/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/27/katyayani-puja-2025-09-27-04-04-52.jpg)
Skandamata Puja: বামদিকে দেবী কাত্য়ায়নী।
Navratri 2025: নবরাত্রির নয় দিনে দেবী দুর্গার নয়টি রূপ পূজিত হয়। এর মধ্যে পঞ্চম দিনে পূজিত হন দেবী স্কন্দমাতা। নবদুর্গার এই রূপ ভক্তদের জীবনে বিশেষত সন্তানের সুখ, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু প্রদান করে। তাই এই দিনে ভক্তরা ভোরে স্নান-ধ্যান করে দেবী স্কন্দমাতার আরাধনা করেন।
দেবী স্কন্দমাতার আরাধনা
শিবপুরাণের রুদ্রসংহিতা কুমার খণ্ড অনুযায়ী, মহাপরাক্রমী অসুর তারকাসুরকে বধ বা হত্যা করতেই দেবসেনাপতি কার্তিকেয় জন্মগ্রহণ করেন। তারকাসুর অত্যন্ত অত্যাচারী ছিল। তার অত্যাচারে মুনি-ঋষি থেকে দেবতা, সকলেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। শিবের যাতে সন্তান না-হয়, সেজন্য তারকাসুর শিব-দুর্গার বিয়েতে বাধাও দিয়েছিল। কিন্ত, লাভ হয়নি। সেই বিয়ে হয়েছিল। যথাসময়ে জন্ম হয়েছিল দেবসেনাপতি কার্তিকেয় বা কুমার কার্তিকের। কাশী অর্থাৎ বারাণসীতে দেবী স্কন্দমাতার মন্দির রয়েছে। কাশীর নাগকুরার কাছেই রয়েছে দেবী স্কন্দমাতার এই মন্দির। মন্দিরের গর্ভগৃহটি ছোট হলেও স্কন্দমাতার বিগ্রহের আয়তন বেশ বড়। আশ্বিন এবং চৈত্রের নবরাত্রির পঞ্চমীর দিন কাশীর এই মন্দিরে ব্যাপক ভক্তসমাগম প্রতিবারই ঘটে।
আরও পড়ুন- 'আরামবাগের গান্ধী'! সততায় যেন নিখাদ সোনা ছিলেন প্রফুল্ল সেন
স্কন্দমাতা সাদা বর্ণের, তিনি সিংহে আরোহিনী এবং কখনও কখনও পদ্মফুলে আসীন থাকেন। এজন্য তাঁকে পদ্মাসনা বলা হয়। তাঁর চারটি বাহু—এক হাতে কোলে কার্তিক (স্কন্দকুমার), দুটি হাতে পদ্মফুল এবং অপর হাতে অভয়মুদ্রা। এই রূপ মাতৃত্ব, ভালোবাসা ও সন্তানের কল্যাণের প্রতীক।
আরও পড়ুন- দুর্ভাগ্য দূর করে সৌভাগ্য আনুন জীবনে! জানুন টিপস!
পূজা পদ্ধতি (Skandamata Puja Vidhi):- ভোরে স্নান শেষে দেবীর প্রতিমা বা ছবির সামনে বসতে হবে। গঙ্গাজল ছিটিয়ে স্থান শুদ্ধ করতে হবে। দেবীকে চন্দন, সিঁদুর, ফুল, ধূপ-দীপ ও ভোগ নিবেদন করতে হবে। দেবীর প্রিয় হলুদ মিষ্টি বা জাফরান-দেওয়া ক্ষীর অর্পণ করতে হয়। পূজার সময় ভক্তিভরে মন্ত্র জপ করতে হবে। এই মন্ত্র জপ করলে সন্তানের কল্যাণ, দীর্ঘায়ু ও পারিবারিক সুখ বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন- কন্যাকুমারী ভ্রমণ গাইড, দুই দিনে ঘুরে দেখুন তিন সাগরের মিলনস্থল
স্কন্দমাতার ভোগ:- শাস্ত্র অনুসারে মা স্কন্দমাতা হলুদ জিনিস অত্যন্ত পছন্দ করেন। তাই এই দিনে তাঁকে –হলুদ মিষ্টি, জাফরান দেওয়া ক্ষীর অর্পণ করলে দেবী খুশি হন এবং ভক্তকে সন্তানের সুখ ও সমৃদ্ধি প্রদান করেন। এই দেবীর পূজায় ভক্তের সন্তান সুখ বৃদ্ধি পায়। সন্তানের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য লাভ হয়। পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। মাতৃত্ব ও স্নেহের শক্তি জাগ্রত হয়।
আরও পড়ুন- সিবিএফসিতে 'সেন্সর রাজ?' ৬ বছর ধরে নেই মিটিং, চলছে অচলাবস্থা!
নবরাত্রির পঞ্চম দিন মা স্কন্দমাতার আরাধনা, সেটা করলে জীবনে মাতৃত্বের আনন্দ, সন্তানের কল্যাণ ও পারিবারিক সুখ নিশ্চিত হয়। ভক্ত যদি ভক্তিভরে পূজা করেন, তবে দেবীর আশীর্বাদে সংসার ভরে ওঠে আনন্দ ও সমৃদ্ধিতে।