/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/18/long-toilet-sitting-2025-08-18-14-13-31.jpg)
Long Toilet Sitting: দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকার বিরাট ক্ষতি।
Long Toilet Sitting: আজকের দিনে প্রায় সবারই টয়লেটে বসে মোবাইল স্ক্রল করার অভ্যাস আছে। কেউ সংবাদপত্র পড়েন, কেউ আবার আধঘণ্টা ধরে গেম খেলেন। কিন্তু জানেন কি, এই Long Toilet Sitting আপনার শরীরের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকারক হতে পারে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই অভ্যাসের ফলে অল্প বয়সেই অর্শ, কোষ্ঠকাঠিন্য, মূত্রাশয়ের সমস্যা, এমনকী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে।
ডায়েটিশিয়ান সোনিয়া নারাং-এর মতে, দীর্ঘ সময় ধরে টয়লেটে বসে থাকলে পেলভিক ফ্লোর পেশীর ওপর চাপ বাড়ে। এই পেশীগুলি মূত্রাশয় এবং মলদ্বার নিয়ন্ত্রণ করে। চাপে দুর্বল হয়ে গেলে প্রস্রাব বের হওয়া, মলত্যাগে অসুবিধা এবং পেলভিক অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। আসলে, বেশি সময় টয়লেট সিটে বসে থাকার ফলে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। এর ফলে রক্ত জমাট বেঁধে মলদ্বারের শিরা ফুলে যায়, যাকে আমরা অর্শ বা হেমোরয়েডস বলি। প্রথমে সামান্য অস্বস্তি হলেও পরে এটি তীব্র ব্যথা, রক্তপাত এবং ফোলাভাবের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন- পায়ে কালো সুতো বাঁধা কি শুভ নাকি অশুভ? জানুন, এর ফলে কী হয়!
আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই মলত্যাগের সংকেত আসে। কিন্তু, কেউ যদি সেটি দেরি করেন, তবে অন্ত্রে চাপ জমে এবং মল শক্ত হতে শুরু করে। এর ফলে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। দীর্ঘমেয়াদে কোষ্ঠকাঠিন্যই অর্শ এবং অন্যান্য হজমজনিত সমস্যার দিকে ঠেলে দেয়। পেলভিক পেশী দুর্বল হলে মূত্রাশয়ের স্বাভাবিক অবস্থান পরিবর্তিত হয়। এর ফলে প্রস্রাব জমে থাকে এবং দাঁড়ানোর সময় হঠাৎ লিক হয়ে যেতে পারে। এটি কেবল অস্বস্তি নয়, ভবিষ্যতে কিডনির ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন- 'বাড়িতেও এমন করেন?', জয়াকে কড়া কথা মুকেশের
আজকের দিনে টয়লেটে বসে ফোন ব্যবহার করা প্রায় অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু মনে রাখবেন, ফ্লাশ করার সময় অসংখ্য জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। যদি তখন ফোন হাতে থাকে, সহজেই জীবাণু ফোনে লেগে যায়। ফোন আবার শরীরের সঙ্গে বারবার স্পর্শ হয়, ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন- নেতাজির বিমান দুর্ঘটনা! আদৌ এর কোনও সত্যতা আছে?
তাহলে কী করবেন?
আরও পড়ুন- খেলায় না হোক, ফিটনেসে টেক্কা কিংবদন্তি বাবাকে, জানুন অর্জুন টেন্ডুলকারের ফিটনেস রহস্য
টয়লেটে ৫ মিনিটের বেশি বসবেন না। মলত্যাগের চাপ আসলেই সঙ্গে সঙ্গে টয়লেটে যান। ফোন, বই বা সংবাদপত্র নিয়ে টয়লেটে যাবেন না। প্রতিদিন প্রচুর জল খান এবং আঁশযুক্ত খাবার খান। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।