Mahalaya 2025: মহালয়ায় কী রাতেও তর্পণ করা যায়? সঠিক সময় জানুন

Mahalaya 2025: এই তিথি পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা চিহ্নিত করে। জেনে নিন মহালয়ার মাহাত্ম্য, তর্পণ করার নিয়ম ও দেবীপক্ষের সূচনার গুরুত্ব।

Mahalaya 2025: এই তিথি পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা চিহ্নিত করে। জেনে নিন মহালয়ার মাহাত্ম্য, তর্পণ করার নিয়ম ও দেবীপক্ষের সূচনার গুরুত্ব।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Mahalaya, Chakkhudan, Tarpan, মহালয়া, চক্ষুদান, তর্পণ,

Mahalaya Tarpan: মহালয়ায় তর্পণ।

Mahalaya 2025: সরকারি ছুটির দিন না হলেও, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে মহালয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই তিথি পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের সূচনাকে চিহ্নিত করে থাকে। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং আসামে মহালয়া অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালিত হয়।

Advertisment

তর্পণ শব্দের অর্থ তৃপ্ত করা

আরও পড়ুন- শাস্ত্রমতে এই তিথিতেই গণেশের বিসর্জন, ৬ না ৭ সেপ্টেম্বর, কবে অনন্ত চতুর্দশী?

২০২৫ সালের মহালয়া পালিত হবে ২১শে সেপ্টেম্বর,রবিবার। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, এই দিনে পূর্বপুরুষরা পিতৃলোক থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং তাঁদের জন্য তর্পণ করলে তুষ্ট হন। এর ফলে পরিবারে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। কথিত আছে, মহাভারতের নায়ক কর্ণ স্বর্গে প্রবেশ করতে পারেননি, কারণ জীবদ্দশায় তিনি পূর্বপুরুষদের জন্য তর্পণ করেননি। পরে পৃথিবীতে ফিরে এসে তর্পণ সম্পন্ন করার পর তিনি স্বর্গে স্থান লাভ করেন। এই কিংবদন্তির মাধ্যমেই মহালয়া আচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

Advertisment

আরও পড়ুন- রাধাষ্টমী পালন তো করলেন, এই গল্পটি পড়েছেন? না-হলে কিন্তু আপনার ব্রত অসম্পূর্ণ!

মহালয়া মানেই ভোরবেলা বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে ‘মহিষাসুর মর্দিনী’ শোনা। অল ইন্ডিয়া রেডিও-র এই অনুষ্ঠান প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষের হৃদয়ে অনুরণিত হচ্ছে। দেবী দুর্গার মহিষাসুরের ওপর বিজয়ের মহিমা এই অনুষ্ঠানে ফুটিয়ে তোলা হয়। তবে, যেভাবেই দেখা হোক, মহালয়া আসলে এক অমাবস্যা তিথি। যা রবিবার দিনভর রয়েছে। ছাড়বে রাত ১২টা ২৫ পর্যন্ত। তবে, সূর্যোদয়ের কথা মাথায় রেখে এই তর্পণের কাজ ভোরবেলায় শেষ করেন লোকজন। 

আরও পড়ুন-রাধারানির পুজো তো করলেন, সঙ্গে এটি করুন, সারা বছর ঘরে অর্থ আসবে!

এই বিশেষ তিথিতে তর্পণ উপলক্ষে গঙ্গার ঘাটগুলোতে তিলধারণের জায়গা পর্যন্ত থাকে না। যাঁরা গঙ্গায় বা জলাশয়ে যান না, তাঁরা বাড়িতে পবিত্র জলপাত্র ব্যবহার করে তর্পণ সারেন। এজন্য তাঁরা ভোরবেলা স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরে দক্ষিণ দিকে মুখ করে বসেন। একটি পাত্রে গঙ্গাজল, তিল, ফুল ও কুশ নেন। পিতৃনাম ও গোত্র উচ্চারণ করে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ সারেন।

আরও পড়ুন- রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে, বিপদে-আপদে তিনিই বাঙালির ভগবান!

বাংলার প্রতিমা শিল্পীরা এই বিশেষ তিথিতেই দেবী দুর্গার প্রতিমার চক্ষুদান করেন। যাতে দেবীর মধ্যে প্রাণসঞ্চার হয় বলেই শিল্পীদের বিশ্বাস। অনেকে এই তিথিতে বিশেষ চণ্ডীপাঠের আয়োজন করে থাকেন। 

2025 Mahalaya