Kalighat Kali Temple: কলকাতার এই ঐতিহাসিক মন্দির, আজও হয় জীবন্ত দেবীর আরাধনা!

Kalighat Kali Temple: কলকাতার কালীঘাটের কালীমন্দির ভারতের অন্যতম প্রাচীন শক্তিপীঠ। এখানে আজও দেবী কালীকে জীবন্ত রূপে পূজা করা হয়। জানুন ইতিহাস, মিথ, দর্শনের সময়সূচি।

Kalighat Kali Temple: কলকাতার কালীঘাটের কালীমন্দির ভারতের অন্যতম প্রাচীন শক্তিপীঠ। এখানে আজও দেবী কালীকে জীবন্ত রূপে পূজা করা হয়। জানুন ইতিহাস, মিথ, দর্শনের সময়সূচি।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Kalighat Kali Temple

Kalighat Kali Temple: কলকাতার জীবন্ত কালী।

Kalighat Temple: কলকাতার কালীঘাটের কালীমন্দির। এই মন্দির শুধু কোনও পূজার জায়গা নয়। এটি এক ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার কেন্দ্রভূমি। গঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এই মন্দিরটি ভারতের ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম। যেখানে বিশ্বাস করা হয় দেবী সতীর ডান পায়ের আঙুল পতিত হয়েছিল।

Advertisment

মন্দিরের ইতিহাস ও কাহিনি

কথিত আছে, প্রাচীন কালীঘাট অঞ্চল একসময় ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল। এখানকার এক সাধক 'ব্রহ্মানন্দ গিরি' স্বপ্নে দেবী কালীকে (Kali) দেখে মাটির নীচে তাঁর একটি দেবীমূর্তি আবিষ্কার করেছিলেন। সেই মূর্তিকেই পরবর্তীতে পূজা করতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষ।    ১৮ শতকে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার এই স্থানটিকে পাকা মন্দিরে রূপ দিয়েছিল। বর্তমান মন্দিরের স্থাপত্য সেই সময়ের বাঙালি মন্দিরশৈলীর এক অনন্য নিদর্শন।

আরও পড়ুন- জানুন আজকের ভাগ্য, প্রেম, কর্ম, অর্থ-ভাগ্য কার কেমন

কালীঘাটের দেবীমূর্তিটি অনন্য। দেবীর মুখ কালো, জিহ্বা লাল এবং সোনার তৈরি তিনটি চোখ। দেবীর জিহ্বার ওপর সোনার পাত দেওয়া থাকে। যা বিশেষ উপলক্ষে খোলা হয়। দেবীর পাশে থাকেন ভগবান শিবের প্রতীকী রূপ 'শিবলিঙ্গ'। দেবী এখানে দক্ষিণাকালী রূপে পূজিতা হন। তাঁর শিব বা ভৈরব বা পীঠরক্ষক হলেন নকুলেশ্বর। 

Advertisment

আরও পড়ুন- কীভাবে খুলবে কপাল? আজ দুর্ভাগ্য দূর করুন এই টিপসে!

প্রতিদিন সকাল ৫টা থেকে দুপুর ২টো এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দেবীকে দর্শন করা যায়। প্রতি শনিবার এবং মঙ্গলবার ভক্তদের বিশেষ ভিড় লেগে থাকে এই মন্দিরে। কালীপুজো ও দীপাবলির সময় এই মন্দিরে কয়েক লক্ষ ভক্ত আসেন। পুজোর ভোগ হিসেবে দেবীকে দেওয়া হয় খিচুড়ি, ফল, নারকেল ও পায়েস।

আরও পড়ুন- কেন পালিত হয় আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস, জানেন এর ইতিহাস, উদ্দেশ্য?

মেট্রোতে কালীঘাট বা যতীন দাস পার্ক স্টেশনে নেমে হেঁটে যাওয়া যেতে পারে। হাজরাগামী যে কোনও বাসে চেপে, সেখান থেকে হেঁটে যাওয়া যেতে পারে এই মন্দিরে। এই মন্দির থেকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রায় ২৫ কিমি দূরে। এই মন্দিরের কাছাকাছি দর্শনীয় স্থান বলতে রবীন্দ্র সরোবর লেক, বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, বিভিন্ন চার্চ। 

আরও পড়ুন- অযথা পা নাড়ানোর অভ্যাসে হতে পারে অমঙ্গল, ক্ষতি হতে পারে অর্থভাগ্যেরও!

ভক্তদের বিশ্বাস, কালীঘাটের এই কালীমন্দির ভক্তি এবং মাতৃত্বের প্রতীক। দেবী কালীকে এখানে ‘জীবন্ত মা’ বলেই তাঁরা মনে করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী তাঁদের রক্ষা করেন, তিরস্কার করেন, আবার আশীর্বাদও দেন।

Kalighat temple