Healthy Cooking Indian Oil: বর্তমান সময়ে সুস্থ থাকার অন্যতম চাবিকাঠি হচ্ছে সঠিক খাদ্যাভ্যাস। সাধারণত লিভার ক্ষয় বা ফ্যাটি লিভারের জন্য আমরা চিনি ও অ্যালকোহলকে দায়ী করি। কিন্তু নতুন গবেষণার পর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আমাদের দৈনন্দিন খাবারের মধ্যে এমন জিনিস আছে, যা লিভারের জন্য আরও ক্ষতিকারক, এককথায় বিষ।
তাঁরা জানিয়েছেন, কিছু সিড অয়েল বা বীজজাত তেল চরম ক্ষতি করতে পারে লিভারের। প্রশ্ন হল, কেন সিড অয়েল ক্ষতিকর? এই ব্যাপারে অ্যাস্টার CMI হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট এডউইনা রাজ জানিয়েছেন, সূর্যমুখী, স্যাফফ্লাওয়ার ও কটন সিড অয়েলের মতো তেলে থাকে উচ্চমাত্রার ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, বিশেষ করে লিনোলেইক অ্যাসিড। যদিও এটি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়, তবে অতিরিক্ত খেলে শরীরে জ্বালাপোড়া বা অম্বল তৈরি করায়। আর, দীর্ঘমেয়াদে লিভারের ওপর চাপ ফেলে।
আরও পড়ুন- মোটা হয়ে যাওয়াটা কমান, না-হলে কিন্তু মৃত্যুকে নিজেই কাছে ডাকছেন, কীভাবে? জানুন এখানে
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন
বারবার গরম করা তেল ব্যবহারে ওই তেলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কমে যায়, এবং এতে তৈরি হয় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস— যা লিভার ক্ষয়ের বড় কারণ। KIMSHEALTH হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজিস্ট ডা. সিমনা জানিয়েছেন, সব সিড অয়েল একরকম নয়। ফ্ল্যাক্সসিড ও চিয়া সিড অয়েল, যেগুলো ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ, তা লিভারের জন্য উপকারী হতে পারে। তবে অতিরিক্ত ও বারবার এই সব তেল খাবার, বাজার থেকে কেনা খাবার, চিনি এবং অ্যালকোহলের একসঙ্গে ব্যবহারে লিভারে ফ্যাট জমা, ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স ও বুকে, পেটে জ্বালাপোড়া বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন- ভয়ংকর বিপদের মুখে কি আপনিও? ৩৮ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাক ভেবে হাসপাতালে! ডাক্তার জানালেন চরম বিপদের কথা
তাহলে কী করবেন?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পরিশ্রুত ও প্রক্রিয়াজাত সিড অয়েলের পরিবর্তে বেছে নিতে পারেন —
-
রাইস ব্রান অয়েল
-
অলিভ অয়েল
-
নারকেল তেল
-
দেশি ঘি
তবে পরিমাণ ও ব্যবহার পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ। তেল বারবার গরম না করে, বিভিন্ন তেলের কম্বিনেশন রোটেশনে ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও পড়ুন- পারলে দিনে অন্তত ১টা শশা খান, আপনার যে কী হবে, ভাবতেও পারবেন না, শুনলে একেবারে চমকে উঠবেন!
কী করবেন না:
-
এক তেল বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন না
-
অতিরিক্ত ভাজা খাবার খাবেন না
-
রান্নায় একই তেল বারবার গরম করবেন না
আরও পড়ুন- নাচেই কমছে ওজন, চেন্নাইয়ের চিকিৎসকের দাওয়াইয়ে চমকপ্রদ সাফল্য, অবাক রোগীর পরিজনরাও
তাই লিভার ভালো রাখতে চাইলে শুধুমাত্র চিনি বা অ্যালকোহল বাদ দিলেই হবে না, তেল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও থাকতে হবে সচেতন। কারণ, প্রাকৃতিক ও minimally processed তেল ব্যবহারের পাশাপাশি সুষম খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনেই লুকিয়ে আছে সুস্থ লিভারের চাবিকাঠি।