Dry Fruits Lifestyle: স্ন্যাকস নাকি শরীরের ক্ষতি করে। কিন্তু, সঠিক স্ন্যাকস বেছে নিতে পারলে সেগুলোই ওষুধের কাজ করে। এমনটাই মত স্বাস্থ্য (health) বিশেষজ্ঞদের। এক্ষেত্রে পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের সবচেয়ে পছন্দের হল শুকনো ফল। তবে পুষ্টিতে ভরপুর এই শুকনো ফল কিন্তু, পরিমাণমত খাওয়া উচিত। তাহলেই তা শরীরের ঠিকঠাক কাজে লাগবে।
শুকনো ফল কেন খাবেন?
সাধারণ ফলের (foods) সঙ্গে শুকনো ফলের তফাত হল, শুকনো ফলে রসের পরিমাণটা থাকে না। রোদে শুকিয়ে তৈরি হয়। আর, এটাই ফলের মধ্যে থাকা পুষ্টির উপযোগী কণাগুলোকে আরও কাছাকাছি এনে দেয়। শুকনো ফলে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। শুধু তাই নয়, শুকনো ফল হজমেও সাহায্য করে। যিনি খান, তাঁর এতে পুষ্টি বাড়ে। শক্তি বাড়ে আর মাথা ও হৃদপিণ্ড আগের চেয়েও বেশি সচল হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন- ওষুধেই দফারফা! ঘুমোনোর ওষুধ খেতে গিয়ে এই ভুলগুলো করছেন না তো?
কোন শুকনো ফল খাবেন?
এক্ষেত্রে প্রথমেই বেছে নিন বাদাম। এতে প্রচুর ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন থাকে। যা মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড এবং ত্বককে সুস্থ রাখে। বাদামে থাকা আখরোট, ওমেগা ৩ শরীরের ভিতরের ক্ষয় রোধ করে। কাজুতে আছে আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম। যা হাড় এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পেস্তায় ক্যালোরি কম, প্রোটিন বেশি থাকে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। চোখ ভালো থাকে। পাশাপাশি, মিষ্টি, আয়রন এবং ফাইবারে ভরা কিশমিশ ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তাল্পতা কমায়। এর পাশাপাশি, খেজুর দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে। পটাশিয়াম, ফাইবার আর শর্করা বাড়ায়। যা ঘুমে সাহায্য করে। ডুমুরে প্রচুর ক্যালসিয়াম আর ফাইবার থাকে। যা হজম আর হাড়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- ঘরোয়া খাবারেই বিষ! এই জিনিস এখনই রান্নাঘর থেকে বিদায় না দিলে পড়বেন মহাবিপদে
আপনার কোন শুকনো ফল কতটা খাওয়া উচিত?
শুকনো ফল পুষ্টিকর, এতে ক্যালোরিও বেশি। একটু বেশি খেলে যে বিরাট লাভ হয়, তা কিন্তু না। প্রতিদিন প্রায় ৩০ গ্রাম করে খাওয়া যায়। দেখে নিন, প্রতিদিন কোন শুকনো ফল কতটা খাবেন?
বাদাম: ৫-৭ টুকরো
আখরোট: ২-৩টি অর্ধেক
কাজু: ৪-৫টি
পেস্তা বাদাম: ৮-১০টি
কিশমিশ: ১ টেবিল চামচ
খেজুর: ১-২টি
ডুমুর: ১-২টি
আরও পড়ুন- নাচেই কমছে ওজন, চেন্নাইয়ের চিকিৎসকের দাওয়াইয়ে চমকপ্রদ সাফল্য, অবাক রোগীর পরিজনরাও
শুকনো ফল খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় কখন?
সকালে খালি পেটে: ভেজানো বাদাম বা খেজুর হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিজিয়ে রাখলে বাদাম হজম করা সহজ হয়।
সকাল ১০টা-১১টা: কয়েকটি আখরোট এবং ডুমুর আপনার শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
বিকাল ৩-৪টা: এই সময়টায় পেট ভরা থাকে। কয়েকটি কাজু বা পেস্তাই তাই যথেষ্ট। অতিরিক্ত খাবারের আর দরকার পড়বে না।
ওয়ার্কআউটের পর: খেজুর এবং কিশমিশ দ্রুত আপনার শক্তি এবং ইলেক্ট্রোলাইট পূরণ করতে পারে।
রাতে শুকনো ফল এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন— এগুলিতে প্রচুর পুষ্টি থাকে যা আপনার ঘুম বা হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
আরও পড়ুন- পারলে দিনে অন্তত ১টা শশা খান, আপনার যে কী হবে, ভাবতেও পারবেন না, শুনলে একেবারে চমকে উঠবেন!
স্মার্ট টিপস
মিষ্টি বা চিনির ভাগ বেশি, এমন শুকনো ফল এড়িয়ে চলুন। আপনার খাবারের পরিমাণের দিকে মনোযোগ দিন। বাদাম, ডুমুর বা কিশমিশ রাতভর ভিজিয়ে রাখলে হজমশক্তি উন্নত হয়। পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে তাই দই বা সিদ্ধ ডিমের মত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে ব্রেকফাস্টে শুকনো ফল চার্টে রাখুন।