Girnar Parikrama 2025: মাত্র ১টা পরিক্রমা, তাতেই বদলে যেতে পারে ললাটলিখন, কীভাবে?

Girnar Parikrama 2025: জীবনে উন্নতির ওপর ভাগ্যের বিরাট প্রভাব রয়েছে। এই ভাগ্যের ওপর নির্ভর করেই ঠিক হয় মানুষ জীবনে কতখানি অগ্রগতি ঘটাতে পারবেন।

Girnar Parikrama 2025: জীবনে উন্নতির ওপর ভাগ্যের বিরাট প্রভাব রয়েছে। এই ভাগ্যের ওপর নির্ভর করেই ঠিক হয় মানুষ জীবনে কতখানি অগ্রগতি ঘটাতে পারবেন।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Girnar: গিরনার পর্বতের উচ্চতা ৩,৩৮৩ ফুট। (ছবি: গুজরাট পর্যটন)

Girnar: গিরনার পর্বতের উচ্চতা ৩,৩৮৩ ফুট। (ছবি: গুজরাট পর্যটন)

Girnar Parikrama 2025: ভাগ্যের প্রতি আপনার বিরাট অভিযোগ? জন্মানোর পরই নাকি ব্যক্তির ভাগ্য লিখে দেওয়া হয়। দেবতার সেই লিখন নাকি আর বদলানো যায় না! ছোট থেকেই এমনটা শুনে এসেছেন তো? কিন্তু, না। যা শুনেছেন, তার সবটা সত্যি নয়। ভাগ্য চাইলে বদলানো যায়। কিন্তু কীভাবে?

Advertisment

গিরনার পরিক্রমা

কী এই গিরনার পরিক্রমা? প্রশ্নটা মনে আসতে বাধ্য। গিরনার পরিক্রমা আসলে এক বিখ্যাত তীর্থযাত্রা। যা গুজরাটের গির বনে হেঁটে করতে হয়। এই পরিক্রমায় মোট ৩৬ কিলোমিটার হাঁটতে হয়। এই পরিক্রমায় হেঁটে গিরনার পর্বত প্রদক্ষিণ করতে হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, গিরনার পর্বতে ৩৩ কোটি দেবতা রয়েছেন। 

আরও পড়ুন- কীভাবে, কখন দেখবেন কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো, জানুন অঞ্জলির সময়সূচি!

Advertisment

৫ দিন ধরে চলে পরিক্রমা

মোট ৫দিন ধরে এই পরিক্রমা চলে। গুজরাট শুধু নয়, দেশের নানা প্রান্ত থেকে বহু তীর্থযাত্রী এই পরিক্রমার উদ্দেশ্যে গিরনার পর্বতের কাছাকাছি আসেন। এবারের পরিক্রমা ১ নভেম্বর শুরু হবে। শেষ হবে ৫ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার। প্রতিবার এই পরিক্রমার সময়কাল তিথি মেনে চললেও তা সবসময় ঠিকঠাক মানা হয় না। ভক্তদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে পরিক্রমা ১-২ দিন আগেই শুরু হয়ে যায়। 

আরও পড়ুন- ‘খুকু ও খোকা’-র কবি! প্রয়াণদিবসে স্মরণে অন্নদাশঙ্কর, জানেন কবির জীবনের এই দিকগুলোর কথা?

এই প্রদক্ষিণের জন্য বিরাট ব্যবস্থা

এই প্রদক্ষিণ চলাকালীন যাবতীয় আয়োজন সরকারের তরফেই করা হয়ে থাকে। ভক্তদের জন্য গির বনের মধ্যেই খাওয়া এবং ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। গুজরাটের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু-সন্তরা এই পরিক্রমার জন্য গিরনার পর্বতের কাছে আসেন। সবারই লক্ষ্য এক, নিজের ভাগ্য বদল। রাতে সন্ত সৎসঙ্গ এবং ভজন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন- বাংলার এই অনন্য তান্ত্রিক কালীমূর্তি, যাঁর হাতের সংখ্যা কত, গোনা যায় না!

প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে বিরাট সুযোগ

যাঁরা প্রকৃতিপ্রেমী, তাঁরা এই সময় প্রকৃতির কোলে থাকার সুযোগ পান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার সুযোগ লাভ করেন। এই পরিক্রমাকে গিরনার লিলি পরিক্রমাও বলা হয়। গিরনার পর্বতের পাদদেশে রয়েছে দামোদর কুণ্ড। সেখানে স্নান এবং ভগবান কৃষ্ণকে উৎসর্গ করা দামোদরজির দর্শনের মাধ্যমে এই পরিক্রমা শুরু হয়। এই পরিক্রমার পথ বহু বিখ্যাত মন্দির এবং সাধু-সন্তদের আশ্রয়স্থলের পাশ দিয়ে গিয়েছে। পরিক্রমার সময়কালে তীর্থযাত্রীরা সেই সব সাধু-সন্তদের সঙ্গ লাভ করেন। 

আরও পড়ুন- সূর্যদেব ও ‘ছটি মাইয়া’র পূজা, ভক্তদের ভিড়ে ভরল বেলুড় মঠ!

কেন গিরনার পর্বত এত গুরুত্বপূর্ণ?

গিরনার পর্বত শুধু হিন্দুরাই নন, জৈনদের কাছেও পবিত্র তীর্থস্থান। গিরনার পর্বত ৩৩ কোটি দেবতার বাসস্থান। ৮৪ সিদ্ধেরও বাসস্থান এই পর্বত। এই পর্বতকে হিমালয় পর্বতের পিতামহ বলা হয়। বলা হয় যে, গিরনার পর্বত ভগবান দত্তাত্রেয়, অম্বাজি মাতা-সহ অনেক প্রাচীন মন্দিরের আবাসস্থল। এখানে জৈন তীর্থঙ্করদেরও মন্দির আছে। বলা হয় যে, গিরনার পরিক্রমা করলে পুণ্য লাভ হয়। কথিত আছে, দ্বাপরযুগে ভগবান কৃষ্ণ অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে বলদেবজির সঙ্গে গিরনার পর্বত প্রদক্ষিণ করেছিলেন। তার জেরে গিরনার পরিক্রমা বহু বছর ধরে হয়ে আসছে।

গিরনারের সর্বোচ্চ পর্বত হল গুরুশিখর। সেখানে ভগবান দত্তাত্রেয়ের পা দেখা যায়। ভক্তরা ১০ হাজার সিঁড়ি বেয়ে গুরুশিখরে পৌঁছন। গিরনার পর্বত ৩,৩৮৩ ফুট উঁচু। বলা হয় এই পর্বত নাকি হিমালয়ের পিতামহ। এই সব নানা কারণেই গিরনার পর্বত হিন্দু এবং জৈনদের কাছে এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ।            

2025 Girnar Parikrama