How Long Does Packaged yogurt Stay Good: ঘরে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন দই। এটি একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। বিশেষ করে গরমকালে হজমে সহায়তা, ঠান্ডা ভাব আনতে এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে দইয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে বাজার থেকে আনা প্যাকেটজাত দই কতদিন পর্যন্ত খাওয়া নিরাপদ, তা অনেকেই জানেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু নিয়ম মেনে প্যাকেটজাত দই সংরক্ষণ করলে তা দীর্ঘদিন ভালো থাকতে পারে।
প্যাকেটজাত দইয়ের এক্সপায়ারি ডেট:
প্রতিটি দইয়ের প্যাকেটেই একটি “ব্যেস্ট বিফোর” বা “এক্সপায়ারি” তারিখ দেওয়া থাকে। সাধারণত এই তারিখ পর্যন্তই দই খাওয়া নিরাপদ। তবে এটি সংরক্ষণের পদ্ধতির ওপরেও নির্ভর করে।
ফ্রিজে রেখে দিলে কতদিন ভালো থাকে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, unopened (অপরিষ্কৃত) প্যাকেটজাত দই ফ্রিজে ৭–১০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে, যদি তা নির্ধারিত তাপমাত্রায় (২°–৪° সেলসিয়াস) রাখা হয়। তবে প্যাকেট খোলার পর সেটি ১–২ দিনের মধ্যেই খেয়ে ফেলা উচিত। খোলা দই বেশিদিন রাখলে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যেতে পারে এবং তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
আরও পড়ুন- ৪ সপ্তাহ ধরে রাতে ২টি কিউই খেলে শরীরে যা ঘটে, জানলে আজ রাত থেকেই শুরু করবেন খেতে!
দই নষ্ট হওয়ার লক্ষণ:
-
টক গন্ধ বা অস্বাভাবিক গন্ধ
-
জলের স্তর আলাদা হয়ে যাওয়া
-
স্বাদে তীব্র টকভাব
-
রং পরিবর্তন হওয়া বা ছাঁচ ধরা
এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে সেই দই খাওয়া একেবারেই অনুচিত।
আরও পড়ুন- গরমকালে দুপুরে হঠাৎ ঘুম পায় কেন? জানুন এর আসল কারণ, কীভাবেই বা কমাবেন দুপুরের ঘুম?
যত্নে রেখে দেওয়ার সঠিক উপায়:
-
প্যাকেট খোলার পর ভালোভাবে ঢেকে রাখতে হবে।
-
দই সবসময় ফ্রিজের মূল অংশে রাখুন, ফ্রিজের দরজায় নয়।
-
প্যাকেটের ওপর উল্লিখিত তারিখ অনুযায়ী ব্যবহার করুন।
-
দইয়ে চামচ দেওয়ার পর সেটি আবার ব্যবহার না করাই ভালো।
আরও পড়ুন- পায়ে কাঁটা বিধলে কী করবেন? ঘরোয়া উপায়ে সহজেই কাঁটা তোলার পদ্ধতি জানুন!
বিশেষজ্ঞের মত:
নিউট্রিশনিস্ট ডা. অদিতি সেন বলেন, 'দইয়ে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা হজমে সহায়তা করে। তবে তা দীর্ঘ সময় রাখলে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে। তাই দই কেনার সময় প্যাকেটের তারিখ দেখে কেনা উচিত এবং একবার খোলা হলে দ্রুত শেষ করা ভালো।'
আরও পড়ুন- এটিএমে টাকা আটকে গেছে? চরম বিপদে আপনি, সঙ্গে সঙ্গে যা করবেন, জেনে নিন!
প্যাকেটজাত দই রেখে দেওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করলেই এটি ৭–১০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। তবে স্বাদ, গন্ধ, রং এবং মেয়াদ--- প্রতিবার খাওয়ার আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত।