Nimta Kali Temple: দেবী জাগ্রত, আজও নিশুতি রাতে বন্ধ মন্দির থেকে ভেসে আসে চণ্ডীপাঠের শব্দ!

Nimta Kali Temple: নিমতা আদি কালী মন্দিরের অলৌকিক কাহিনির কথা ভক্তদের মুখে ফেরে। মঠপুকুর থেকে দেবীর মূর্তি উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করেছিল সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার।

Nimta Kali Temple: নিমতা আদি কালী মন্দিরের অলৌকিক কাহিনির কথা ভক্তদের মুখে ফেরে। মঠপুকুর থেকে দেবীর মূর্তি উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করেছিল সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Nimta Adi Kali Temple

Nimta Kali Temple: দেবী জাগ্রত, বিশ্বাস স্থানীয় বাসিন্দাদের!

Nimta Kali Temple: নিমতা আদি কালী মন্দির শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থান নয়। এ যেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, অলৌকিক কাহিনি আর অগণিত ভক্তের বিশ্বাস। কলকাতার উত্তর প্রান্তে অবস্থিত এই মন্দিরে আজও প্রতিদিন নিয়মিত পূজা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস—এখানকার মা কালী খুবই জাগ্রত।

Advertisment

স্থানীয় জনশ্রুতি

স্থানীয় জনশ্রুতি অনুযায়ী, একসময় নিমতা অঞ্চলে ঘন জঙ্গল ছিল। সতেরো শতকের দিকে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের লক্ষ্মীকান্ত রায়ের দ্বিতীয় পুত্র গৌরীকান্ত রায় বিরাটি–নিমতা এলাকায় জমিদারি গড়ে তোলেন। একদিন তিনি জমিদারি পরিদর্শনে বেরিয়ে মঠপুকুরের ধারে বিশ্রাম নিতে গিয়ে সেই পুকুরের জল পান করেন।

আরও পড়ুন- এই ৫ সুস্বাদু খাবার কেবল ভারতেই মেলে, খেতে কিন্তু দুর্দান্ত!

রাতেই স্বপ্নে মা কালী তাঁকে আদেশ দেন, 'এই পুকুর থেকেই আমার মূর্তি উদ্ধার কর।' পরদিন তিনি পুকুর থেকে চারটি কালো রঙের পাথরের টুকরো উদ্ধার করেন। এর মধ্যে দুটি দিয়ে তৈরি হয় দেবী কালীর মূর্তি, আর বাকি দুটি স্থাপন করা হয় মন্দিরের সিঁড়ির দুই পাশে—যেগুলোকে আজও স্থানীয়রা বলেন, 'কালীর দুই বোন'।

Advertisment

আরও পড়ুন- স্বাদে, গন্ধে খাসা! রবিবারই বানিয়ে ফেলুন মাংসের গরগরা

অন্য একটি জনপ্রিয় কিংবদন্তি অনুযায়ী, স্থানীয় কয়েকজন জেলে একদিন মঠপুকুরে জাল ফেলতে গিয়ে অদ্ভুত কিছু পান। রাতে তাঁরাও স্বপ্নে মা কালীর নির্দেশ পান, সেই প্রস্তরখণ্ড উদ্ধার করে মূর্তি নির্মাণ করতে হবে। সেই থেকেই শুরু হয় নিমতা আদি কালী মন্দিরের পুজো। মন্দিরটি একচূড়া স্থাপত্যে নির্মিত, যার সঙ্গে যুক্ত নাটমন্দির।

আরও পড়ুন- কলকাতার সবচেয়ে সস্তা লাইটের বাজার, দীপাবলির আগেই জমজমাট!

মূল মন্দিরের একপাশে শিবমন্দির এবং অন্যপাশে রাধাগোবিন্দ মন্দির রয়েছে। দেবী মূর্তিটি দ্বিভুজা, প্রসন্ন মুখমণ্ডল, লোলজিহ্বা ও মুণ্ডমালা ধারণ করে আছেন। তিনি শায়িত শবশিবের বক্ষে দণ্ডায়মান। ডান হাতে খড়্গ, বাম হাতে বরাভয় মুদ্রা—যেন ভক্তদের আশীর্বাদ দিচ্ছেন দেবী।

আরও পড়ুন- কলকাতার এই ঐতিহাসিক মন্দির, আজও হয় জীবন্ত দেবীর আরাধনা!

এই মন্দিরে পূজা হয় সিদ্ধকালী মন্ত্রে। সাত জন পুরোহিত পালাক্রমে পূজার্চনা করেন। প্রতিদিন নিয়মিত পূজা হয়, তবে প্রতিমাসের অমাবস্যায় বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। সবচেয়ে বড় উৎসব হয় কার্তিক মাসের কালীপূজায়। সেই সময় ভক্তরা দূর-দূরান্ত থেকে আসেন দেবী দর্শনে।
পাশের রাধাগোবিন্দ মন্দিরে একই সময় রথযাত্রা ও ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই মন্দিরের মা কালী অত্যন্ত জাগ্রত। বহু ভক্তের দাবি—তাঁদের প্রার্থনা এখানে পূরণ হয়েছে। ভক্তিভরে ডাকলে দেবী কথা শোনেন।

Temple Kali