Homemade Facewash: আপনি কি প্রতিদিন বাজারের ব্যয়বহুল ফেসওয়াশ ব্যবহার করছেন? জানেন কি, এতে থাকা রাসায়নিক এবং প্যারাবেন পরবর্তীতে আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে? অতিরিক্ত ফোম, ফ্র্যাগ্রেন্স বা কৃত্রিম উপাদান ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও ময়েশ্চার কেড়ে নিয়ে ত্বককে শুষ্ক, দুর্বল এবং অকাল বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দেয়।
আরও পড়ুন- স্নানের আগে এই জিনিসটি লাগান, চুল হবে রেশমের মত মসৃণ ও নরম
ব্রণ, দাগ, র্যাশ, ট্যান, এমনকি বলিরেখাও অনেক সময় ত্বকের ভুল যত্নের ফল। যাঁদের ত্বক সংবেদনশীল, তাঁদের জন্য রাসায়নিক ফেসওয়াশ আরও বেশি ক্ষতিকারক। তাই বলে শুধু জল দিয়ে মুখ ধুলে ত্বকের গভীরে জমে থাকা তেল, ধুলো এবং মৃত কোষগুলো ঠিকভাবে দূর হয় না। তাহলে কী করবেন? রান্নাঘরেই আপনি এমন একটি উপাদান পেয়ে যাবেন যা দারুণভাবে ত্বক পরিষ্কারের কাজ করবে। এই প্রাকৃতিক পরিষ্কারক বা ক্লিনজার হল ছোলা।
আরও পড়ুন- বানিয়ে ফেলুন এই মাছের ঝুরো, শিশু থেকে বৃদ্ধ, খাবে একেবারে চেটেপুটে
কীভাবে বানাবেন এই ফেশওয়াশ?
আপনার লাগবে শুকনো ছোলা, গোলাপ জল বা সাধারণ জল এবং সঙ্গে মধু বা অ্যালোভেরা জেল নিতে পারেন। ছোলা ভালোভাবে শুকিয়ে মিহি গুঁড়ো করুন। ১-২ চামচ ছোলার গুঁড়ো একটি পাত্রে নিন। ওই পাত্রে সামান্য জল বা গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি লাগিয়ে ২-৩ মিনিট আলতোভাবে মুখে ম্যাসাজ করুন। ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক শুকনো হলে ওই মিশ্রণে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। অতিরিক্ত তেলতেলে হলে পাতিলেবুর রস মেশানো যায়। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করলে ত্বক আরও পরিষ্কার দেখাবে।
আরও পড়ুন- ভাতের সঙ্গে মেখে খেতে এভাবে বানান এই সবজি, মুখে লেগে থাকবে!
ছোলার ফেসওয়াশ প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর। এটা মৃত কোষ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার করে ব্রণ প্রতিরোধ করে। ত্বকের ট্যান ও দাগ দূর করে। ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে রাখে। সামান্য খরচে দীর্ঘদিনের জন্য ত্বকের সুরক্ষা দেয়। এই ফেসওয়াশ শুকনো, তেলতেলে, সংবেদনশীল থেকে সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপযোগী। যেহেতু এতে কোনও কেমিক্যাল নেই, তাই এই ফেসওয়াশ নিয়মিত ব্যবহার করলেও কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না।
আরও পড়ুন- উজ্জ্বল ত্বক পেতে প্রতিদিন পান করুন এই রস, বলিরেখা এবং ব্রণ হবে দূর!
আর, এই সব কারণেই আপনার ত্বকের যত্নে ছোলা হতে পারে প্রকৃতির উপহার। প্রতিদিন সকালে এই ঘরোয়া ফেসওয়াশ ব্যবহার করে শুধু আপনি ত্বককে ফ্রেশই রাখতে রাখবেন না, বরং খরচও বাঁচাতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা, আপনার স্কিন থাকবে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর। তাই রাসায়নিক ফেসওয়াশ নয়, আজ থেকেই শুরু হোক প্রাকৃতিক স্কিন কেয়ার রুটিন।