/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/25/aparna-sen-2025-10-25-12-44-42.jpg)
Aparna Sen: অপর্ণা সেন।
Aparna Sen Birthday Special: ফুরফুরে এক রোদ, আজ তাঁর জন্মদিন। তিনি অভিনেত্রী, পরিচালক, সম্পাদক, সমাজ সচেতন নাগরিক— বহু পরিচয়ে উজ্জ্বল অপর্ণা সেন। ক্যালেন্ডার বলছে বয়স ৮০, কিন্তু তাঁর প্রাণচঞ্চল সত্তা ও শিল্পীসত্তা আজও তাজা, ফুরফুরে রোদের মতোই দীপ্ত।
শৈশব ও বেড়ে ওঠা
২৫ অক্টোবর ১৯৪৫ সালে কলকাতায় জন্ম নেন অপর্ণা সেন। বাবা ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সমালোচক চিদানন্দ দাশগুপ্ত। আর মা সুপ্রিয়া দাশগুপ্ত ছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশের আত্মীয়া। শৈশব থেকেই সাহিত্য, সিনেমা ও সংস্কৃতির বাতাবরণে বড় হয়ে ওঠেন তিনি। বাড়ির সবাই ডাকতেন ‘রীনা’ নামে।
আরও পড়ুন- সাবধান! কথার জালে ভোলানো, এই রাশির জাতক-জাতিকাদের কাছে বাঁ হাতের খেল
অভিনয় জীবনের শুরু
মাত্র ১৬ বছর বয়সে সত্যজিৎ রায়ের ‘তিনকন্যা’ (১৯৬১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সিনেমা জগতে পদার্পণ।
সেই শুরু, যা পরে হয়ে উঠল এক দীর্ঘ ও ঐতিহ্যপূর্ণ যাত্রা। পরবর্তীতে সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘জন অরণ্য’–র মত কালজয়ী ছবিতে তাঁর অভিনয় অনবদ্য ছাপ রাখে।
আরও পড়ুন- পৃথিবীর প্রাচীনতম রেলস্টেশন কোথায় আছে জানেন?
বহুমাত্রিক অভিনেত্রী
অপর্ণা সেন অভিনয় করেছেন মৃণাল সেনের ‘আকাশকুসুম’, ‘একদিন আচানক’, ‘মহাপৃথিবী’-এর মত ছবিতে।
‘বসন্ত বিলাপ’–এর মত জনপ্রিয় সিনেমায় ছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। উত্তমকুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়— সকলের সঙ্গেই সিন পরদায় তৈরি করেছেন স্মরণীয় রসায়ন। বলিউডেও তিনি সমান দক্ষতায় অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন, শশী কাপুর, দিলীপ কুমার, শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে।
আরও পড়ুন- ভারতে এই রঙের গাড়ি চালানো আইনত নিষিদ্ধ, জানেন কেন?
ক্যামেরার পিছনেও সফল
অভিনয় জীবনের পাশাপাশি ক্যামেরার পেছনেও দেখিয়েছেন অসাধারণ মেধা। ১৯৮১ সালে পরিচালনা করেন প্রথম ছবি ‘থার্টি সিক্স চৌরঙ্গী লেন’। যা তাঁকে এনে দেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পরবর্তী সময়ে উপহার দিয়েছেন ‘পরমা’, ‘পারমিতার একদিন’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার’, ‘১৫ পার্ক অ্যাভিনিউ’, ‘গোয়েন্দা গোগোল’, ‘দ্য রিপাবলিক অফ লাভ’–এর মত প্রশংসিত সিনেমা।
আরও পড়ুন- বেলুড় মঠের রহস্য! কেন আজও ভয়ে, ভক্তিতে এই কৌটোর পুজো করেন সন্ন্যাসীরা?
সম্পাদক ও সমাজকর্মী
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি সাংবাদিকতাতেও সমান পারদর্শী। এক সময় কলকাতায় নারীকেন্দ্রিক একটি পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। সমাজ-রাজনীতিতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর স্পষ্ট ও নির্ভীক অবস্থান তাঁকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে।
সম্মাননা ও স্বীকৃতি
অপর্ণা সেনের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক জাতীয় পুরস্কার, বিএফজেএ পুরস্কার এবং ভারত সরকারের পদ্মশ্রী (১৯৮৭) সম্মান। দেশ-বিদেশে অসংখ্য চলচ্চিত্র উৎসবে তিনি ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।
প্রজন্মের অনুপ্রেরণা
সত্যজিৎ রায় যেমন তাঁকে চিনেছিলেন এক অনন্য প্রতিভা হিসেবে, তেমনি আজও আমরা তাঁকে দেখি এক দৃঢ়, সৃজনশীল নারীর প্রতীক হিসেবে। ৮০ বছর বয়সেও তিনি কর্মঠ, স্পষ্টভাষী এবং নির্মাতা হিসেবে অনুপ্রেরণাদাত্রী।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us