/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/12/maa-manasa-2025-08-12-17-16-30.jpg)
Maa Manasa: নাগপঞ্চমীতেও মনসা পূজার চল রয়েছে।
Manasa Puja 2025: বাংলার গ্রামীণ জীবনে মনসা পূজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক উৎসব। দেবী মনসা হিন্দু পুরাণে 'নাগদেবী' বা সাপের দেবী হিসেবে পরিচিত। তিনি সর্পদংশন থেকে রক্ষা, সন্তান প্রাপ্তি এবং বিপদ থেকে মুক্তির জন্য পূজিতা হন।
২০২৫ সালে মনসা পূজা কবে?
পঞ্জিকা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে মনসা পূজা পালিত হবে ১৩ আগস্ট ২০২৫ (২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, অষ্টনাগ পূজা)। কিন্তু, অঞ্চলে আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসের প্রতিটি পক্ষের পঞ্চমীতে বা একটানা একমাস ধরে পূজা চলে।
আরও পড়ুন- ১৩ আগস্ট বিশ্ব বামহাতি দিবস, জানুন এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব, তাৎপর্য!
দেবী মনসার পরিচয় এবং জন্মকথা
পুরাণ অনুযায়ী, মনসা দেবী কাশ্যপ মুনি ও কদ্রুর কন্যা। আবার কিছু কাহিনিতে তিনি শিবের কন্যা হিসেবে পরিচিতা। তাঁর স্বামী ছিলেন ঋষি জরৎকারু। মনসা দেবীর পূজা বাংলায় মূলত বর্ষাকালে হয়। কারণ, এই সময় সাপের উপদ্রব বেশি থাকে।
আরও পড়ুন- ছোট মাছের চচ্চড়ির রেসিপি, একবার খেলেই ছেলেবেলার স্বাদ মনে করিয়ে দেবে!
অষ্টনাগ কারা?
মনসা পূজায় অষ্টনাগের নাম বিশেষভাবে উচ্চারিত হয়— শেষনাগ, বাসুকি, তক্ষক, কর্কটক, পদ্মনাগ, মহাপদ্ম, শঙ্খপাল এবং ধৃতরাষ্ট্র। বাংলার লোককথায় চাঁদ সওদাগরের সঙ্গে দেবী মনসার কাহিনি সবচেয়ে জনপ্রিয়। চাঁদ সওদাগর দেবীকে পূজা করতে অস্বীকার করায় তাঁর পরিবারে দুঃখ নেমে এসেছিল। পরে বেহুলার প্রচেষ্টায় পূজা শুরু হলে সব বিপদ কেটে যায়।
আরও পড়ুন- গরুর বাঁট থেকে সরাসরি শিশুকে কাঁচা দুধ খাওয়াচ্ছেন বাবা! প্রবল ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা
পূজার প্রস্তুতি ও উপকরণ
মনসা পূজার জন্য দরকার— মনসা দেবীর প্রতিমা বা ছবি, কলা, আম, নারকেল-সহ নানা ফল, বেলি, জবা, শিউলি-সহ ফুল, ধূপ, দীপ, কাঁচা দুধ, মধু, সিঁদুর, চন্দন, লাল ও সাদা কাপড়, সাপের মূর্তি বা ছবি, পবিত্র তীর্থের জল।
আরও পড়ুন- পরমাণু অস্ত্রের পিছনে কারা করছে বেশি খরচ, চলছে লবিবাজিও! তালিকায় ক'নম্বরে ভারত?
পূজার স্থান পরিষ্কার করে প্রতিমা বা ছবি স্থাপন করতে হয়। দেবীর উদ্দেশ্যে ফল, ফুল, দুধ ও মধু নিবেদন করা হয়। কোথাও জীবন্ত সাপের পূজা হয়। ভক্তরা মন্ত্র জপ, প্রসাদ বিতরণ ও আচার-অনুষ্ঠান শেষে নিজেদের মঙ্গল কামনা করেন। মনসা পূজা শুধু ধর্মীয় আচার নয়, এটি বাংলার লোকজ সংস্কৃতিরও অংশ। গ্রামীণ জীবনে এটি সামাজিক মিলনমেলার উৎসব, যেখানে গান, নাটক ও লোককথা পরিবেশিত হয়। আজও মনসা পূজা গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে সমানভাবে পালিত হয়। যদিও আয়োজনের ধরনে কিছু পরিবর্তন এসেছে, তবুও এর মূল উদ্দেশ্য ও ভক্তিভাব অপরিবর্তিত রয়েছে।