/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/14/ors-vs-coconut-water-2025-10-14-15-22-05.jpg)
ORS vs Coconut Water: ওআরএস এবং নারকেলের জল, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি বলে পরিচিত।
ORS vs Coconut Water: শরীরের সুস্থ কার্যকারিতার জন্য পর্যাপ্ত জল গ্রহণ অপরিহার্য। শুধুমাত্র সাধারণ জল পান করা সবসময় যথেষ্ট নয়। সারাদিনে ঘাম, প্রস্রাব এবং বাষ্পীভবনের মাধ্যমে শরীর জল হারায়। এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রোলাইট যেমন সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামও নষ্ট হয়। ফলে হালকা ডিহাইড্রেশন থেকে শুরু করে শরীরে তীব্র জলাভাব দেখা দিতে পারে।
ডিহাইড্রেশন কী?
ডিহাইড্রেশন কেবল জলেরই ঘাটতি নয়, এটি শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যেরও বিঘ্ন ঘটা। ড. স্মৃতি ঝুনঝুনওয়ালা এই প্রসঙ্গে বলেন, 'শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, প্রস্রাবের ঘনত্ব, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি লক্ষণ ডিহাইড্রেশনের অংশ। তাই শুধুমাত্র জল পান করলেই এই ক্ষতি পূরণ হয় না।'
আরও পড়ুন- ৯৬-তম জন্মদিনে, অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফিরে দেখা!
ওআরএস (ORS) বা Oral Rehydration Solution বৈজ্ঞানিকভাবে তৈরি একটি পানীয় যা গ্লুকোজ এবং ইলেক্ট্রোলাইটের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখে। বিশেষ করে সোডিয়াম ও পটাসিয়াম দ্রুত হারানো তরল পুনরুদ্ধারে শরীরকে সাহায্য করে। গরম আবহাওয়া, ব্যায়াম, বমি বা ডায়েরিয়ার পরে ওআরএস (ORS) সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। এটি শরীরে দ্রুত শোষিত হয় এবং তীব্র ডিহাইড্রেশনের ক্ষেত্রে কার্যকর।
আরও পড়ুন- ১৫০ বছরের পুজো, মনস্কামনা হয় পূরণ, জাগ্রত কেওড়াতলা শ্মশানকালীর এই কাহিনি জানেন?
নারকেলের জল পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়ামের একটি প্রাকৃতিক উৎস। এটি হালকা মিষ্টি, সতেজ এবং হালকা ডিহাইড্রেশনের জন্য আদর্শ। উপবাস, হালকা ব্যায়াম বা তাপের কারণে ডিহাইড্রেশন হলে নারকেলের জল শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। তবে এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম হওয়ায় তীব্র জলাভাবের ক্ষেত্রে ওআরএস (ORS)-এর মত কার্যকর নয়।
কোনটি কখন দরকার?
হালকা ডিহাইড্রেশন / দৈনন্দিন হাইড্রেশন: ১–২ গ্লাস নারকেল জল যথেষ্ট। মাঝারি থেকে তীব্র ডিহাইড্রেশন: ওআরএস (ORS) প্রতিটি তরল শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে পান করা উচিত। প্রাকৃতিক বিকল্প: লেবুর জল, সামান্য লবণ ও জিরা দিয়ে বাটার মিল্ক বা জলযুক্ত ফল-সবজিও খাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন- দেবীর ভোগ ডিম! জানুন ৪৫০ বছরের প্রাচীন কালীমন্দিরের এক আশ্চর্য কাহিনি!
শুধু পানীয়ই নয়, আপনার খাবারও হাইড্রেশন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। তরমুজ, টমেটো, ভেজানো মটরশুটি, কাঁচা ফল ও শাকসবজি জলে ভরপুর। এগুলি দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে জল ধরে রাখে। তবে, অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়াতে পারে। খুব কম সোডিয়াম আবার দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে। ভারসাম্যপূর্ণ খাবার এবং পর্যাপ্ত জল পান অত্যন্ত জরুরি। ক্রমাগত উদ্বেগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই পরামর্শগুলো ডিহাইড্রেশনের ক্ষেত্রে মনে রাখা জরুরি।