Ekadashi vrat katha: ভাদ্রর শুক্লপক্ষে পরিবর্তিনী একাদশী, এই ব্রতকথা ছাড়া পালন অসম্পূর্ণ

Ekadashi vrat katha: আজ ভাদ্রর শুক্লপক্ষের পরিবর্তিনী একাদশী পালিত হচ্ছে। এই উপবাসে ভগবান বিষ্ণুর বামন অবতারের পূজা, এই ব্রতকথা পাঠই নিয়ম। না-হলে অসম্পূর্ণ থাকে পূজা।

Ekadashi vrat katha: আজ ভাদ্রর শুক্লপক্ষের পরিবর্তিনী একাদশী পালিত হচ্ছে। এই উপবাসে ভগবান বিষ্ণুর বামন অবতারের পূজা, এই ব্রতকথা পাঠই নিয়ম। না-হলে অসম্পূর্ণ থাকে পূজা।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Ekadashi vrat katha

Ekadashi vrat katha: পরিবর্তিনী একাদশীর তাৎপর্য।

Ekadashi vrat katha: হিন্দু ধর্মে একাদশী তিথির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিমাসে দুটি একাদশী পালিত হয়, তবে ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীকে বলা হয় পরিবর্তিনী একাদশী। এই তিথিতে ভগবান বিষ্ণু যোগনিদ্রার মধ্যে তাঁর দিক পরিবর্তন করেন। তাই এর নামকরণ হয়েছে পরিবর্তিনী।

পরিবর্ত্তিনী একাদশী বা পরিবর্তিনী একাদশীর গুরুত্ব

Advertisment

২০২৫ সালে পরিবর্তিনী একাদশী পড়েছে ৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার। এই দিনে ভক্তরা উপবাস পালন করে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করলে পাপ বিনাশ হয় এবং মোক্ষ লাভ হয় বলে ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে। এজন্য একে মোক্ষদায়িনী একাদশীও বলা হয়। ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী, এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর বামন অবতারের পূজা করলে ভক্তরা অক্ষয় ফল লাভ করেন। বিশেষত, যাঁরা নিষ্ঠাভরে ব্রত পালন করেন, তাঁদের বহু জন্মের পাপ বিনাশ হয় এবং বিষ্ণুলোক লাভ হয়। ভক্তরা এই দিনে নির্জলা উপবাস, জপ, ভজন ও দান করে পুণ্যলাভ করেন। ব্রতকথা পাঠ করা পরিবর্তিনী একাদশীর মূল অংশ।

আরও পড়ুন- সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে জন্ম, আজও নন্দন বাঙালির সাংস্কৃতিক তীর্থক্ষেত্র

এবং

Advertisment

আরও পড়ুন- বর্ষাকালীন স্বাস্থ্য, মেনে চলুন এই সব বিধি, বাঁচুন সংক্রমণ থেকে

রাজা যুধিষ্ঠির একবার শ্রীকৃষ্ণকে এই একাদশীর মাহাত্ম্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তখন কৃষ্ণ ব্যাখ্যা করেন যে এটি পদ্মা বা পরিবর্ত্তিনী একাদশী নামেও পরিচিত। তিনি রাজা বালির গল্প বলেন। বালি ছিলেন পরাক্রমশালী অসুর রাজা, যিনি যজ্ঞ ও দানপুণ্যের মাধ্যমে দেবতাদের পর্যন্ত পরাজিত করেছিলেন। তখন ভগবান বিষ্ণু বামন রূপে আবির্ভূত হন। বামন অবতার রাজা বলীর কাছে তিন পা জমি চান। বলী সহজেই রাজি হন। কিন্তু বিষ্ণু বামন রূপ থেকে বিশাল রূপ ধারণ করেন—এক পায়ে মাপেন পৃথিবী, দ্বিতীয় পায়ে মাপেন স্বর্গ। তৃতীয় পা রাখার জন্য স্থান না থাকায় বালি নিজের মাথা অর্পণ করেন। তখন ভগবান তাঁকে পাতাললোকে পাঠান, তবে তাঁর ভক্তি দেখে আশীর্বাদ করেন। এই গল্প থেকে বোঝা যায়, ভক্তি এবং বিনম্রতা সর্বদা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে।

আরও পড়ুন- সকালে খালি পেটে দৌড়ন! জানেন আপনার শরীরে কী হচ্ছে?

এবং

আরও পড়ুন- হাই প্রেশার, এখানে জানুন কী সতর্কতা নেবেন, না-হলে বাড়তে পারে বিপদ!

এই একাদশীতে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নির্জলা বা ফলাহার উপবাস পালন করা হয়। ভগবান বিষ্ণুর মূর্তির সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে বামন অবতারের পূজা করা হয়। ব্রতকথা পাঠ বা শ্রবণ অপরিহার্য। ব্রাহ্মণ বা দরিদ্রদের দান করলে ব্রত পালন আরও ফলপ্রসূ হয়। যে ভক্ত নিষ্ঠাভরে এই ব্রত পালন করেন, তাঁর জীবনের সমস্ত পাপ বিনাশ হয় এবং তিনি ভগবান শ্রীহরির চিরন্তন আশীর্বাদ পান। আজকের দিনে ভক্তরা পরিবর্ত্তিনী একাদশীতে শুধু উপবাসই পালন করেন না, বরং সামাজিক সেবামূলক কাজেও যুক্ত হন। কেউ গরিবদের অন্নদান করেন, কেউ আবার বৃক্ষরোপণ করেন। এভাবেই আধ্যাত্মিকতা ও মানবসেবা একসঙ্গে চলে।

Vrat Katha Ekadashi