Remove a Thorn from Foot: পায়ে কাঁটা বিধলে তা অস্বস্তিকর ও ব্যথাদায়ক হতে পারে। অনেক সময় খেয়াল না করেই হেঁটে যাওয়ার সময় কাঁটা পায়ে ঢুকে যায়। তীব্র যন্ত্রণা ও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় যত দ্রুত সম্ভব তা বের করে ফেলা জরুরি। হাসপাতাল যাওয়ার প্রয়োজন ছাড়াই, কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই পায়ের কাঁটা তুলতে পারেন। নীচে ধাপে ধাপে সেই পদ্ধতি দেওয়া হল:
ধাপ ১: হাত ও পা পরিষ্কার করুন
সবার আগে সাবান ও পরিষ্কার জলে হাত ধুয়ে নিন। পায়ের যেখানে কাঁটা ঢুকেছে, সেই জায়গাটা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে এবং ত্বক নরম হয়ে কাঁটা তোলা সহজ হবে।
ধাপ ২: উষ্ণ জলে ভিজিয়ে নিন
একটি পাত্রে গরম জল এবং এক চামচ লবণ মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। লবণ অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করবে এবং ত্বক নরম করবে।
আরও পড়ুন- রাস্তায় কাটা ফল কিনে খাচ্ছেন? সাবধান! জেনে নিন গরমে কাটা ফল খাওয়ার জের কী হতে পারে?
ধাপ ৩: টুইজার বা সুই ব্যবহার করুন
একটি পরিষ্কার টুইজার বা সেলাইয়ের সুই আগুনে একটু গরম করে জীবাণুমুক্ত করে নিন। এবার ধীরে ধীরে কাঁটার মুখ বের করে আনুন এবং সাবধানে টেনে তুলুন। খুব বেশি জোরে টানবেন না, এতে কাঁটা ভেঙে ভিতরে রয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়াতে গিয়ে হিমশিম খান? জেনে নিন সেরা উপায়!
ধাপ ৪: কাঁটা বের হলে জায়গাটা পরিষ্কার করুন
কাঁটা তুলে ফেলার পর জায়গাটিকে অ্যান্টিসেপ্টিক লোশন বা বেটাডিন দিয়ে পরিষ্কার করুন। প্রয়োজনে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিন।
আরও পড়ুন- ৪ সপ্তাহ ধরে রাতে ২টি কিউই খেলে শরীরে যা ঘটে, জানলে আজ রাত থেকেই শুরু করবেন খেতে!
ধাপ ৫: ঘরোয়া উপায় প্রয়োগ
কিছু ঘরোয়া প্রতিকার আছে যা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে, যেমন –
-
তুলসী পাতার রস: অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রভাব রয়েছে।
-
হলুদ বাটা: প্রদাহ ও সংক্রমণ কমায়।
-
নারকেল তেল: ত্বকে কোমলতা আনে ও দ্রুত আরোগ্য ঘটায়।
আরও পড়ুন- গরমকালে দুপুরে হঠাৎ ঘুম পায় কেন? জানুন এর আসল কারণ, কীভাবেই বা কমাবেন দুপুরের ঘুম?
সতর্কতা:
-
যদি কাঁটা অনেক গভীরে ঢুকে যায় বা রক্তপাত শুরু হয়, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
-
ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিলে (লালচে ভাব, ফোলা, পুঁজ) দ্রুত চিকিৎসা করান।
পায়ে কাঁটা বিধলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ঘরোয়া কিছু সহজ উপায়ে আপনি নিজেই কাঁটা তুলতে পারবেন। তবে অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে এবং সমস্যা বাড়লে চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে।
কাঁটা বের করার আরও পদ্ধতি
১. গরম পানির ব্যবহার
একটি পাত্রে উষ্ণ গরম জল নিন। এতে সামান্য লবণ মিশিয়ে দিন। এবার পা ওই জলে ১০-১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এতে ত্বক নরম হয়ে কাঁটা বাইরে বের হয়ে আসতে পারে।
২. বেকিং সোডা পেস্ট
১ চা চামচ বেকিং সোডা এবং অল্প জল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। কাঁটা বিঁধে যাওয়া স্থানে পেস্টটি লাগিয়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিন। ১২ ঘণ্টা পর কাঁটা উপরের দিকে উঠে আসবে, তখন পিনসেট দিয়ে সরিয়ে ফেলুন।
৩. ভিনেগারের ব্যবহার
অ্যাপল সিডার ভিনেগার কাঁটা বের করতে সাহায্য করে। তুলায় ভিনেগার নিয়ে জায়গাটিতে ১৫-২০ মিনিট চেপে ধরে রাখুন। কাঁটা নরম হয়ে উঠতে পারে।
৪. রুটি বা কলার খোসা ব্যবহার
রুটি বা কলার খোসায় প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে যা কাঁটা বের করে আনতে সাহায্য করে। এগুলো জায়গাটিতে রেখে ব্যান্ডেজ করুন। কিছু সময় পর কাঁটা বের হয়ে আসতে পারে।