Masoor Dal Benefits: বাঙালির রান্নাঘরের অতি পরিচিত মসুর ডাল। অধিকাংশ বাঙালিই প্রতিদিনের পাতে রাখেন এই ডাল। বাংলার ৮ থেকে ৮০- জন্মাবধি শুনে আসছে, মসুর ডালে অত্যন্ত প্রোটিন আছে। তাই খাওয়া ভালো। কারণ পুষ্টিগুণের জন্য এই ডাল প্রতিদিন খাওয়া দরকার। আর, সেকথা বলছেন পুষ্টিবিদরাও। তাঁরাও বাঙালি মা-ঠাকুমাদের সুরে জানাচ্ছেন যে এই ডাল শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্য উপকারিতাতেও অনন্য।
নীচে মসুর ডালের ১০টি অসাধারণ উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হল---
আরও পড়ুন- রোদ থেকে ফিরে কতক্ষণ পরে স্নান করবেন? না জানলে কিন্তু, বিরাট ক্ষতি করছেন নিজেরই
১. ওজন কমাতে সহায়তা করে
মসুর ডালে রয়েছে প্রচুর ফাইবার এবং কম ক্যালরি, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে।
২. হার্ট ভালো রাখে
মসুর ডালে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাসিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৩. রক্তস্বল্পতা দূর করে
আয়রনের উৎস হিসেবে মসুর ডাল রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে কার্যকর।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকার কারণে মসুর ডাল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫. ত্বক ও চুল ভালো রাখে
মসুর ডালে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন, ত্বককে উজ্জ্বল এবং চুলকে শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে।
৬. হজম শক্তি বাড়ায়
ফাইবার থাকার কারণে এটি হজমে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
৭. ইমিউন সিস্টেম মজবুত করে
প্রোটিন, জিংক এবং আয়রন--- ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
আরও পড়ুন- ছাতুর শরবতেই শরীর দফারফা, বাঁধিয়ে বসছেন দুরারোগ্য ব্যাধি?
৮. হাড় শক্তিশালী করে
মসুর ডালে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস হাড়ের গঠন মজবুত করে।
৯. গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী
ফোলেট এবং আয়রন সমৃদ্ধ এই ডাল গর্ভবতী নারীদের জন্য দারুণ উপযোগী।
১০. সহজলভ্য ও রান্না করা সহজ
সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এটি সহজলভ্য এবং রান্না করাও খুব সহজ। প্রতিদিনের খাবারে সহজেই যোগ করা যায় এই ডাল।
আরও পড়ুন- ঘুম থেকে উঠেই যাচ্ছেন হাঁটতে, শরীর ভালো রাখতে গিয়ে এই ভয়ংকর রোগের দিকে চলে যাচ্ছেন না-তো?
তবে, মসুর ডালের কিছু অপকারিতাও আছে:
১. যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে
কিডনি রোগীদের জন্য উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার বিপদজনক হতে পারে। মসুর ডালে প্রোটিনের (veg protein) মাত্রা বেশি হওয়ায়, এটি কিডনির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
৩. ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়
মসুর ডালে পুরিন নামে এক যৌগ থাকে যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে। গেঁটে বাত (gout) বা জয়েন্টের ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি সমস্যাজনক।
৫. থাইরয়েডে প্রভাব
মসুর ডালে গোয়াইট্রোজেনিক উপাদান থাকতে পারে যা থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটায়। থাইরয়েড রোগীদের জন্য অতিরিক্ত ডাল খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
আরও পড়ুন- ফুচকা দেখলেই লোভ হয়! টপাটপ খাচ্ছেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে, শরীরের কী হচ্ছে কল্পনাও করতে পারবেন না
নিরাপদভাবে মসুর ডাল খাওয়ার টিপস:
-
ডাল ভিজিয়ে রেখে রান্না করলে এটি সহজে হজম হয়
-
দিনে ১ কাপের বেশি খাওয়া উচিত নয়
-
কিডনি, গ্যাস্ট্রিক বা থাইরয়েড সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মসুর ডাল খাওয়া উচিত
-
প্রচুর জল পান করা উচিত যাতে ডালের ফাইবার এবং প্রোটিন ঠিকমত হজম হয়