Hairfall Solution: আপনি কি লক্ষ্য করছেন যে চুল আগের তুলনায় বেশি পড়ছে? প্রতিদিনের শ্যাম্পু করার পরেও যদি মাথার ত্বকে চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে মনে হয়, তবে তার একটি বড় কারণ হতে পারে হার্ড ওয়াটার। বিশেষ করে যাঁরা ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন, তাঁদের জন্য এই সমস্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে।
কী এই হার্ড ওয়াটার?
হার্ড ওয়াটারের অর্থ হল এমন জল, যাতে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এই খনিজ পদার্থগুলি শ্যাম্পু, তেল এবং অন্যান্য কন্ডিশনারের সঙ্গে মিশে মাথার ত্বকে জমে গিয়ে হেয়ার ফলিকল বা মাথায় চুল ওঠার ছিদ্র ব্লক বা বন্ধ করে দিতে পারে।
আরও পড়ুন- বাঘ বনাম চিতা! মরণবাঁচন লড়াই হলে প্রকৃতির দুই ভয়ংকর যোদ্ধার মধ্যে কে জিতবে?
হার্ড ওয়াটারে চুল পড়ার কারণ:
-
মিনারেল জমে স্ক্যাল্প ব্লক হয়ে যাওয়া
-
চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হওয়া
-
চুল রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে যাওয়া
-
হেয়ার প্রোডাক্ট ভালোভাবে কাজ না করা
-
চুল দ্রুত শুকিয়ে গিয়ে ভেঙে যাওয়া
আরও পড়ুন- মাত্র একবার টমেটোর সঙ্গে এই গুঁড়োটি লাগালেই ত্বক হবে উজ্জ্বল! জানুন সামুদ্রিক শৈবালের ৬টি রূপচর্চার প্যাক
হার্ড ওয়াটার চিনবেন কীভাবে?
-
সাবান বা শ্যাম্পুতে সহজে ফেনা হবে না
-
বালতির তলায় সাদা দাগ পড়বে
-
পাথরের মতো স্তর জমে যাওয়া কল এবং শাওয়ারে
-
মাথা ধোয়ার পর চুল রুক্ষ আর ঝাঁকরা লাগবে
আরও পড়ুন- প্রকৃতির সবচেয়ে রঙিন ১০টি পোকা, যাদের দেখে মনে হবে শিল্পীর তুলিতে আঁকা
হার্ড ওয়াটারের জন্য চুল পড়া বাড়লে ৫টি ঘরোয়া প্রতিকার:
১. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার রিন্স
আরও পড়ুন- উপবাসে ওজন কমলেও বাড়ে গ্যাস, মাথাব্যথা! কোন ভুলে হয় বিপদ, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ
২. অ্যালোভেরা জেল ও নারকেল তেলের মাস্ক
৩. চিকনাই-মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
৪. ওয়াটার ফিল্টার বা শাওয়ার ফিল্টার ব্যবহার করুন
৫. মেথি ও আমলকির মাস্ক
অতিরিক্ত টিপস:
-
চুল ধোয়ার পর স্নানের জলে মগভর্তি ফিল্টারড ওয়াটার বা আরও (RO) জল ঢেলে দিন।
-
সপ্তাহে একদিন হট অয়েল থেরাপি করুন।
-
গরম জল এড়িয়ে চলুন। কারণ, এটি মিনারেল বা খনিজের মাথায় জমা হওয়া বাড়িয়ে দেয়।
-
চুল ধোয়ার পর শুকনো তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে জল মাথা থেকে শুষিয়ে নিন। মাথায় তোয়ালে ঘষবেন না।
হার্ড ওয়াটার হোক বা না হোক, যত্নে ত্রুটি থাকলে চুল পড়া চলতেই থাকবে। তবে ফ্ল্যাটের জল যদি হার্ড হয় বা খনিজ সমৃদ্ধ হয়, তা হলে যত্ন নেওয়া অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন একটু সচেতন থাকলে ও ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই আপনি হার্ড ওয়াটারের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে চুলকে বাঁচাতে পারবেন অত্যন্ত সহজেই।