Learn what to do to fight diabetes: শুধু বড়দের নয়, ছোট থেকেই ডায়াবেটিস (Diabetes) নিয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। শিশু দিবসে এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন বিশিষ্ট ডায়েটেশিয়ান জয়তী। পাশাপাশি আজ ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস ডে (World Diabetes Day)। কোন মন্ত্রে ডায়াবেটিসকে জব্দ করা যাবে সেকথাও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়েছেন তিনি।
বাচ্চাদের খাবার নিয়ে সতর্কতা:
ডায়েটেশিয়ান জয়তীর কথায়, "এখন নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে দাঁড়িয়ে প্রায়ই মায়েদের মুখে শুনতে পাই আমার বাচ্চা বাড়ির তৈরি খাবার খেতে চায় না। পিৎজা, বার্গার, কোল্ড ড্রিংস, চিপস এগুলো খেতে চায়। এগুলো দিতে চাই না। আমার মতে বাচ্চারা খেতে চায় না, তা হয় না। আমরা প্রপার খাবার দিতে পারি না। আমাদের কর্মব্যস্ততা বা কর্মবিমুখতার জন্য যে কোনও কারণেই হোক এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাচ্চা মাটির ডেলা। যেভাবে তৈরি করা হবে সেভাবে তৈরি হবে। বেবি ফুড কোনও বা ডাব্বার খাবার নয়। তাতে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি থাকছে। তাই ছোট থেকেই ডায়াবেটিস হচ্ছে। অপুষ্টি মানে ক্ষীর্ণ নয়। স্থুলকায় হলেও বড় সমস্যা।"
স্কুলে কেমন টিফিন দিতে পারেন বাচ্চাকে?
"কর্মব্যস্ততার মধ্যেও মায়েরা সচেতন হলে বাচ্চাদের ডায়েট খাবার দিতে পারি। টিফিন বাচ্চারা খাচ্ছে না। সত্যি আমরা কজন বাচ্চাকে হাতে তৈরি খাবার দিতে পারি? পরিবর্তে আমরা বাসি খাবার দিতে থাকি বাচ্চাকে। আগের দিনের তৈরি খাবার গরম করে দিই। মা, ঠাম্মা, দিদানদের তৈরি খাবার বাচ্চাকে অন্যরকম স্পর্শ অনুভূতি দেয়। তাহলে খুশিতেই খাবার খেয়ে নেয় বাচ্চারা। বাচ্চাকে ৫ দিনের স্কুলে ৫ রঙের টিফিন বক্স দিন। রুটি তরকারি, প্যান কেক, পাউ দই, লিট্টি, এগরোল,চাউমিন সবই বাড়িতে বানানো যায়। ফল কেটে বাচ্চাকে দেবেন না। প্রয়োজনে গোটা ফল দিন। বা বাড়িতে ফল দিন। মিলেটের আটা ব্যবহার করবেন, ময়দা নয়। চিনি নয়, গুড় খেতে পারে।"
বাচ্চাদের ডায়েট মানে কী?
"ড্রাইফ্রুটস, খেজুর দিতে পারেন। ক্যাডবেরি কৈরি করে দিতে পারেন। বাচ্চাকে তাদের মতো ভাবতে হবে। পাস্তা, চাউমিন দিলেও মিলেটের দেবেন। মিলেট কোনটা খেলে ভালো, কোনটা ভালো নয় সেটার জন্য দীর্ঘ আলোচনা দরকার। ৫ দিনে ৫ রকম খাবার পেলে একটা মজা থাকবে। বাচ্চাদের ৬ মাস পর থেকে প্রপার ডায়েট দেওয়া উচিত। ডায়েট মানে খাবর বন্ধ করা বা কমানো নয়। বাচ্চার ওজন, উচ্চতা, বৃদ্ধির জন্য কোনটা খেলে ভালো হয়। ডাব্বা খাবার না দিয়ে বাড়িতে সুজি, মুড়ি গুরো, আপেল সিদ্ধ, ছানা দেওয়া যেতে পারে। ৮ বছরের পর খাদ্যাভ্যাস আরও বদলে যাবে। বাচ্চাকে মানসিক ও শারীরিক সুস্থ রাখা অববশ্যই দরকার।"
আরও পড়ুন- Health Tips: ঘুমের অভাবে শরীরে ফুটে উঠতে পারে এই লক্ষণগুলি! উপেক্ষায় ঘনাবে চরম বিপদ
"কয়েকবছর ধরে দেখা। যাচ্ছে ছোট ছোট বাচ্চাদের ডায়াবেটিক হচ্ছে। গর্ভকালীন অবস্থায় মায়ের সঠিক লাইফ স্টাইল না থাকার জন্য এই ডায়াবেটিক হতে পারে। বাচ্চাদের ডাব্বা খাবার খাওয়ার জন্য এই ডায়াবেটিক হচ্ছে। এই খাবারে চিনি থাকায় সুগার আক্রান্ত বা ডায়াবেটিক হচ্ছে। লাইফ স্টাইল চেঞ্জ করতে হবে। কেক, পিৎজা, বার্গার দেওয়া হচ্ছে। বাবা, মা ও স্কুল কর্তৃপক্ষকেও সচেতন হতে হবে।"
আরও পড়ুন- Winter Fruits: শীতে রোজ মেনুতে রাখুন এই খাবারগুলি, তার পর ম্যাজিক দেখুন, শরীর-স্বাস্থ্য চাঙ্গা থাকবে
বড়দের ডায়াবেটিস নিয়ে জয়তীর পরামর্শ:
ডায়েটিশিয়ান জয়তীর কথায়, "বড়দের হেরিডেটি থেকে ডায়াবেটিক হতে পারে। নিজের লাইফস্টাইল, কর্মব্যস্ততায় সময় বের করতে পারি না, বা চেষ্টা করি না। হাঁটা বন্ধ। মনে হল, একগাদা ফল খেয়ে ফেললাম। দায়িত্ব নিয়ে বলা যায় যাঁদের ইনসুলিন বা মেডিসিন চলছে তাঁরা প্রপার ডায়েট করলে সুগার রিভার্স হবে। সুগার সাইলেন্ট কিলার। এর কারণে কিডনি, চোখ নষ্ট হয়ে যায়। সুগার কন্ট্রোলে রাখা উচিত লাইফ স্টাইল পাল্টে। তাহলে ৯০ পার্সেন্ট কমানো যাবে। ইনসুলিন বা মেডিসিনের পরিমাণ কমানো যাবে। লাইফস্টাইল, নিয়ন্ত্রিত খাওয়া, মেডিটেশন, যোগাসন দরকার। তাহলেই সুস্থ থাকতে পারবেন।"