Health Care: আমাদের শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা নির্ভর করে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ওপর—অন্ত্র (gut) এবং লিভার (liver)। হজম, পরিপাক, টক্সিন দূর করা ও রোগ প্রতিরোধে এদের ভূমিকা অপরিসীম। গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. জোসেফ সালহাব সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে এমন তিনটি সকালের খাবার শেয়ার করেছেন যা অন্ত্র এবং লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে চমৎকার কাজ করে। চলুন জেনে নিই সেই খাবারগুলি কী এবং কেন এগুলি গুরুত্বপূর্ণ।
১. বেরি — প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার
ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, স্ট্রবেরি এবং ব্ল্যাকবেরি জাতীয় বেরিগুলি অন্ত্রের গুড ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। ব্লুবেরি বিশেষভাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করে লিভারকে রক্ষা করে। এছাড়াও, এগুলোতে থাকা ফাইবার পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়।
আরও পড়ুন- রাতারাতি ত্বক হবে উজ্জ্বল! কোরিয়ান ফর্মুলায় তিসি, ভাত আর হলুদের এই মাস্ক এখন ভাইরাল
২. বাদাম— ফাইবার এবং ওমেগা-৩ এর উৎস
প্রতিদিন সকালে একমুঠো আখরোট, কাজু, পেস্তা, বাদাম ও ম্যাকাডামিয়া বাদাম খান। ডাঃ সালহাব বলছেন, এটি কেবল অন্ত্রের জন্যই নয়, মস্তিষ্ক ও কোলনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। বাদামে থাকা হেলদি ফ্যাট ও ফাইবার লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- খাওয়ার পর পেট ফুলে যায়? উঠোনে থাকা এই পাতাটি চিবোলেই মিলবে আরাম, বলছেন চিকিৎসক!
৩. ব্ল্যাক কফি— লিভারের সুস্থতার জন্য ভেষজ টনিক
প্রতিদিন সকালে এক কাপ ব্ল্যাক কফি পান করুন। এটি হজমে সহায়তা করে, খিদে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফ্যাটি লিভার কমাতে কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, কালো কফি লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- ওজন কমাতে রাতে খাচ্ছেন না, একমাস ধরে রাতে না খেলে কী হয় জানলে নিজেই কাঁদবেন!
বিশেষজ্ঞের টিপস:
-
এই তিনটি খাবার সকালে প্রথম দিকে খেলে পেটও থাকবে হালকা এবং লিভারও কাজ করবে পরিষ্কার।
-
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
-
প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ফল ও বাদাম রোটেশন করে খান, যাতে খাদ্যাভ্যাসে বৈচিত্র থাকে।
আরও পড়ুন- ১ বছরে ২৫ কেজি ওজন কমাতে চান? এই ৬টি সহজ কৌশল মেনে চলুন
মনে রাখবেন
আমাদের এই স্বাস্থ্য পরামর্শ এবং টিপস যদি আপনাদের কোনও উপকারে এসে থাকে, তবে নীচে কমেন্ট বক্সে জানান। যাতে বাকিরাও তাতে উৎসাহিত হন। এর পাশাপাশি, সবসময়ই মনে রাখছেন চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। গোড়া থেকেই চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হলে, সমস্যা মোটেও বড় আকার নিতে পারে না।