Keoratala Kali: ১৫০ বছরের পুজো, মনস্কামনা হয় পূরণ, জাগ্রত কেওড়াতলা শ্মশানকালীর এই কাহিনি জানেন?

Keoratala Kali: যে শিল্পী প্রথম প্রতিমা বানিয়েছিলেন, বংশ পরম্পরায় তাঁরই পরিবারের লোকেরা এই প্রতিমা গড়েন। যে পুরোহিত প্রথম পুজো করেছিলেন, তাঁর বংশধররাই এখনও পুজোর দায়িত্বে।

Keoratala Kali: যে শিল্পী প্রথম প্রতিমা বানিয়েছিলেন, বংশ পরম্পরায় তাঁরই পরিবারের লোকেরা এই প্রতিমা গড়েন। যে পুরোহিত প্রথম পুজো করেছিলেন, তাঁর বংশধররাই এখনও পুজোর দায়িত্বে।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Kali Pujo

Kali Pujo: কালী পুজো।

Keoratala Kali Pujo: কথিত আছে, এই দেবী এতটাই জাগ্রত যে যখন তাঁর পুজো শুরু হয়, তখন কোনও না কোনও শব বা কোনও সধবার শব অবশ্যই আসে কাঠে চিতায় পোড়ানোর জন্য। একদিকে শব পোড়ানো শুরু হয়, আর অন্যদিকে শুরু হয় দেবীর পুজো। 

Advertisment

পুজোর বেশ কিছু রীতি গোপন রাখা হয়

দেবী যাঁদের মনস্কামনা পূরণ করেন, তাঁরা এখানে ছাগ বলি দেন। মোট ২২ থেকে ২৫টা ছাগ বলি হয়। যার মধ্যে দুটো ছাগ দেয় মন্দির কমিটি। বাকি ২০টা ছাগই বলি দেন সেই সব ভক্তরা, যাঁদের মনস্কামনা পূরণ হয়েছে। সেই বলির মাংসই রান্না করে দেবীকে নিবেদন করা হয়। সঙ্গে, দেবীর জন্য ৬০০ কিলো চাল-ডালের ভোগ হয়। 

আরও পড়ুন- দেবীর ভোগ ডিম! জানুন ৪৫০ বছরের প্রাচীন কালীমন্দিরের আশ্চর্য কাহিনি!

Advertisment

এই শ্মশান কালীর পুজো হয় সম্পূর্ণ তন্ত্রমতে। এই পুজোতে সুরা এবং মাংসের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দেবীর পূজা হয় বীরাচার তন্ত্রমতে। এই পুজোর আরও বিশেষ কিছু রীতি রয়েছে। যেটা বাইরের লোকেদের কাছে প্রকাশ করা নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুন- রঘুর নামে দক্ষিণবঙ্গের নানা প্রান্তে কালীমন্দির! কোনটা সত্যি আর গল্প, বোঝা দায় 

এখানকার দেবী কালীর মূর্তির জিভ অন্যান্য কালী মূর্তির মত বাইরে বেরিয়ে থাকে না। কারণ হল, পুরাণমতে দেবী অসুরকুল নিধন করে, শ্মশানে এসে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি সুরা এবং মাংস খেয়েছিলেন। সেই সময় দেবীর রূপ ছিল শান্ত, স্নিগ্ধ। সেকথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয় এই মন্দিরের কালীমূর্তি। আর কাঠের চুল্লির একেবারে বাঁদিকে রয়েছে কৃষ্ণকালী মন্দির। 

আরও পড়ুন- কেন দেবীকে দক্ষিণা কালী বলা হয়? জানুন এর আসল রহস্য

দেবী শ্মশানকালীর পাশাপাশি এখানে দেবী কৃষ্ণকালীরও পুজো হয়। চতুর্ভুজা দেবীর একহাতে রয়েছে খড়গ অন্য হাতে চাঁদ মালা। দেবীর গায়ের রং নীল অর্থাৎ কৃষ্ণ যেমন শ্যাম বর্ণ তেমনই। দেবীর সামনের দুটি হাতে রয়েছে কৃষ্ণের মতন বাঁশি। কথিত আছে, ভক্ত আনন্দঋষি প্রায় ১৫০ বছর আগে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অনাথানন্দ নামে আরেক ভক্তও এখানে দীর্ঘদিন সাধনা করেছিলেন। 

আরও পড়ুন- দেবী এখানে অমর প্রেমকাহিনির সাক্ষী! প্রেমিক যুগলের নামেই পরিচিত

এই শ্মশানে রয়েছে পঞ্চমুণ্ডির আসন। সেখানে বসে সাধকরা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছেন। এই শ্মশানে রয়েছেন মহাকাল শিবও। এখানে পুজো শেষে ঘট শ্মশানের ঘাটেই বিসর্জন দেওয়া হয়। ভোগ জনগণের মধ্যে বিতরণ করা হয়। 

Kali pujo