Advertisment

রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কম করতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত?

রক্তে ইনসুলিন বাড়লে খুব মুশকিল, বাড়তে পারে রোগের মাত্রাও

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

ইনসুলিন শব্দটার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত, কারণ বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন এই ইনসুলিন দিয়েই ব্লাড সুগারের মাত্রা কম করা সম্ভব। অনেকে আবার এমনও ভাবেন ইনসুলিন রক্তে সুগার কে কোষে বিপাকিত হতে সাহায্য করে। শরীরের সঞ্চিত শক্তিকে অক্সিজেনের সঙ্গে একত্রিত করা হোক কিংবা শরীরের দৈহিক শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। 

Advertisment

পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ মার্ক হেইমন বলছেন, এটি আসলেই একটি প্রধান স্টোরেজ হরমোন। অনেকে আবার নিয়ন্ত্রণ হরমোন হিসেবেও বলে থাকেন। তবে অত্যধিক ইনসুলিন কিন্তু শরীর ও স্বাস্থ্য দুটিকেই খারাপ করতে পারে। কীভাবে? 

প্রথম, ইনসুলিন বেশি মাত্রায় থাকলে ওজন কমানোর চেষ্টা করেও একেবারেই লাভ হবে না। এটি মস্তিষ্কে শুধুই খাবারের চিন্তা বৃদ্ধি করে, রক্তে সুগারের ক্ষুধা বাড়ায় এবং কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। তবে ইনসুলিনের এইচ ডি এল কিন্তু কোলেস্টেরল কম করতেও পারে। 

দ্বিতীয়, ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায়। মগোজাস্ত্র কে দিনের পর দিন শুধু ব্লান্ট করে দিতে পারে। 

তৃতীয়, হরমোনাল সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি। অত্যধিক ব্রণ, কিংবা হেয়ার একসেস অথবা মেজাজের  মাত্রা বৃদ্ধি করে। রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখা মানুষের নিজের আয়ত্বে রয়েছে। 

রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখলে, কোষগুলিকে পুষ্টি দেওয়া এবং বুদ্ধিমান করে তোলা, সঙ্গেই থাইরয়েড এবং মেজাজের ভারসাম্য যাতে ঠিক থাকে, সেইদিকে সহায়তা করে। 

কীভাবে ইনসুলিন রেসিসটেন্স রাখতে পারবেন? 

  • একেবারেই কম করে দিতে হবে ময়দা কিংবা চিনি জাতীয় খাবার দাবার। এতে সমস্যা আরও বাড়বে। বিশেষ করে ময়দা জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই ঠিক না। 
  • প্যাকেটজাত খাবার কিংবা লজেন্স অথবা সোডা জাতীয় খাবার খাওয়া কম করতে হবে বিশেষ করে সকালবেলা খালি পেটে এগুলি খেলে একেবারেই চলবে না। 
  • ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া অভ্যাস করতে হবে। এটি কিন্তু ইনসুলিন সঙ্গে শরীরের জন্য বেশ ভাল। 
  • স্ট্রেস কমানো ইনসুলিনের মাত্রা হ্রাস করার ক্ষেত্রে খুব দরকারী। বিশেষ করে উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ কমাতে হবেই নইলে কোনও কিছুই কাজ করবে না। 
  • স্বল্প মাত্রায় ব্যায়াম কিংবা শারীরিক চর্চা করতে হবে। যোগা কিংবা প্রাণায়াম কিন্তু ভাল বিকল্প তৈরি হতে পারে। 
  • অল্প করে ফ্যাটি অ্যাসিড কিংবা ওমেগা থ্রি খাবারে থাকলে কিন্তু বেশ ভাল। তাই এটি খেতে একেবারেই ভুলবেন না। 
  • কম করে ৮ ঘণ্টা ঘুম কিন্তু লাগবেই, নইলে শরীরের সর্কেডিয়ান রিদম কাজ করবে না।
health blood sugar energy insulin
Advertisment