মিশিয়ে সেই জল দিয়ে গোটা ঘর পুছতে হয়। বাড়ির ঠাকুরঘরে ধূপ এবং দীপ জ্বেলে রাখতে হয়। মনে করা হয় যে এতে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। পরিবারে সুখ, শান্তি এবং ভালোবাসার পরিবেশ তৈরি হয়।