/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/01/devi-durga-2025-10-01-11-26-34.jpg)
Siddhidatri Puja: নবরাত্রির নবমীতে আরাধ্যা দেবী সিদ্ধিদাত্রী।
Durga Puja: নবরাত্রির শেষ দিন অর্থাৎ নবমী তিথিতে মা দুর্গার নবম রূপ দেবী সিদ্ধিদাত্রী-এর পূজা করা হয়। মা সিদ্ধিদাত্রী সর্বসিদ্ধিদাত্রী, তাঁর কৃপায় ভক্তের জীবনে আসে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সাফল্য। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনায় সংসারের যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা দূর হয় এবং পুণ্যলাভ হয়।
ভগবৎ পুরাণে উল্লেখ আছে যে, স্বয়ং মহাদেব দেবী সিদ্ধিদাত্রীকে পূজা করেছিলেন এবং তাঁর কৃপায় সকল সিদ্ধি লাভ করেছিলেন। দেবীর কৃপায়ই মহাদেব অর্ধনারীশ্বর রূপ প্রাপ্ত হন। দেবী সিদ্ধিদাত্রী চতুর্ভুজা, শান্ত স্বভাবের দেবী। তিনি পদ্মাসনে আসীন, সিংহবাহিনী এবং তাঁর হাতে শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম থাকে। দেবীর ত্রিনয়ন সূর্যের মতো দীপ্তিমান এবং অপরূপ লাবণ্যময়ী রূপে তিনি ভক্তদের কৃপাদৃষ্টি প্রদান করেন।
আরও পড়ুন- দূর করুন দুর্ভাগ্য, কাজে লাগান আজকের এই দরকারি টিপস
দেবী সিদ্ধিদাত্রী এবং অষ্টসিদ্ধি
দেবী সিদ্ধিদাত্রী ভক্ত এবং সাধকদের অষ্টসিদ্ধি প্রদান করেন। এই আটটি সিদ্ধি হল— ১) অণিমা – আণবিক রূপ ধারণ করার ক্ষমতা, ২) মহিমা – অসীম আকার ধারণ করার শক্তি, ৩) গরিমা – অদম্য শক্তি অর্জন, ৪) লঘিমা – অতিলঘু হওয়ার ক্ষমতা, ৫) প্রাপ্তি – যে কোনও কিছু অর্জনের শক্তি, ৬) প্রাকাম্য – ইচ্ছামত জিনিস প্রাপ্তির ক্ষমতা, ৭) ঈশিত্ব – সর্বেশ্বরত্ব বা শাসনক্ষমতা, ৮) বশিত্ব – অন্যকে বশে আনার শক্তি।
আরও পড়ুন- পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন ঝান্ডি, মোহময়ী দৃশ্য আর কাঞ্চনজঙ্ঘা মন ভরাবেই
নবমীতেও রয়েছে কুমারী পুজোর চল
নবরাত্রির নবমী তিথিতে ভক্তরা ভোরে স্নান সেরে, দেবীকে গোলাপি বস্ত্র, ফুল, চন্দন, খৈ এবং মাখন নিবেদন করেন। এই দিনে পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে দেবী সিদ্ধিদাত্রীর মন্ত্র জপ করলে সর্বসিদ্ধি লাভ হয়। মহানবমীর দিনে বিভিন্ন জায়গায় কন্যা পূজন বা কঞ্জক পূজাও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কুমারী কন্যাদের দেবী রূপে পূজা করে তাঁদের আহার করানো হয়। এতে দেবী দুর্গা এবং দেবী সিদ্ধিদাত্রীর বিশেষ কৃপা লাভ হয়। এমনটাই কথিত আছে। পুরাণ মতে, দেবী কুমারী রূপে কোলাসুরকে বধ করেছিলেন। সেই কথা মাথায় রেখেই অষ্টমীর মত নবমীতেও কুমারী পুজোর চল আছে।
আরও পড়ুন- দুর্গাপূজায় থিমের ছড়াছড়ি, প্রতিমা তৈরি হচ্ছে নানা জিনিস দিয়ে, শাস্ত্রে কী বলা আছে?
শাস্ত্রে সিদ্ধিদাত্রী
মার্কণ্ডেয় পুরাণে বলা হয়েছে, মা সিদ্ধিদাত্রী অষ্টসিদ্ধির অধিষ্ঠাত্রী দেবী। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে আবার বলা হয়েছে, তিনি অষ্টাদশ সিদ্ধির অধিকারিণী। ভগবান শিবও দেবী সিদ্ধিদাত্রীর কৃপায় সিদ্ধি প্রাপ্ত করেছিলেন এবং অর্ধনারীশ্বর রূপে পরিচিত হন।
আরও পড়ুন- রাহুর অশুভ প্রভাব কাটাতে দুর্গার এই রূপের জুড়িমেলা ভার! কীভাবে করবেন আরাধনা?
দেবী সিদ্ধিদাত্রীর পূজায় ভক্তের জীবনে জাগতিক ও আধ্যাত্মিক সাফল্য আসে। লৌকিক ও পারলৌকিক সব কামনা পূর্ণ হয়। এমনকী জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, তাঁর আরাধনায় কেতু গ্রহের অশুভ প্রভাব কমে যায়।