Daily egg benefits: সকালে অনেকেই ব্রেকফাস্টে ডিম খেতে পছন্দ করেন। এটা শুধু অভ্যাস না, বরং স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও একটি ভালো সিদ্ধান্ত। ডিমকে বলা হয় 'সুপারফুড', কারণ এতে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল-সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক পুষ্টি উপাদান আছে।
ডিমের উপকারিতা
১. প্রোটিনে ভরপুর:
একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম হাই-কোয়ালিটি প্রোটিন থাকে। যা শরীরের পেশী গঠনে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করলেও ডিম খাওয়া নিরাপদ।
২. ভিটামিন ও মিনারেলের ভাণ্ডার:
ডিমে আছে ভিটামিন A, B12, D, আয়রন ও সেলেনিয়াম। এতে থাকা কোলিন স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন- ডায়াবেটিস রোগীরা মাশরুম খেতে পারবেন? রইল বিশেষ উপকারিতা ও সতর্কতা
৩. চোখের স্বাস্থ্য:
ডিমের কুসুমে থাকা লুটেইন ও জেক্সানথিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রেটিনাকে রক্ষা করে এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
৪. গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী:
গর্ভাবস্থায় ডিমে থাকা কোলিন শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন- কন্ডিশনার নয়, এই ঘরোয়া কালোজিরার তেলেই শুষ্ক চুল হবে ঘন ও শক্তিশালী!
ডিমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
১. কোলেস্টেরল:
একটি ডিমে প্রায় ১৮৫ মি.গ্রা. কোলেস্টেরল থাকে। যারা উচ্চ কোলেস্টেরলে ভোগেন, তাদের নিয়ন্ত্রিত ডিমের কুসুম খাওয়া জরুরি।
২. অ্যালার্জি:
শিশুদের মধ্যে ডিম খেলে অ্যালার্জির প্রবণতা বেশি দেখা যায়। চুলকানি, ফুসকুড়ি বা শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন- আপনার বালিশেই লুকিয়ে আছে ঘাড়ের ব্যথা ও ঘুমের সমস্যা! জেনে নিন সঠিক বালিশ বাছার নিয়ম
৩. সালমোনেলা ঝুঁকি:
কম রান্না করা ডিমে সালমোনেলা নামে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। তাই কাঁচা বা আধা সিদ্ধ ডিম এড়িয়ে চলাই ভালো।
আরও পড়ুন- প্রতিদিন মাত্র ২২ মিনিট! ডেস্কে বসে কাজ করলেও শরীর থাকবে সুস্থ
দিনে কয়টি ডিম খাওয়া নিরাপদ?
স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিরা দিনে ১–২টি ডিম নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। গবেষণা বলছে, সপ্তাহে ৭ থেকে ১২টি ডিম খাওয়া নিরাপদ। তবে হৃদরোগ বা ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।