Shailputri Puja Vidhi: নবরাত্রির প্রথম দিনে দেবী শৈলপুত্রীর আরাধনা, জানেন এতে কী লাভ?

Shailputri Puja Vidhi: নবরাত্রি ২০২৫ শুরু হচ্ছে ২২ সেপ্টেম্বর। প্রথম দিনে দেবী শৈলপুত্রীর পূজা করা হয়। জানুন মাতা শৈলপুত্রীর পূজা বিধান, মন্ত্র, আরাধনার সুফল ও পৌরাণিক কাহিনি।

Shailputri Puja Vidhi: নবরাত্রি ২০২৫ শুরু হচ্ছে ২২ সেপ্টেম্বর। প্রথম দিনে দেবী শৈলপুত্রীর পূজা করা হয়। জানুন মাতা শৈলপুত্রীর পূজা বিধান, মন্ত্র, আরাধনার সুফল ও পৌরাণিক কাহিনি।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Durga Puja

Navratri 2025: বামদিকে দেবী দুর্গার প্রতিমা নির্মাণের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ডানদিকে দেবী শৈলপুত্রী।

Shailputri Puja Vidhi: নবরাত্রি হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। নয় দিন ধরে দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পূজা করা হয়। ২০২৫ সালের শারদীয় নবরাত্রি শুরু হচ্ছে সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এবং শেষ হবে ২ অক্টোবর, বিজয়াদশমীর দিনে। নবরাত্রির প্রথম দিনে দেবী শৈলপুত্রীর আরাধনা করা হয়। দেবীর এই রূপকে বিশেষভাবে শক্তি, স্থিরতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রতীক হিসেবে মানা হয়।

Advertisment

কে দেবী শৈলপুত্রী?

আরও পড়ুন- দুর্গাপূজায় করা হয় চণ্ডীপাঠ, কিন্তু চণ্ডী এবং দেবী দুর্গা কি একই দেবী?

‘শৈলপুত্রী’ শব্দের অর্থ—পর্বতের কন্যা। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, সতী যখন পিতার যজ্ঞবেদীতে আত্মাহুতি দেন, তখন তাঁর পুনর্জন্ম হয় হিমালয়ের গৃহে। সেই কারণে তাঁকে শৈলপুত্রী বলা হয়। দেবী শৈলপুত্রী সাদা পোশাকে সজ্জিতা, ডান হাতে ত্রিশূল এবং বাম হাতে পদ্ম ধারণ করেন। তাঁর বাহন নন্দী (ষাঁড়)। কপালে চাঁদের অর্ধচন্দ্র শোভা পায়। 

Advertisment

আরও পড়ুন- বাঙালির কাছে মহালয়া মানে তিনি, জানেন কোথায় থাকতেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র? কীভাবে তৈরি হয়েছিল মহিষাসুরমর্দিনী?

নবরাত্রির প্রথম দিনে ভোরে স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরতে হয়। ঘরে ঘট স্থাপন বা কলশ স্থাপন করা হয়। এরপর দেবীর সামনে ধূপ, দীপ, ফুল, গঙ্গাজল এবং প্রসাদ নিবেদন করতে হয়। গরুর দুধ ও ঘি দিয়ে তৈরি খাবার যেমন বরফি, পায়েস বা মিষ্টান্ন দেবীকে নিবেদন করা হয়। এরপর দেবীর মন্ত্র জপ করে মন স্থির করতে হয়। যাতে নাকি মূলাধার চক্র সক্রিয় হয়। 

আরও পড়ুন- পুজোর মুখে বিপদ! ট্রাম্পের H1B Visa নিয়মে চাকরি সংকটে হাজারো ভারতীয়! কোম্পানিগুলোর কী হবে?

দেবী শৈলপুত্রীকে পূজা করলে মূলাধার চক্র জাগ্রত হয়। ভক্তের মানসিক স্থিরতা বৃদ্ধি পায়। জীবনের সকল বাধা দূর হয়। ভক্ত হৃদয়ের ইচ্ছা পূর্ণ হয়। আধ্যাত্মিক ভাবনা আসে। যোগসাধক ও আধ্যাত্মিক চর্চা যাঁরা করেন, তাঁদের কাছে দেবীর এই রূপ বিশেষভাবে মর্যাদা পায়।

আরও পড়ুন- বিশ্ব আলঝাইমার দিবস ২০২৫! মহামারীর আকার নিচ্ছে এই রোগ?

মনে করা হয়, এই বিশেষ দিনে উপবাস করে দেবীর পূজা করলে, ফলাহার করলে এবং মন্ত্র জপ করলে জীবনে শুভ ফল আসে। ভক্তি, নিষ্ঠা ও শুদ্ধ মনে আরাধনা করলে দেবীর আশীর্বাদে জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা পরিপূর্ণ থাকে।

puja Shailputri