/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/31/pranab-mukherjee-1-2025-08-31-22-40-36.jpg)
Pranab Mukherjee: প্রণব মুখোপাধ্যায়।
Congress Leader Pranab Mukherjee: ছেলেবেলায় নাকি দৌড়তেন তিরতির করে। দৌড়ে বন্ধু-বান্ধবদের সকলকে পিছনে ফেলে দিতেন। বীরভূমের কীর্ণাহারের মিরাটি গ্রামের ছেলেটি হয়তো অ্যাথলিট হননি। কিন্তু, রাজনৈতিক দৌড়ে অনেককেই ছাপিয়ে গিয়েছেন। বাংলা থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় রাজনীতির উজ্জ্বল মুখ বললে প্রথমেই নাম আসে তাঁর। প্রথম বাঙালি হিসেবে রাষ্ট্রপতির মত শীর্ষ পদেও তিনিই আসীন হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়া বাদে কেন্দ্রীয় সরকারের সব গুরুদায়িত্বই সামলেছেন
মা রাজলক্ষ্মী দেবী তাঁকে ডাকতেন পল্টু নামে। তাঁর সেই দস্যি ছেলেটাই পরবর্তী জীবনে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়া দেশের কেন্দ্রীয় সরকারে যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর পদ সামলেছেন। বাবা কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। ব্রিটিশ জমানায় ১০ বছর জেলে ছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদের সদস্য (১৯৫২-৬৪) হয়েছিলেন। বীরভূম জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদেও বসেছিলেন।
আরও পড়ুন- রাধাষ্টমী পালন তো করলেন, এই গল্পটি পড়েছেন? না-হলে কিন্তু আপনার ব্রত অসম্পূর্ণ!
প্রণব মুখোপাধ্যায় সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র ছিলেন। কর্মজীবনে দেশের ডাক পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন। হাওড়া জেলার বাঁকড়া ইসলামিয়া হাইস্কুলে ২ বছর শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলার বিদ্যানগর কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের ট্রাস্টি এবং নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতিও হন।
আরও পড়ুন- রাধারানির পুজো তো করলেন, সঙ্গে এটি করুন, সারা বছর ঘরে অর্থ আসবে!
১৯৬৯ সালে প্রথম বার কংগ্রেসের হয়ে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে কেন্দ্রীয় শিল্পোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ক্যাবিনেটে যোগ দেন। ১৯৭৫, ১৯৮১, ১৯৯৩ ও ১৯৯৯ সালেও তিনি রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। প্রায় পাঁচ দশক ভারতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ সাল অবধি তিনি ভারতের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৪ সালে ইউরোমানি পত্রিকা তাঁকে বিশ্বের সেরা পাঁচ অর্থমন্ত্রীর অন্যতম বলে শিরোপা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন- রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে, বিপদে-আপদে তিনিই বাঙালির ভগবান!
ইন্দিরা হত্যার পর তিনি সাময়িকভাবে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় সমাজবাদী কংগ্রেস নামে দল গড়েছিলেন। ১৯৮৯ সালে ফের কংগ্রেসে যোগ দেন। পরে পিভি নরসিমহা রাও তাঁকে প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান করেছিলেন। ১৯৯৫-৯৬ সালে তিনি রাও মন্ত্রিসভায় বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯৭ সালে শ্রেষ্ঠ সাংসদ হন। ২০০৪ সালে প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে তিনি লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হন। সেবার প্রথম জঙ্গিপুর থেকে লোকসভায় যান। ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তিনি ছিলেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন- যেন পথের দাবীর সব্যসাচী! জনতার 'ডাক্তার' যাদুগোপালই বিপ্লবীদের মাথা
২০০৭ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ পান। ২০১২ সালে দেশের রাষ্ট্রপতি হন। ২০১৭ পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। ২০২০ সালে ৩১ আগস্ট দিল্লিতে ভারতীয় সেনা হাসপাতালে তিনি প্রয়াত হন।