Home remedies Lifestyle: মেচেতা বা মেলাজমা (Melasma) হল এক ধরনের ত্বকের সমস্যা, যা মূলত মুখের ওপর বাদামি বা ধূসর বাদামি রঙের দাগ হিসেবে দেখা দেয়। অতিরিক্ত সূর্যালোক, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, গর্ভাবস্থা এবং ত্বকের যত্নে অবহেলার কারণে এই দাগ দেখা দিতে পারে। বাজারে নানা রকম ক্রিম থাকলেও অনেকেই এখন প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়ে মেচেতা কমাতে চাইছেন। দেখে নিন এমনই কিছু কার্যকর ঘরোয়া সমাধান।
কাঁচা দুধ ও লেবুর রস
কাঁচা দুধে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা ত্বকের মেলানিন কমাতে সাহায্য করে। লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। কীভাবে ব্যবহার করবেন? এক চামচ কাঁচা দুধের সঙ্গে অর্ধেক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মেচেতার ওপর লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ দিন করুন।
আরও পড়ুন- চুল ঝরছে? ভিজিয়ে নিন রান্নাঘরের এই জিনিসটি, ফলাফল দেখে অবাক হয়ে যাবেন নিজেই!
রসুন
রসুনে থাকা সালফার যৌগ ত্বকের দাগ দূর করতে পারে। কীভাবে ব্যবহার করবেন? এককোয়া রসুন থেঁতো করে সরাসরি দাগের ওপর ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত সংবেদনশীল ত্বকে সতর্কতা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন- পুরুষদের টাইট বেল্ট পরা বন্ধ করতেই হবে! না হলে ভয়াবহ বিপদ, সাবধানবাণী শোনালেন বিশেষজ্ঞরা
চন্দন কাঠের গুঁড়ো ও গোলাপজল
চন্দন প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। এটি ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে দাগ দূর করতে সহায়ক। কীভাবে ব্যবহার করবেন? এক চামচ চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন- রান্নার সামগ্রী দিয়েই চুল করুন কুচকুচে কালো, জেনে নিন সহজ পদ্ধতি!
মধু ও হলুদ
মধু ত্বকে আর্দ্রতা যোগায় আর হলুদে আছে অ্যান্টি-পিগমেন্টেশন উপাদান। কীভাবে ব্যবহার করবেন? এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে লাগান। ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন- উজ্জ্বল ত্বক পেতে এই ৪টি ভুল এড়িয়ে চলুন, নইলে বিপদ আসবেই!
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা ত্বকের পিগমেন্টেশন ত্বককে হালকা করে ঠান্ডা রাখে। এর ব্যবহার? প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা জেল প্রতিদিন রাতে দাগের ওপর ঘুমোনোর আগে লাগান।
আরও পড়ুন- মেঘলা দিনে ঘরে বসে মন ভালো করা ৭টি কাজ, যা আপনার দিনটাকে রাঙিয়ে তুলবে
অতিরিক্ত টিপস
রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। পর্যাপ্ত জল এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার করুন। এই ঘরোয়া উপায়গুলো নিয়মিত প্রয়োগের মাধ্যমে মেচেতা কমাতে সহায়তা করতে পারে। তবে দাগ দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।