Indira Ekadashi 2025: ১৬ না ১৭ সেপ্টেম্বর, কবে ইন্দিরা একাদশী? পালনে অবাক করা লাভ

Indira Ekadashi 2025: ইন্দিরা একাদশী ২০২৫ সালে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষে পালিত হবে। শাস্ত্রে এই দিনের বিশেষ রীতিনীতি রয়েছে। যা পালন করলে পূর্বপুরুষ মুক্তি পান বলেই বিশ্বাস ভক্তদের।

Indira Ekadashi 2025: ইন্দিরা একাদশী ২০২৫ সালে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষে পালিত হবে। শাস্ত্রে এই দিনের বিশেষ রীতিনীতি রয়েছে। যা পালন করলে পূর্বপুরুষ মুক্তি পান বলেই বিশ্বাস ভক্তদের।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Shattila Ekadashi 2025 Daan: ষটতিলা একাদশীতে কী কী দান করলে পুণ্যলাভ হয়

Ekadashi 2025: ইন্দিরা একাদশী পালনের বিশেষ রীতিনীতি রয়েছে।

Indira Ekadashi 2025: হিন্দু ধর্মে একাদশী তিথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বছরে ২৪টি একাদশী পড়ে, তবে শ্রাদ্ধপক্ষ বা পিতৃপক্ষে যে একাদশী পালিত হয় তাকে বলা হয় ইন্দিরা একাদশী। শাস্ত্রমতে, এই উপবাস পূর্বপুরুষদের মুক্তি দেয়।

কবে ইন্দিরা একাদশী?

Advertisment

ইন্দিরা একাদশী শুরু ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে। শেষ হবে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে। উদয়তিথি অনুসারে ১৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার, দিনটি পালন করা উচিত। এই দিনে গৌরী যোগ, শিব যোগ এবং পরিধা যোগ গঠিত হবে, যা পূজার জন্য বিশেষভাবে শুভ। 

আরও পড়ুন- চিমনি স্যুপ থেকে তিব্বতি খাবার, দক্ষিণ কলকাতার মন কাড়ছে টিবেটান হাউস!

এবং

Advertisment

আরও পড়ুন- শিকাগোতে স্বামী বিবেকানন্দর নামে রাস্তা, ১৮৯৩-এর বক্তৃতাই বদলে দিয়েছিল ইতিহাস

পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের এই একাদশীতে বিশেষ যোগ থাকবে। গৌরী যোগে চন্দ্র কর্কট রাশিতে অবস্থান করায় শুভ সংযোগ তৈরি হবে। কাদশীর রাতে শিব যোগ হবে, যা পূজা ও উপবাসের জন্য মঙ্গলজনক। পরিধা যোগ গভীর রাতে তৈরি হবে। এই বিশেষ যোগে উপবাস করলে ও পিতৃ তর্পণ করলে সর্বাধিক পুণ্য লাভ হয়। 

আরও পড়ুন-অগ্নিযুগের বিপ্লবী! বিবাদী বাগের বি তাঁর নামের আদ্যক্ষর থেকেই নেওয়া

এবং 

আরও পড়ুন- এভাবে ফ্রিজে রসুন রাখুন, সহজে নষ্ট হবে না, দীর্ঘদিন টাটকা থাকবে!

পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, ভক্ত যদি ইন্দিরা একাদশীর দিনে উপবাস করেন এবং পিতৃদেবের উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য দেন, তবে তাঁদের পাপ নষ্ট হয় ও পিতৃপুরুষ মোক্ষলাভ করেন। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে উপবাস করলে পরিবারের পূর্বপুরুষরা নরক থেকে মুক্তি পান। উপবাস ও দান করলে বৈকুণ্ঠ ধাম প্রাপ্তি হয়। ভক্তের ইচ্ছা পূর্ণ হয় এবং সংসারে শান্তি আসে। 

এজন্য ভোরে স্নান করে শুদ্ধ বসনে পূজা করতে হয়। শ্রীবিষ্ণুর মূর্তি বা ছবির সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে মন্ত্র পাঠ করতে হয়। নিরামিষ ভোজন করতে হয়। সারাদিন উপবাসে থাকতে হয়। গরিব, ব্রাহ্মণ বা ভিক্ষুকে দান করতে হয়। এই তিথিতে পিতৃ তর্পণ এবং শ্রাদ্ধ করলে বিশেষ ফলপ্রাপ্তি হয়। এই উপবাসে মানসিক শান্তি বৃদ্ধি পায়। সংসারিক কষ্ট লাঘব হয়। পূর্বপুরুষের আত্মা শান্তি ও মুক্তি পায়। ভক্ত আধ্যাত্মিক উন্নতি অর্জন করেন।

2025 Ekadashi