Hiroshima Day: প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ৬ আগস্ট হিরোশিমা দিবস পালিত হয়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমায় পরমাণু বোমা হামলার স্মরণে পালিত হয় দিনটি। পরমাণু হামলা এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে শান্তির প্রতীক হিসেবে এবং শোক প্রকাশ করতে দিনটি পালনের রীতি রয়েছে।
পরমাণু বোমা ফেলার কাহিনি
আরও পড়ুন- একটুকরো কলকাতা এখন জাপানের ফুকুওকায়! মাটির থালায় পাবেন করলা ভাজা থেকে পুঁইশাক, সবই
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্টের সকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর 'লিটল বয়' নামে নিউক্লীয় বোমা ফেলেছিল। তার তিন দিন পর ৯ আগস্ট নাগাসাকি শহরের ওপর 'ফ্যাট ম্যান' নামের আরেকটি নিউক্লীয় বোমা ফেলেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন- বর্ষার দুপুরে খান গরম গরম ডিম ভুনা খিচুড়ি! ঘরে বসেই বানান সুস্বাদু স্পেশাল খাবার
এমনটাই দাবি করা হয় যে এই বিস্ফোরণের ফলে ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হিরোশিমায় প্রায় ১,৪০,০০০ জন মারা গিয়েছিলেন। নাগাসাকিতে মারা গিয়েছিলেন প্রায় ৭৪,০০০ জন। পরে এই দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে হওয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন আরও ২১৪,০০০ লোক।
আরও পড়ুন- রাখী বন্ধনে নিজের হাতে বানান নারকেলের লাড্ডু, মিষ্টিমুখ করান ভাইকে!
জাপানের আসাহি শিমবুন-এর হিসেব অনুযায়ী, বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগের জেরে হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, হিরোশিমায় ২,৩৭,০০০ এবং নাগাসাকিতে ১,৩৫,০০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন সাধারণ নাগরিক।
আরও পড়ুন- চুল পাকা ও পড়া আটকাতে ব্যবহার করুন এই হেয়ার সিরাম, বানান বাড়িতেই!
এই ঐতিহাসিক ঘটনার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের সেনাপতি ছিলেন উইলিয়াম স্টার্লিং পার্সনস ও পল ডব্লিউ টিবেটস জুনিয়র। সেই সময় হিরোশিমায় ছিল জাপানের ৪০ হাজার সৈন্য। আর, নাগাসাকিতে ছিল ৯,০০০ জাপানি সৈন্য। এই বোমা হামলায় ২০ জন মার্কিন, ডাচ এবং ব্রিটিশ যুদ্ধবন্দিও প্রাণ হারান। যে বিমান হিরোশিমায় বোমা ফেলেছিল, সেই আমেরিকান বি-২৯ বোমারু বিমানের নাম, 'এনোলা গে'।
আরও পড়ুন- এই প্রোটিন ব্লক করলে বাড়তে পারে আয়ু, জানুন নতুন গবেষণার ফলাফল
এখানে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা পরিচিত 'হিবাকুশা' নামে। এই 'হিবাকুশা'রা গুরুতর পুড়ে যাওয়া শরীর, ক্রনিক ডিজিজ, বিকিরণজনিত অসুস্থতা, ক্যানসার, জিনগত ব্যাধির সমস্যায় ভুগেছেন। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা গৃহহীন হয়ে পড়েন। তাঁরা খাদ্য, জল এবং চিকিৎসার মত মৌলিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছিলেন। তাঁদের অনেকের কাহিনিই আজও লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে গেছে। এই সময় বহু স্বেচ্ছাসেবী মানুষ আহতদের উদ্ধারে এবং তাঁদের সেবায় এগিয়ে এসেছিলেন।