/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/08/nri-marriage-market-crisis-2025-10-08-17-41-56.jpg)
NRI Marriage Market Crisis: এনআরআই বরের চাহিদা কমেছে।
NRI Marriage Market Crisis: দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বিবাহের বাজারে এনআরআই বা বিদেশে কর্মরত ভারতীয় বরদের আলাদা মর্যাদা ছিল। বিশেষত যাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে H-1B ভিসায় কাজ করতেন, তাঁদের প্রতি আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর ভিসানীতি, চাকরির অনিশ্চয়তা এবং অভিবাসন আইন পরিবর্তনের আশঙ্কায় সেই চিত্র এখন বদলে যাচ্ছে।
এনআরআই বরের প্রতি আগ্রহ কমছে
H-1B ভিসা মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ পেশাজীবীদের কাজের অনুমতি দেয়। ভারতীয় আইটি ও টেক পেশাজীবীদের মধ্যে এই ভিসা সবচেয়ে জনপ্রিয়। কিন্তু ট্রাম্প 2.0 প্রশাসনের অধীনে এই ভিসা নবায়ন কঠিন হওয়ায় হাজার হাজার কর্মী এখন অনিশ্চয়তায়। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় পরিবারগুলি ভাবছে — বিদেশে থাকা এনআরআই বরের চাকরি বা বসবাস যদি স্থায়ী না হয়, তবে ঝুঁকি কেন নেওয়া হবে?
আরও পড়ুন- কলকাতা থেকে খুব দূরে নয়, ঘুরে আসুন তারিণী মন্দিরে, দেবী এখানে জাগ্রত!
একসময় 'আমেরিকায় বর' মানেই ছিল গর্বের বিষয়। কিন্তু এখন পরিস্থিতি উলটো। অনেক পরিবার এখন বরং দেশে কর্মরত, স্থিতিশীল পেশায় যুক্ত ছেলেদের পছন্দ করছে। কারণ, ভিসা বাতিল বা চাকরি হারানোর ফলে অনেকে বাধ্য হয়েছেন ভারতে ফিরে আসতে। এই ব্যাপারে ম্যাচমেকার অনুরাধা গুপ্ত বলেন, 'একসময় আমরা এনআরআই বরের জন্য শত শত প্রস্তাব পেতাম, এখন সেটি অর্ধেকেও পৌঁছাচ্ছে না।'
আরও পড়ুন- ধনেপাতা-আলু দিয়ে সহজেই বানান পাবদা মাছের ঝোল, মুখে লেগে থাকবে!
হরিয়ানার মেডিকেল ছাত্রী সিধি শর্মা ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন, বিয়ের পর আমেরিকায় স্থায়ী হবেন। কিন্তু এখন তিনি বলেন, 'ট্রাম্প আমার জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন।' সিধির মত অনেক তরুণীই এখন দেশেই সুযোগ খুঁজছেন — পড়াশোনা, কেরিয়ার, এমনকী বিবাহের ক্ষেত্রেও। মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার (USCIS) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মোট H-1B ভিসার প্রায় ৭১% ভারতীয়দের কাছে গিয়েছিল। এর মধ্যে অধিকাংশই পুরুষ। অর্থাৎ, এই বাজারের টার্গেট বরেরাই এখন চাপে। টেক ইন্ডাস্ট্রিতে ছাঁটাইয়ের ঢেউ এবং অনিশ্চিত নীতি পরিবারগুলিকে আরও সতর্ক করছে।
আরও পড়ুন- সংগীত সাধনার অনন্য গুরু, ১৬৩তম জন্মদিনে স্মরণে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ!
ভারতীয় সমাজে এখন 'এনআরআই' ট্যাগ আর সাফল্যের একমাত্র প্রতীক নয়। বরং স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও পারস্পরিক বোঝাপড়াকে গুরুত্ব দিচ্ছে পরিবারগুলি। অনেকে এখন ইউরোপ, কানাডা বা মধ্যপ্রাচ্যের বরদের প্রতিও আগ্রহী। কারণ, যেখানে অভিবাসন নীতি তুলনামূলকভাবে সহজ।
আরও পড়ুন- আর ওষুধ না, সিজন চেঞ্জে এই ঘরোয়া টোটকাতেই বাঁচুন রোগভোগ থেকে!
বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচ-১বি ভিসা সীমাবদ্ধতার প্রভাব শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক সম্পর্কেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। ভারতীয় বিয়ের বাজারে এনআরআই স্বপ্নের পুনর্মূল্যায়ন এখন কেবল শুরু হয়েছে। এক ম্যাচমেকার এই প্রসঙ্গে বলেন, 'ওয়াশিংটনে নীতি লেখা হয়, কিন্তু তার অভিঘাত দেখা যায় ভারতের খাবার টেবিলে।'