Jagaddhatri Puja 2025: কবে জগদ্ধাত্রী পুজো? কীভাবে শুরু হল এই পুজো?

Jagaddhatri Puja 2025: ২০২৫ সালে জগদ্ধাত্রী পুজো কবে হবে? দেবী জগদ্ধাত্রীর সৃষ্টি, ইতিহাস, চন্দননগরের পুজোর উৎপত্তি ও তাৎপর্য জানুন বিস্তারিত।

Jagaddhatri Puja 2025: ২০২৫ সালে জগদ্ধাত্রী পুজো কবে হবে? দেবী জগদ্ধাত্রীর সৃষ্টি, ইতিহাস, চন্দননগরের পুজোর উৎপত্তি ও তাৎপর্য জানুন বিস্তারিত।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Jagaddhatri Puja 2025: জগদ্ধাত্রী পুজো।

Jagaddhatri Puja 2025: জগদ্ধাত্রী পুজো।

Jagaddhatri Puja 2025: জগদ্ধাত্রীকে দেবী দুর্গার রূপ হিসেবেই মনে করা হয়। বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন হয়েছে অনেক পড়ে। বর্তমানে বাংলায় দুর্গা পুজোর পাশাপাশি বাসন্তী এবং জগদ্ধাত্রী রূপে দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়। 

Advertisment

পৌরাণিক মত 

পুরাণে বলা আছে, মহিষাসুর বধের পর দেবতারা গর্বিত হয়ে ওঠেন। তাঁরা মনে করেন, মহিষাসুর বধের কৃতিত্ব তাঁদেরই। দেবী দুর্গা তাঁদের সম্মিলিত শক্তিই প্রকাশ করেছেন। শুধু ব্রহ্মার বরদানের সম্মান রক্ষার জন্য একটি নারী দেহের প্রয়োজন। সেই জন্য দেবী দুর্গার সৃষ্টি হয়েছিল। দেবতাদের এই গর্ব চূর্ণ করতে এরপর দেবী মহামায়া তাঁর জগদ্ধাত্রী রূপ ধারণ করেন।

আরও পড়ুন- ছট পুজোয় দেবতাকে কী ভোগ দেওয়া হয়, কীভাবে তা তৈরি হয়?

তিনি দেবতাদের অহংকার চূর্ণ করতে ও তাঁদের শক্তি পরীক্ষা করতে একটি তৃণখণ্ড দেবতাদের দিকে ছুঁড়ে দেন। ইন্দ্র, অগ্নি, বায়ু বা বরুণ দেব সেই তৃণকে সরাতে ব্যর্থ হন। অগ্নিদেব তৃণকে দগ্ধ করতে পারেননি। বায়ু তা ওড়াতে পারেননি। বরুণ দেব বৃষ্টি নামিয়ে ওই তৃণখণ্ডকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। এ দেখে দেবী ওই দেবতাদের কাছে জানতে চান, যাঁরা তৃণখণ্ড সরাতে পারেন না, তাঁরা কী করে মহিষাসুরকে বধ করবেন? দেবতারা এরপরই দেবী জগদ্ধাত্রীর শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে নেন। দেবী বুঝিয়ে দেন যে তিনিই জগতের ধারকশক্তি।

Advertisment

আরও পড়ুন- ছট পুজো কী, কেন আর কীভাবে পালিত হয় এই উৎসব?

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো

বর্তমানে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো সবচেয়ে বিখ্যাত। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো কী ভাবে শুরু হয়েছিল, তা নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মত রয়েছে। একটি মত অনুযায়ী, নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমলেই শুরু হয়েছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো।  ১৭১০ সালে কোনও কারণে নবাবের হাতে বন্দি হয়েছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র। তাতে দুর্গাপুজোর সময় তিনি মাতৃদর্শন করতে পারেননি। দেবীর পুজোয় না থাকতে পারায় রাজার মন খারাপ হয়েছিল। তিনি কারাগারে দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে দেবীর চতুর্ভুজা রূপের আরাধনা করার আদেশ পেয়েছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। সেই মতই তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর শুরু করেছিলেন।

আরও পড়ুন- প্রতিদিন রুই খেয়ে আর রুচছে না? এভাবে খান, মুখে লেগে থাকবে!

আরেক মতে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছিল, ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর মাধ্যমে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী ছিলেন চন্দননগরের শাসক ফরাসি সরকারের দেওয়ান। তিনি, কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বাড়ির পুজোয় অতিথি হিসাবে গিয়েছিলেন। সেই পুজো দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। তিনি ছিলেন চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জের চাউলপট্টির অঞ্চলের বাসিন্দা। সেই চাউলপট্টির নিচুপাটিতে তিনি প্রথম শুরু করেছিলেন জগদ্ধাত্রী পুজো। যদিও অনেকের মতে ১৭৫৬ সালে মৃত্যু হয়েছিল ইন্দ্রনারায়ণের। সেই সময় জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছিল কি না, তা নিয়ে রয়েছে মতভেদ। 

আরও পড়ুন- ডায়রিয়া বেড়ে যাচ্ছে ইচ্ছেমত ORS খেয়েই! কী বলছেন চিকিৎসকরা?

আরেকটি মতে, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান ছিলেন দাতারাম শূর। তিনি থাকতেন ভদ্রেশ্বরের গৌরহাটি অঞ্চলে। এখানেই আনুমানিক ১৭৬২ সাল নাগাদ দাতারামের বিধবা মেয়ে নিজের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো করেছিলেন। এ পুজোতেও নাকি অনুদান দিতেন কৃষ্ণচন্দ্র। পরবর্তীকালে এই পুজোই স্থানান্তরিত হয়েছে বর্তমানের শিবতলা অঞ্চলে। মধ্যে আর্থিক কারণে পুজোটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে গৌরহাটি অঞ্চলের বাসিন্দারা পুজোর দায়িত্ব নেন এবং সেই পুজোটি এখন তেঁতুলতলার পুজো নামে পরিচিত। এবছর জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী পড়েছে ৩০ অক্টোবর। 

puja Jagaddhatri