/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/28/durga-puja-2025-2025-09-28-17-47-18.jpg)
Durga Puja: কে এই দেবী কাত্যায়নী?
Durga Puja: নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে পূজিতা হন দেবী কাত্যায়নী দুর্গা। সন্মোহিনী তন্ত্রে দেবী দুর্গার ৬৫টি স্বরূপের উল্লেখ আছে, তার মধ্যে অন্যতম প্রসিদ্ধ রূপ হল দেবী কাত্যায়নী। তিনিই শারদীয়া মহাপূজার আরাধ্যা দশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী। কালিকাপুরাণ মতে, শ্বেতবরাহ কল্পে তিনি মহিষাসুরকে বধ করেন।
ধ্যানমন্ত্রে দেবীর বর্ণনা
ধ্যানমন্ত্রে দেবী কাত্যায়নীকে জটাযুক্ত, অর্ধচন্দ্রশোভিত কেশরাশি ও ত্রিনয়নযুক্ত মুখমণ্ডল-সহ বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর গাত্রবর্ণ অতশী ফুলের মতো হলুদ। দেবী নবযৌবনা, অলংকার-সজ্জিতা ও প্রসন্নমুখী। দশহাতে তিনি বিভিন্ন অস্ত্র ধারণ করেন। দেবীর ডানপাশে থাকে— ত্রিশূল, খড়গ, চক্র, তিক্ষ্ম বাণ ও শক্তি। বামপাশে— ঢাল, ধনুক, পাশ, অঙ্কুশ এবং ঘণ্টা।
আরও পড়ুন- ষষ্ঠীতে দুর্গাপূজার বোধন! নবরাত্রি তো শুরুই হয়ে গিয়েছে, বোধনের দরকার কী?
দেবীর পদতলে রয়েছে মহিষাসুর। তাঁর ত্রিশূল বিদ্ধ দেহ রক্তাক্ত। মহিষাসুর ক্রোধে ভৃকুটি করলেও দেবীর কাছে শেষপর্যন্ত পরাজিত হয়েছিলেন। দেবী সিংহবাহিনী রূপে মহিষাসুরকে বধ করেন এবং জগতে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। কাত্যায়নী দুর্গা কেবল দানববধকারিণীই নন, তিনি সর্বপ্রকার অভীষ্ট ফলদাত্রী। তাঁর অষ্টশক্তি— উগ্রচণ্ডা, প্রচণ্ডা, চণ্ডোগ্রা, চণ্ডানায়িকা, চণ্ডা, চণ্ডবতী, চণ্ডারূপা এবং অতিচন্ডিকা সর্বদা তাঁকে পরিবেষ্টন করে থাকেন।
আরও পড়ুন- কেন এদিনের ষষ্ঠীকে দুর্গাষষ্ঠী বলা হয়? এর পিছনে রয়েছে এই কাহিনি!
আগমশাস্ত্রে দেবী কাত্যায়নীকে চতুর্ভুজা রূপে উল্লেখ করা হয়েছে। এই রূপে তিনি কাঞ্চনবর্ণা, সিংহবাহিনী ও হাতে তলোয়ার, পদ্ম, বরমুদ্রা এবং অভয়মুদ্রা ধারণ করেন। নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে সাধকের মন আজ্ঞা চক্রে অবস্থান করে এবং এই দেবীর আরাধনা করলে তিনি জ্ঞান, শক্তি ও মুক্তি দান করেন।
আরও পড়ুন- মেষ থেকে মীন, এই টিপসে রবিবার পান সাফল্য
কথিত আছে, মহর্ষি কাত্যায়নের গৃহে এই দেবী কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই তাঁর নাম কাত্যায়নী। আবার ব্রজমণ্ডলে গোপিনীগণ শ্রীকৃষ্ণকে লাভের আশায় দেবী কাত্যায়নীর পূজা করেছিলেন। ফলে এই ব্রত নারীদের কাছেও অত্যন্ত ফলদায়ক বলে বিবেচিত।
আরও পড়ুন- একাই সামলেছেন জমিদারি-ব্যবসা, দক্ষিণেশ্বর মন্দির অমর করেছে রাসমণিকে
নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে দেবী কাত্যায়নী পূজার মাহাত্ম্য অপরিসীম। মহিষাসুরমর্দিনী রূপে তিনি ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন, অশুভ শক্তিকে দমন করেন এবং ভক্তদের সর্বপ্রকার মঙ্গল দান করেন। শারদীয়া দুর্গোৎসব হোক বা নবরাত্রি, ষষ্ঠী তিথিতে দেবী কাত্যায়নীর পূজা সর্বাধিক শুভ। এমনটাই মনে করেন শাস্ত্রজ্ঞরা।