/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/19/bengal-tiger-2025-08-19-19-20-35.jpg)
Bengal Tiger: শৌচালয়ে বাঘ।
Bengal Tiger: ভারতের গ্রামীণ এক এলাকায় ঘটল অবিশ্বাস্য ভয়ংকর ঘটনা। প্রতিদিনের মত শৌচালয়ে স্নান করছিলেন এক তরুণ। হঠাৎ করেই জীবনের ভয়ংকরতম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন তিনি। জানালার বাইরে থেকে জোরে শব্দ শুনে তিনি তাকাতেই দেখেন, একটি বিশাল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার জানালা দিয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে।
বাঘটি শৌচালয়ে পুরোপুরি ঢুকতে পারেনি
আরও পড়ুন- শহরের সেরা রেস্তোরাঁর কায়দায় বিরিয়ানি রাঁধুন বাড়িতেই, দেখুন রেসিপি!
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে— তরুণ একহাতে মোবাইল ধরে ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করছেন। অন্যদিকে বাঘটি তার দুই সামনের পা জানলার ভেতরে ঢুকিয়ে পুরো শরীর গলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কয়েক সেকেন্ড ধরে চলতে থাকে এই ভয় ধরানো দৃশ্য। বাঘটির চোখ যেন সরাসরি তরুণের ওপর স্থির হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- মাত্র একবার ব্যবহার করুন, সাদা চুল কখন কালো হয়ে গেছে, বুঝতেই পারবেন না!
ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামে Beyond_The_Wildlife নামে একটি পেজ থেকে শেয়ার হতেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লক্ষাধিক মানুষ ভিডিওটি দেখে ফেলেন। যা দেখে, কেউ লিখেছেন, 'এই তরুণ বেঁচে গেছেন ভাগ্যক্রমে।' কেউ বলেছেন, 'এতটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা কল্পনাও করা যায় না!' আবার অনেকে দাবি করেছেন, হয়তো এই বাঘটি আসলে ওই তরুণের পোষ্য। কারণ শেষ মুহূর্তে বাঘটি শান্ত হয়ে শুধু তাকিয়ে ছিল।
আরও পড়ুন- চলতি ঋতুতে আপনার কি কাশি বেড়েছে? সিরাপ নয়, এই ঘরোয়া কায়দাতেই সারান চটপট
বাঘ কেন শৌচালয়ে ঢুকতে চাইছিল? বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, বাঘ সাধারণত মানুষ এড়িয়ে চলে। তবে বনাঞ্চলের কাছাকাছি গ্রামে খাবারের খোঁজে বাঘ চলে আসে। শৌচালয়ের ভেতরে জলের শব্দ বা মানুষের উপস্থিতি তাঁকে আকৃষ্ট করে থাকতে পারে। আর, এটি যদি আসলে পোষা বাঘ হয়, তবে মালিকের কাছে যেতে চাইছিল।
আরও পড়ুন- পথকুকুরের অবাক করা যাত্রা, নিজের স্টেশন চিনে ট্রেনে ওঠা-নামা, বিস্মিত নেটিজেনরা!
ভারত হল বিশ্বে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সবচেয়ে বড় আবাসস্থল। সুন্দরবন, অসম, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায়ই বাঘ-মানুষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বন দফতরের নিয়মিত সতর্কতা সত্ত্বেও অনেক গ্রামে ভিডিওতে দেখানো ঘটনার মত বিপজ্জনক মুহূর্ত তৈরি হয়। আগে এই ধরনের ঘটনা শুধু স্থানীয়ভাবে আলোচনার বিষয় ছিল। কিন্তু আজ সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে কয়েক মিনিটের মধ্যে বিশ্বের কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এই সব ঘটনা। এই ভিডিও প্রমাণ করল— ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতাও নেটিজেনদের কাছে বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠছে।
তবে, বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠলেও কখনও বন্যপ্রাণীর খুব কাছে যাওয়া উচিত নয়। এমন ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বন দফতর বা পুলিশকে খবর দেওয়া উচিত। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় নাম কেনার জন্য বিপজ্জনক প্রাণীর ভিডিও করার চেষ্টা যে কোনও সময় প্রাণঘাতী হতে পারে। সতর্ক করে এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।