সবধরনের খাবার সবসময় একেবারেই খাওয়া যায় না। যেমন, ফল সন্ধেবেলায় না খেলেই ভাল। তেমনই সকাল বেলা খালি পেটে টক জাতীয় খাবার একেবারেই উচিত নয়। অন্যদিকে টক দই কিন্তু অবশ্যই নিয়ম মেনে সঠিক সময়ে খাওয়া উচিত। নইলে কিন্তু একেবারে মুশকিল।
টক দই হজমের ক্ষেত্রে খুবই ভাল। সঙ্গেই এটি শরীরের টক্সিন দুর করে। এছাড়াও, রোগা হওয়ার সহজ উপায় কিন্তু টক দই থেকেই হতে পারে। তবে এটিও শরীরের অসুস্থতার কারণ হতে পারে যদি, সময়, কম্বিনেশন এবং খাওয়ার পদ্ধতি সঠিক না হয়। টক দই এমন একটি খাবার যেটি সবকিছুর সঙ্গে একেবারেই যায় না, এমনকি সময় বুঝে শুনেই খেতে হয়।
কখন এবং কেন খাবেন না টক দই?
আয়ুর্বেদ বলছে, রাতের বেলা একেবারেই টক দই খাওয়া চলে না। একে আয়ুর্বেদের ভাষায় কাল বিরুদ্ধ আহার বলা হয়। এছাড়াও, এটি রাত্রে খাবারের সঙ্গে মিশে পচনের সৃষ্টি করে। যেকারণে, বুকে ইনফেকশন, স্কিনের অসুখ এবং ঠান্ডা লাগার মাত্রা বাড়তে পারে।
কোন কোন খাবারের সঙ্গে এটি একেবারেই চলে না?
আয়ুর্বেদের অর্থ অনুয়ায়ী, যখন সম্পূর্ন বিপরীত মেরুর দুটি খাবার শরীরে বিক্রিয়া ঘটায়, তখন তাকে বিরুদ্ধ আহার বলা হয়ে থাকে। দইয়ের সঙ্গে উল্টোপাল্টা কিছু খেলে কিন্তু শরীরে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়।
টক দই এবং মুরগির মাংস :- অনেকেই মুরগির কোনও আইটেম এবং চিকেন বিরিয়ানির সঙ্গে দই অথবা রায়তা খেতে পছন্দ করেন। এটি কিন্তু শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। এর থেকে শরীরে প্রদাহ বেড়ে গিয়ে, ফোঁড়া, আর্থ্রাইটিস এবং সোরিয়াসিস নামক স্কিনের সমস্যা হতে পারে।
টক দই এবং দুধ :- টক দই এবং দুধ একসঙ্গে খাওয়া একেবারেই ভাল নয়। এর থেকে ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের সমস্যা হতে পারে। এর কারণে, জয়েন্ট পেন, শরীরে ব্যাথা ছাড়াও গা হাত পা ফোলা, পেশীর সমস্যা দেখা যায়। স্কিনের সমস্যাও কিন্তু আরেক ধরনের বিষয়।
টক দই এবং ফল :- অনেকেই স্মুদির সঙ্গে টক দই মিশিয়ে নেন কারণ টেস্ট ভাল হতে পারে। তবে এটি শরীরের পক্ষে ভাল নয়। কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? বুকে ব্যাথা এবং ইনফেকশন। এছাড়াও এগজিমা হতে পারে।
টক দই কখনও রান্না করতে নেই। এটি গরম করলে কিংবা রান্না করলে এর পুষ্টি আরও হ্রাস পায়। এছাড়াও, উষ্ণ ভাব এটি সহ্য করতে পারে না। বেশি মাত্রায় এতে গরম ভাব পড়লে প্রদাহ বেড়ে গিয়ে সমস্যা হতে পারে।
টক দই রোজ খাওয়া যায়?
একেবারেই না। আয়ুর্বেদ বলছে এটি গুরুপাক যুক্ত খাবার। এছাড়াও যেহেতু পচনশীল খাবার তাই, বেশিমাত্রায় না খেলেই ভাল। প্রবায়টিক হিসেবেও কিন্তু দই ভাল। তবে সরাসরি নয়, বাটার মিল্ক হিসেবে এটি পান করা উচিত।